পরিবর্তন
লেখক : অনুতম কুণ্ডু
“নুন দেবে না মা। আর ডিমটা এতটা বয়েল করেছো কেন? Half বয়েলড রাখবে!”
“খুব যে বডি বানাচ্ছিস, কার জন্য শুনি? বাজারটা একটু করে দিতে বলি, তার বেলা তো আপনার সময় হয় না!”
মুখ নিচু করে হেসে …
“নুন দেবে না মা। আর ডিমটা এতটা বয়েল করেছো কেন? Half বয়েলড রাখবে!”
“খুব যে বডি বানাচ্ছিস, কার জন্য শুনি? বাজারটা একটু করে দিতে বলি, তার বেলা তো আপনার সময় হয় না!”
মুখ নিচু করে হেসে …
বৃদ্ধ কেউ চিতাভস্ম হবে অথবা কবরে
দেহদানের চলও বাড়ছে ক্রমশ।
শেষতক ছাই উড়ে যায় অস্থি জলাশয়ে।
দাতার দেহ ইঁদুর দন্তক্ষত সামলে হয়ত চিকিৎসাবিদ্যাশিক্ষা শেষে,
কানাগলি গণ-ঐক্য-চিতা বা ভাগাড়ে!
মরদেহ হলেও জীবন্তের স্মৃতি ও সত্তায়
তারা কিছুকাল …
আমার ভালবাসা শুধু শব্দের বিচরণক্ষেত্র নয়
মানবতার পথ ধরে উন্নতশির হয়ে থাকা
আপসের চোরাবালিতে তলিয়ে যাওয়া নয়
মনুষ্যত্বের বৃহৎ মনকে প্রসারিত করা।
যখন দানবীয় শক্তি ফলায় তাদের আগ্রাসন
স্বার্থ আর লোভের লেলিহান শিখা দিয়ে
গ্রাস করতে …
জলে ভাসা এক কচুরিপানা।
ঠিকানাহীন এক ছন্নছাড়া!
বসে গায়ে জড়ায়
হতাশার চাদরখানা।
এ যেন নিয়তির নতুন খেলা।
কেন জানি পাই না স্বাধীনতা।
মুক্ত আকাশে ডানাহীন পাখি
মেলে না তার দু’চোখ জোড়া!
হয়তো পায় না বন্ধনজোড়া।…
সাদা মেঘ কালো হতে হতে ঝরে পড়ুক
তোমার দু’ গালে,
তুমি তো ভিজতে ভালবাসো,
তুমি ভালবাসো চাঁদের আলোয় ভিজতে
তুমি ভুলে যাও তুমিও চাঁদ,
সাদা মেঘ, নীল আকাশ, লাল গোলাপ
আমার পৃথিবীতে।
তুমি নদীর জল ছুঁয়ে …
যে জলাশয়টিতে আগাছা ও আবর্জনা
জমে আছে
তা দীঘি ছিল একদিন
সেখানে রোজ কত কত কান্না
আর ভালবাসার গান
আশ্চর্য সুরে প্রবাহিত হত
কোনও একদিন সেখানে ফেলে গেল কেউ
অর্ধমৃত ভ্রূণ
তারপর থেকেই দীঘিটি জলাশয় হয়ে …
সুরা তুমি কার?
যে তোমায় পান করিল – বারণ ভুলিয়া
যে তোমায় গ্রহণ করিল – আপন ছাড়িয়া
যে তোমার দাসত্ব করিল – সম্মান ফেলিয়া
যে বারে বারে ফিরিল তোমার দ্বারে – নয়ন মেলিয়া
দেহ তুমি …
যাব বললেই বুঝি যাওয়া যায়!
বেড়ায় লতিয়ে ওঠা মাধবী, কাঁপে আষাঢ়িয়া বায়।
শালুক ফোটার শব্দে চমকিত এঁদো পুকুর
বহুদূর ধানক্ষেতে থমকিয়ে একলা দুপুর
বেপথু সে আলপথে ইতিউতি আদিগন্ত স্মৃতির হৈচৈ
মাঝে মাঝে আলগোছে ডাকে।
সন্ধ্যার …
হাওয়াবাতাসহীন অসহ্য সময়
কতটা দীর্ঘ হলে বৃষ্টি নামে বলা কঠিন!
তবে,
চাপ যখন বাড়তে থাকে,
অলক্ষ্যে গুরুগুরু শব্দ শোনা যায়।
বাষ্পের ক্রোধ জমে মেঘ হয়ে ওঠে,
ধীরে ধীরে জলধারা নামে
শান্ত, উত্তপ্ত পৃথিবীর বুকে।
প্রথমে সিক্ত …
তাই লাগে না একঘেয়ে-
তোমার অমল আলোর পানে
তাই অবিচল রই চেয়ে।
কি রেখেছ অন্তরালে
সকল আলোর সারাংশ?
কোন মহিমায় মাতিয়ে চন্দ্র
হঠাও ক্লান্তি আলস্য?
তাই লাগে না বিরক্তি-
তাইতো রে জল আরশিতে তোর
অন্তবিহীন আসক্তি।…
“কাপড়গুলো ভিজে গেল। দৌড় দে।”
টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনে বলে ওঠেন মা। দৌড়ে গিয়ে উঠোনে শুকোতে দেওয়া শার্ট, প্যাণ্ট, ফতুয়া, লুঙ্গি ইত্যাদি সরাচ্ছি, এমন সময় হাম্বা করে ডাক ছাড়ে গরুটা। কোরবানির গরু, গাছের সঙ্গে বাঁধা। …
নিবে আসে জীবনের আলো
তবু আশা হবে ভাল।
বিশ্বাস আছে মোর মনে
আলো জ্বালি। প্রতি ক্ষণে।
পাহাড় ডিঙোতে হবে পথে
তার পরে যাব রথে।
ভোরের সূর্য হবে লাল
রাত শেষে হবে সকাল।
ঝড়ে গাছ হয় নত।…