প্রেম
লেখক : সুতীর্থ দত্ত
কেন তোমার এই বিশ্বাস?
কেন তোমার এই চাওয়া,?
তোমার এই প্রাপ্তি, তোমার এই মায়া,
শুধু একটু চিনিয়ে দিও।
জানি এই বিশ্বাসেই যাপন,
খুব ক্ষুদ্র জীবন, একটু সঙ্গ দিও।
ছোট্ট আশা, অল্প দাম,
বিরাট সুখ আর যোগ্য …
কেন তোমার এই বিশ্বাস?
কেন তোমার এই চাওয়া,?
তোমার এই প্রাপ্তি, তোমার এই মায়া,
শুধু একটু চিনিয়ে দিও।
জানি এই বিশ্বাসেই যাপন,
খুব ক্ষুদ্র জীবন, একটু সঙ্গ দিও।
ছোট্ট আশা, অল্প দাম,
বিরাট সুখ আর যোগ্য …
অব্যক্ত বাসনাগুলো রূপ বদলিয়ে
সময়ের সাথে সাথে নিষ্প্রভ হয়ে
হারিয়েছে তার রং আর জৌলুস।
কালেভদ্রে ফিকে হয়ে তা নিস্তব্ধ
ক্লান্ত ফেরি ভিড় করে হাজারো স্বপ্ন
ঢেউ এর সাথে মিলিয়ে যায়।
অবাঞ্ছিত বাসনা দিগ্ভ্রান্ত পথিক
হয়ে …
আমার আত্মার মৃত্যুর পরেও—
তোমার গভীর প্রেমের ছোঁয়া যেন থাকে
আমার সমস্ত নিথর, নিস্তব্ধ শরীর জুড়ে।
আমি চোখের জলে ভিজতে চাই না।
আমার উপর ঝরে পড়ুক তোমার সৌন্দর্য্যের
লীলাভূমি’র উপচে পড়া, চোখ ধাঁধানো আলো।
আমি যেন …
আমার জীবনটা বড় কষ্টের
না হ’ল কোন স্বপ্ন পূরণ
পদে পদে করা হ’ল প্রাপ্য অধিকার হরণ।
আমার জীবনটা বড় কষ্টের
না আছে খ্যাতি, না আছে টাকা
জানি না জীবনের রাস্তা কেন এত আঁকাবাঁকা
আমার জীবনটা বড় …
বাকি থেকে যায়, সবটা বুঝলেও বাকি থেকে যায়।
সবটা জানলেও অনেকটা জানা হয়ে যায় না
কিছুটা শূন্যস্থান, কিছুটা আন্দাজ।
তবে অক্ষর যদি সবটা বলত,
এতটা দূরত্ব থাকতো না হয়ত,
ঠিক যতটা দূরত্ব এই
বাঁচা থেকে মরে …
‘পৃথিবীটা কত বদলে যাচ্ছে,’ কুৎসিত চারিদিক!
বিশৃঙ্খলা চারপাশে কত! কিচ্ছুটি নেই ঠিক!
যত কিছু ভাল সব ছিল আগে, এখন যা কিছু ভুল,
সময় যা ছিল সুন্দর আগে আজ তা চক্ষুশূল;
পরিবেশ ছিল মনোরম ভারি, বন্ধুরা ছিল …
কমলাকান্তের মনুষ্য ফল,
সুকুমারের হরেক রকম জল ,
রবি ঠাকুরের ‘পুরাতন ভৃত্য’ কেষ্টা
পারিবে না কভু বর্ণিতে এমন
যতই কর না ভাই চেষ্টা।
সত্যেন্দ্রনাথের ভোরের ছবি
জীবনানন্দের রূপশালী ধান,
জসীমউদ্দীনের ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’
আজও সে সবার …
রক্তে মাখা শরীর
রক্তে মাখা গাল
জুলাই মনে রাখবে
তোমায় চিরকাল,
জাতির স্মৃতি হয়ে থাকবে
সকলেই মনে রাখবে,
জাতির এই ঋণ
ক্ষমা হবে না কোন দিন,
পারলে করো ক্ষমা
জাতির বুকে থাকল ক্ষত জমা,
জাতি এখনও …
আমি ভুলিনি,
আমি ভুলিনি, একাত্তরের নির্মম নির্যাতন,
আমি ভুলিনি,
আমি ভুলিনি, সেই পলাশীর প্রান্তরে হারানোর ব্যথা,
তুমি হয়তো জানো না,
তুমি হয়তো জানো না বন্ধু,
হারানোর বেদনা,
জানে পলাশীর প্রান্তর,
তুমি হয়তো জানো না,
যেখানে জাফরগঞ্জের কয়েদখানায় …
হ্যাঁ, তুমি খুব সুন্দর।
কিন্তু, আমার অগোছালো চুল কি তুমি ঠিক করে দেবে ?
ঠিক করে দেবে জামার কলার ?
আটকে দেবে কি গলার কাছের বোতামটা ?
সহ্য করতে পারবে, আমার অসময়ের বকবক আর সময়ের নিস্তব্ধতা …
নিজেকে খুঁজি ভাঙা প্রতিচ্ছবির ভিতর—
যেখানে তুমি ছিলে এক সময়,
এখন কেবল শূন্যতা জেগে থাকে চোখে।
হাসি আছে, আলোও আছে,
কিন্তু আত্মাটা কোথায় যেন পথ হারিয়ে গেছে।
সব কিছু ঠিকঠাক মনে হলেও,
আয়না জানে—আমি আর …
আমি এক অতি সাধারণ লোক
অথবা যাকে ব্যঙ্গ করে বলাই যায় “অ-সাধারণ!”
নিতান্ত সাদামাঠা ছোটবেলা – ম্যাড়ম্যাড়ে, সাদা-কালো।
সেই “সুবোধ বালক”কে মনে আছে?
যার গল্প শুনে সবাই বলে “আহা! ছেলেটা কি ভাল!”,
যার কথা লেখা আছে …