কবি: দেবজিত ঘোষ
বন্দী প্রাণ কারাগারে, স্বপ্ন খোঁজার ভিত নেই,
স্বাধীনতা কোথায় পাবো! বাঁচার তাগিদ ধাক্কা দেয়।
পড়াশোনার ইতি হলে চাকরিজীবন কড়া নাড়ে,
একটুখানি রেহাই পেলেই দায়িত্ববোধ ঝাঁপিয়ে পড়ে।
শুনতে খুব-ই ভালো লাগে, স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চাই,
ইঁদুরদৌড় দেয় না ছাড়, নির্যাসটুকু নিঙড়ে নেয়।
নাম-প্রতিষ্ঠা-যশের ভেতর স্বাধীনতা খুঁজতে গিয়ে
আত্মতুষ্টির ব্যঙ্গহাসি পিছন থেকে ছুরি মারে।
দাসত্ব তাই ভালো লাগে খুব, ব্যর্থতাকে জাপটে ধরি,
স্বাধীনতার গোলকধাঁধায় রোজ খানিকটা জড়িয়ে পড়ি।
তবু বিবেক কখনও যেন চিৎকার করে কেঁদেই ফেলে,
ঠিক তখনই পরিস্থিতি টুঁটি টিপে মুখ বন্ধ করে।
প্রবাদপ্রতিম এই খেলাতে আমরা সবাই মাত্র ঘুঁটি,
স্বাধীনতার ঠিকেদারেরা অলক্ষ্যে রোজ-ই নাড়ে ছড়ি।
ছবি: কুন্তল
লেখকের কথা : দেবজিত ঘোষ
কবিতা লিখি – সিনেমা দেখি – গান গাই – স্বপ্ন দেখি। নিজের একটা একান্ত জগৎ নির্মাণে সদা সচেষ্ট থাকি। নতুন পরিচয়ে একটু গম্ভীর হই, কিন্তু বন্ধুত্ব গভীর হলে চূড়ান্ত ছ্যাবলামো করা থেকে পিছপা হই না। কষ্ট পেলে ভেঙে পড়ি, একটু কেঁদে আবার মনটাকে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠে পড়ি। আর এই সমস্ত ধূসর – রঙিন অধ্যায়গুলোর মাঝেই দু – এক লাইন মনের কথা লিখে ফেলি।
Sotte e tai ! Sadhin hote gie amra aro jorie e jachhi daittobodh er vetore… Sadhinota kichu khetre eseo jano ase ni ! Khub sundor hoeche Debjit…!
সত্যি এক বাস্তব জীবনের সাথে মিল খুঁজে পেলাম।
প্রতিটা লাইনের মানে খুবই বাস্তব। স্বভাবতই কবিতাটা ভালো লেগেছে।