স্বরচিত রচনাপাঠ প্রতিযোগিতা – নববর্ষ ১৪২৮ – পাঠগুলি শুনুন

সববাংলায় আয়োজিত স্বরচিত রচনাপাঠ প্রতিযোগিতার এ বছরের প্রথম ইভেন্ট নববর্ষ – ১৪২৮। এখানে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নির্বাচিত ভিডিওগুলি তাদের জমা পড়ার ক্রম অনুসারে দেওয়া হল। সমস্ত ভিডিওগুলি দেখবেন এবং আপনার বিচারে শ্রেষ্ঠ রচনাপাঠগুলি শেয়ার করবেন, কারণ প্রতিযোগিতার ফলাফল নির্ভর করবে …

সববাংলায় আয়োজিত স্বরচিত রচনাপাঠ প্রতিযোগিতা – নববর্ষ ১৪২৮

সববাংলায় আয়োজন করেছে স্বরচিত রচনাপাঠ প্রতিযোগিতার একটি ইভেন্ট – নববর্ষ ১৪২৮। নিজের লেখা যে কোন ধরণের রচনাই (কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ইত্যাদি) আপনি ভিডিও করে পাঠাতে পারেন। ভিডিও পাঠানোর নিয়মাবলী ও প্রতিযোগিতার কথা নিচে দেওয়া হল বিশদে :

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী:

ইভেন্ট: স্বাধীনতা ১৪২৭ ।। কবিতা প্রতিযোগিতার ফলাফল


‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়…’! স্বাধীনতা আমাদের সকলের কাছেই বড় আকাঙ্খার বস্তু। দাসত্ব-শৃঙ্খল ভেঙ্গে অনাদিকাল থেকেই মানুষ খুঁজেছে মুক্তির পথ। স্বাধীনতার ধারণা সকলের কাছে এক নয়, আবার ক্ষেত্রভেদে তার সংজ্ঞাও বদলে যায়। আপনার কাছে স্বাধীনতার অর্থ কী? সেই নিয়ে লেখালিখি

হে স্বাধীনতা

কবি: হরেকৃষ্ণ দে

হে দেশমাতৃকা!
সাম্য, মৈত্রী, একতা ও প্রগতি—
এই চার সন্তানের দেয়ালা ঘিরে
দেখেছো জননীর অনুভূতি,
স্বাধীনতার কোন এক আঁতুড় ঘরে।
আজ তুমি রিক্ত, অনাবৃত।
সন্তানেরা আজ স্বাধীনতার আবছা অন্ধকারে লুটোপুটি খাচ্ছে রাজনীতির বিষাক্ত স্বার্থের কালিমায়…

হে স্বাধীনতা!…

স্বাধীনতা তোমায়

কবি: বিকাশ রঞ্জন বর

দীর্ঘ প্রতীক্ষা সংগ্ৰাম আর
কলজে উজাড় করা রক্তে
তোমাকে পেয়েছি স্বাধীনতা।
বুক ভাঙার শব্দে, ফাঁসিকাঠের
ফাঁক গলে তুমি এলে!
তিরঙ্গা পতাকা মুড়ে তোমাকে
সাজিয়ে রেখেছি বুকভরা আশায়–
তোমাকে ছুঁয়ে দেখার খুব লোভ হয়
সুনামীতে ভেসে যাওয়া …

স্বাধীনতা

কবি: প্রীতিলতা রায় (হালদার)

স্বাধীনতা আমি তোমাকে ছুঁতে চেয়েছি ৪৭ এর আগে, ৪৭ এর পরে
এবং আজও।

তোমাকে ছুঁতে চেয়ে –
আমি হারিয়েছি, আমার সূর্য ওঠা ভোর, বৃষ্টি ভেজা বিকেল, আমার ইচ্ছে – অনিচ্ছে, এমনকি আমার অশ্রুও।

৪৭ এর আগে …

হে স্বাধীনতা

কবি: রাজীব চক্রবর্ত্তী

সেই কোন জন্ম মুহূর্তে আমি শুনেছিলাম তোমার আহ্বান।
ছিন্ন করেছিলাম মাতৃ গর্ভের বন্দি দশা।
তুমি আমার যুগ যুগান্তরের
বন্ধন মুক্তির দিশা।

তোমার টানে আমি ছিঁড়ে ফেলতে পারি
এ সমাজ-সংসারের মিথ্যে মায়াজাল,
শান্তির অক্লান্ত পারাবত হয়ে পেরিয়ে যেতে …

স্বাধীনতার ওজন

কবি: গার্গী ভট্টাচার্য্য

স্বাধীনতা! স্বাধীনতা! হেইডা আবার কী?
প্যাট ভরানো গরম ভাতে হেইডা কিরে ঘি?
মাথায় এরে বসায় লাকি জমিন তলে রয়?
বুঝায় মোরে বলতো কারে স্বাধীনতা কয়?
স্বাধীন বইলে লাফাস তরা মোর কি আসে যায়?
মোর এ গতর খাইটলে …

স্বাধীনতার অবক্ষয়

কবি: প্রদীপ কুন্ডু

ভুলে গেছে মানুষ আজ সেই রক্ত চোখের আগুন
ঘুন ধরেছে বিপ্লবীদের রক্তরাঙা দধীচির হাড়ে,
হাতের মুঠোয স্বাধীনতার পতাকাখানি ধরে মানুষ আজ
কেউটে সাপের বিষ ছোবলে স্বাধীনতার গলা টিপে মারে।

প্রতিবাদের কথা ভুলে শ্বাপদ নখের তীব্র জ্বালায়
প্রসন্নতা …

মা

কবি: কথিকা বসু

সাড়ে পাঁচ ফুট,
সাড়ে পাঁচ ফুটের একটা লাশ ঝুলছে, রাস্তার ধারের গাছটা থেকে, খবর পেয়ে ছুটে এসেছিল পুলিশ,
সাথে মিডিয়াও।
ময়নাতদন্তে জানা গেছিল লাশটার পেটে বাড়ছিল, আমাদের দেশের একটা অংশ, একটা আস্ত কন্যাভ্রূণ।
মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছিল …

স্বাধীনতায় আমি

কবি: দীপঙ্কর বেরা

যে ছেলেটি কাগজ কুড়ায়
কিংবা হোটেলে বাসন মাজে
যে মেয়েটি রোজ ঘুঁটে দেয়
কিংবা পরের বাড়ি যায় কাজে
তাদের খাওয়ার স্বাধীনতায় আমি কী করেছি?
কিছু না, শুধু সমালোচনা আর হা হুতাশ ছেড়েছি।

যে লোকটা বন্ধ কারখানার সামনে…

আমার স্বাধীনতা

কবি: সুখেন্দু দাস

শোণিত তরণী সাজিয়াছে আজ, রক্তকরবী ফুলে
ধারালো অসি স্বাধীনতা চাই বেজাতের ঘর ভুলে।
বহুদিন ধরে কাঁদিছে মাতা বন্দীশালার মাঝে
         দেশের মাটি রক্ত খোঁজে উন্মাদিনীর সাজে।
লাল আবিরের রঙ্গালয়ে খেপেছে ভক্তকবি
স্বাধীনতা চাই, স্বাধীনতা চাই, বলছে রক্ত রবি।…

হায়, স্বাধীনতা

কবি: দিবাকর মণ্ডল

অঘ্রাণের ঘ্রাণ নেই।
মানুষ পশুর চেয়ে আরো ঢের হিংস্র,
আদিমতার চেয়েও নগ্ন।
গাঁ-গুলি উজাড় হ’ল
প্রেতযোনি ভর করা রাজনীতির যাঁতাকলে।
কলিরামের ঢোলে ‘ডুম্’…
বুক কাঁপলো চা বাগিচায়,
হকারের স্বপ্ন আর কৃষকের বাসনা
চাপা পড়ে গেল কংক্রিটের দেওয়ালে।…

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।