লেখক : প্রিয়াংকা রাণী শীল
সময়টা এখন জানুয়ারির শেষ। শীতের আমেজ শুরু হয়েছে ভালোভাবেই। বাইরে হালকা কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া । ট্যাক্সিতে বসে অনিন্দ্যর ঠাণ্ডা লাগছে ভীষণ। ছুটির দিন হওয়াতে সকাল সকাল রাস্তা একদমই ফাঁকা বললে চলে। ট্যাক্সিও তাই ছুটছে ঝড়ের গতিতে। আর সেকারণে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া ট্যাক্সির দু’পাশ দিয়ে ভেতরে ঢুকছে আনন্দের সাথে। অনিন্দ্যও এর স্বাদ নিচ্ছে। অবশ্য অনিন্দ্যর এখন সেই দিকে অতটা আগ্রহ নেই। একটা তাড়াহুড়া ভাব আজ তার মধ্যে বিরাজমান । অস্থির ভাবে সে তার হাতের ঘড়িটার দিকে তাকালো এক নজর। সকাল সাড়ে আট ঘটিকা । নয়টার মধ্যেই তার পৌঁছতে হবে ভার্সিটির চত্বরে। ট্যাক্সি যেভাবে ঝড়ের গতিতে ছুটছে তাতে নয়টার আগেই যে সে পৌঁছতে পারবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অনিন্দ্যর অস্থির ভাবটা যেন কাটছে না। বার বার সে তার হাতের ঘড়িটায় চোখ দিচ্ছে। আর চশমা চোখে বারংবার সময়টা দেখে নিচ্ছে।
ট্যাক্সির ভিতরে বসে অনিন্দ্যর চারদিকে চোখ পড়ছে। ভার্সিটির কাছের জায়গাগুলোতে এসে বড্ড পুরানো দিনের কথা মনে পড়ছে। কতদিন এইদিকটায় আসা হয় না ! হাতের ফোনটা হঠাৎ বেজে উঠতেই অনিন্দ্য রিসিভ করে। ওপাশ থেকে চেনা কণ্ঠের আওয়াজ শুনতে পায় সে। আর উত্তর দেয়,” হাঁ,আসছি। দশ মিনিট।”
ফোনটা কেটে যায়। অনিন্দ্যর তাড়াহুড়া ভাব যেন আরও বেড়ে যায়। ট্যাক্সি চালককে তাই বলে,” আর একটু জোরে চলুন ভাই।”
” আইস্যা গেছি স্যার। আর দশ মিনিট।”
অনিন্দ্য আর কিছু বললো না। এই দশ মিনিট যে তার কাছে আজ দশ ঘণ্টার মতো লাগছে। এটা ট্যাক্সি চালকই বা কি করে বুঝবে? আর লাগবেই বা না কেন? বহুদিন পর যে আজ মিরার সাথে দেখা হচ্ছে। এতদিন ধরে তার ইচ্ছে, চেষ্টা , প্রতিক্ষার আজ অবসান হবে। সেই নীল খামটা পাওয়ার পর মাঝে একটা বছর কেটেছে। মিরার আর কোন চিঠি পায়নি। হঠাৎ কাল সকালে অজানা একটা ফোন কল আসে । আর অনিন্দ্য রিসিভ করে ” হ্যালো, কে বলছেন?” বললে ওপাশ থেকে উত্তর আসে,” হ্যালো , অনিন্দ্য, মিরা বলছি………”
চিরচেনা সেই কণ্ঠস্বর অনিন্দ্য কি আর ভুলতে পেরেছে। অবাক গলায় বলে ,”মি…ই…রা!!!”
ওপাশ থেকে উত্তর আসে,”হুম, মিরা।”
কিছুক্ষণ নিস্তব্ধতা। কয়েক সেকেণ্ড পর মিরা বলে,” আমি দেশে এখন। দেখা করবো তোমার সাথে , যদি তুমি চাও।”
” কবে, কখন?”
“কাল……ভার্সিটির সেই বকুলতলাতে।”
“হুম। আমি আসবো।”
“সকাল নয়টায় দেখা হবে তাহলে।”
” হুম।”
গন্তব্যস্থলে আসার পর অনিন্দ্য বকুলতলার পথ ধরে দ্রুত হাঁটতে থাকে। কাছাকাছি আসতেই মিরাকে নজরে পরে । মিরা যেন আগের মতোই আছে। যদিও ভালো করে ততটা এখনও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না।অনিন্দ্য এবার হাঁটছে কিছুটা ধীর গতিতে। কেন যেন তার হাঁটার গতিটা তার অজান্তেই শ্লথ হয়ে গিয়েছে!
অনিন্দ্য এখন মিরার কাছ থেকে দুই হাত দূরে। দূরত্ব দুই হাত কিন্তু তবুও যেন দুইজনের কাছেই মনে হচ্ছে যোজন যোজন দূরত্ব। অনিন্দ্য ভাবে সময়টাতো ছয় কি সাত বছরের। তাতেই বুঝি দুরত্ব এত বেড়ে গেলো! এত বছর ধরে মিরাকে কাছ থেকে দেখার কত হাহাকার সে শুনেছে তার ভিতরে! আজ মিরা সামনে দাঁড়িয়ে। তবুও যেন কতো দূরে মনে হচ্ছে।
খানিক নীরবতার পর মিরা বললো,” চলো বসি।”
আচমকা সম্বিত ফিরে পেলো যেন অনিন্দ্য। বললো ,” হুম,চলো।”
ছোট্ট গোল টেবিলের মুখোমুখি দুইজন। কথোপকথনের শুরুটা করলো মিরা। “আছো কেমন?”
মিরার সেই সহজ ভঙ্গিমায় কথা বলা। এতো বছর পরেও! অনিন্দ্য আজও অবাক । কিভাবে পারে মিরা! যেখানে অদৃশ্য এক সংকোচ অনিন্দ্যকে দূরে ঠেলে দিচ্ছিল বা হয়তো এখনও দিচ্ছে।
অনিন্দ্য দেখলো, মিরা উত্তরের অপেক্ষায়। ” আছি ভালো। তুমি?” উত্তর দিলো অনিন্দ্য।
“হুম………চলছে।”
আবারও কিছুক্ষণ নীরবতা। কিছুটা অস্বস্তি, সংকোচ। তবে তা মিরার ভেতরে বিদ্যমান কিনা তা সহজে বোঝার উপায় নেই। আর তাই মিরা এবারও প্রথমে মুখ নাড়ালো। বললো,” তুমি তো আগের মতোই আছো দেখছি। ” অনিন্দ্য চাপা হাসি দিলো। মিরা এরপর যোগ করলো,” তবে শুধু চোখের চশমাটা নতুন। “
অনিন্দ্য হঠাৎ চোখের চশমাটায় হাত দিলো। আর একটু ঠিক করতে করতে বললো,” হুম। দূরের জিনিস দেখতে একটু অসুবিধা হচ্ছিলো। বছর দুই আগে নেয়া।”
” ওহ,আচ্ছা।”
একটু পর অনিন্দ্য বললো,” তুমি কিন্তু আগের মতোই আছো।”
মিরা হাসলো,” তাই বুঝি।” বলতে বলতে মিরা যোগ করলো,” তোমার সংসার কেমন চলছে? বউ, মেয়ে আছে তো ভালো?”
” তুমি দেখি আমার সব খবরই রেখেছো। আছে ভালো।”
অনিন্দ্যর আবার চাপা হাসি। হাসলো মিরাও।
খানিক পর অনিন্দ্য বললো,” তোমায় আমি অনেক খুঁজেছিলাম মিরা। ” মিরা চুপ। ” তুমি দেশের বাইরে থাকো এটা কি আমাকে জানাতে পারতে না? সেই রেলস্টেশনের প্লাটফর্মের পর আমি কুমিল্লায় গিয়েছিলাম তোমার জন্য। পাইনি। এতটা আড়াল কেন? বলতে পারো।”
উত্তরে মিরা বললো, ” কুমিল্লায় পোস্টিং হওয়ার পর পরই কানাডায় আমার স্কলারসিফ হয়ে যায়। আর আমিও কানাডায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।”
” আমাকে তো জানাতে পারতে।”
” প্রয়োজন মনে করিনি। চেয়েছি তো আড়ালে চলে যেতে তোমার থেকে। তাই জানাই নি।”
অনিন্দ্য তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো। বললো,” তো হঠাৎ আড়াল ভাঙলে কেন?”
মিরা কোন কথা বললো না। একটা নীরব নীরবতা যেন খেলে যাচ্ছে তার চারপাশ জুড়ে।
অনিন্দ্য অবশ্য চুপ থাকার পাত্র নয়। অন্তত এ মুহূর্তের জন্য তো নয়ই। অনিন্দ্য বলে যাচ্ছে,” তোমার যখন মর্জি তখন তুমি আড়াল হবে; আবার যখন ইচ্ছে হবে তখন সামনে আসবে। কেন?”
“কেন আবার……… !!! তোমার প্রতিক্ষা ভাঙতে।” মুখে হাসি আনলো মিরা।
কেন জানি মিরার হাসিটা এ মুহূর্তে অনিন্দ্যর বড্ড বিরক্তিকর লাগছে? কেন যেন নিজেকে তার মিরার কাছে বড্ড পরাজিত মনে হচ্ছে? অনিন্দ্য মনে মনে ভাবতে লাগলো, যদি এ মুহূর্তে মিরার এই অসহনীয় সুন্দর ব্যক্তিত্ববোধকে ভেঙে দিতে পারতো আর একটিবার হলেও জিতে যেত মিরার কাছে………। সম্ভব কি? নাঃ, সম্ভব না।
মিরা হঠাৎ বললো,” তুমি দেখি আমার উপর অনেক রেগে আছো। এতদিন পর দেখা। আমি ভাবলাম কে কেমন আছি সে সম্পর্কে জানবো। কিন্তু তুমি তো!!!”
অনিন্দ্য চুপ। কেন জানি মিরার এই রকম আচরণও সে সহ্য করছে অনেক কষ্টে? কিন্তু হঠাৎ তার মনে হলো মিরা তো ঠিক বলছে। সেই তখন থেকে সে শুধু অনেক দিনের জমানো অভিমানই ঝেড়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গ পাল্টে তাই অনিন্দ্য বললো,” সরি। তোমার আমার সম্পর্কটা শুধু এখন অভিমানেই বিদ্যমান। তাই ………আচ্ছা………বাদ দাও। আমার সব খবরই তো তুমি রাখো। তোমার কোন খবর আমার জানা নেই। চেষ্টা করেছি অনেকবার জানতে। বলো , তোমার কথাই বলো………।”
মিরা চুপচাপ অনিন্দ্যর দিয়ে তাকিয়ে কথাগুলো শুনছিলো। সুদর্শন এই চেহারাটার মানুষটা একদিন তাকে অনেক ভালোবাসতো। আর এখন ………শুধু অভিমান ছাড়া আর কিছু না।
অনিন্দ্য হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো,” বিয়ে নিশ্চয়ই করেছো। “
মিরা মুখে কিছু বললো না। শুধু অস্পষ্ট “হুম” বলে মাথা নাড়লো।
অনিন্দ্য একটু হাসলো। জিজ্ঞেস করলো ,” ছেলেমেয়ে?”
” এক ছেলে।”
“হুম।”
অনিন্দ্য আর মিরা কিছুক্ষণ চুপ।
অনিন্দ্য এরপর বললো,” জীবন বড়ো অদ্ভুত । তাই না মিরা। কোনদিন কোন ক্ষণে আমি ভাবি নি তুমি আমার কাছ থেকে এতো দূরে চলে যাবে! অথচ আজ………!!! সবসময় তোমাকে আমার কাছের মানুষ ভেবেছি। আজ তুমি আমার কাছ থেকে বহু দূরের হয়ে গেলে। যাই হোক, তবুও ভালো লাগলো ভালো আছো জেনে।”
মিরা তখন বললো,” জীবনের শেষ বেলা পর্যন্ত কাছের মানুষগুলো কি আর একরকম থাকে অনিন্দ্য ! কিছু মানুষ হারিয়ে যায় চিরতরে। শুধু তাদের স্মৃতিগুলোই থেকে যায়। ধরে নাও না, আমিও তাদের মাঝেরই একজন।”
অনিন্দ্য কোন কথা বললো না। মিরার কথাগুলো তাকে বড়ো বিস্মিত করে তুলছিলো।
মিরা বলে যাচ্ছে তখনও, ” অতীতের আঁচ কখনো বর্তমানের উপর পড়তে দিতে নেই অনিন্দ্য। তাতে করে বর্তমানটা পুড়ে শেষ হয়ে যায়। “
অনিন্দ্য সাথে সাথে বললো, ” জানি। কিন্তু অতীতটা তো আমার পক্ষে ভুলে থাকা সম্ভব না। তোমাকে ভুলে যাওয়াও সম্ভব না। নীলাকেও আমি সবই বলেছি।”
” তাতে কি লাভ হলো? নীলাকে না বললেই পারতে। বলার মতো তেমন কোন কিছু তো হয়নি। হুম , আমরা একসময় একে অন্যের কাছাকাছি ছিলাম। কিন্তু এখন তো আর নেই। সব থেকে বড়ো কথা, এখন তোমার জীবনে আমি সত্য নই, সত্য শুধু নীলা—সারা জীবনের জন্য। আমাদের ব্যর্থ অতীতটার জন্য সে কেন কষ্ট পাবে? জীবনটা কি আর নাটক, সিনেমা? যে মুহূর্তে মুহূর্তে রং বদলাবে। জীবন তো এক বহমান নদী; নদী যেমন তার প্রয়োজন মতো দিক পরিবর্তন করে— আর প্রকাশ করে তার নতুন রূপ, ঠিক তেমনি জীবনও তার রূপ বদল করে প্রয়োজন মতো। “
“কিন্তু আমি তো রূপ বদলাতে চাইনি মিরা। আমার তো প্রয়োজন ছিল না।”
” প্রয়োজন ছিল অনিন্দ্য। এবং কেন তা তুমি ভালই জানো।”
” কিন্তু আমরা কি তার বিরুদ্ধে যেতে পারতাম না? “
” হয়তো পারতাম । কিন্তু তাতেও কি সুখ বয়ে আনতো? তোমার পরিবারের বিরুদ্ধে যেয়ে তুমি কি ভালো থাকতে?”
” ভালো তো আমি আজও নেই , মিরা। নেই নীলাও। দিনের পর দিন আমরা সবাই সুন্দর এক সুখের অভিনয় করে চলেছি । জানি না , তুমি কতটুকু ভালো আছো। তোমাকে আমি কোনদিন বুঝেও উঠতে পারিনি।”
মিরা এবার কিছুক্ষণ চুপ।
তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললো,” আমার কথা বাদ দাও অনিন্দ্য। তোমার কাছের মানুষ এখন আর আমি নই।”
হঠাৎ ঘড়ি দেখে চশমা ঠিক করতে করতে বললো,” আমাকে যেতে হবে।”
” ওহ্। আবার দেখা হবে কবে?” সাথে সাথে অনিন্দ্যর প্রশ্ন।
মিরা কিছু বললো না। তার চোখে কিছু একটা সে অনুভব করছে—খুব উষ্ঞ। মুখে হাসি এনে বললো,” জানি না।” বলে মিরা চেয়ার ছাড়লো।
” তোমার সাথে যোগাযোগ রাখবো কি করে?” চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে জিজ্ঞেস করলো অনিন্দ্য।
মিরা চলেই যাচ্ছিলো। কিন্তু অনিন্দ্যর কথা শুনে আবার উল্টো দিকে ফিরে বললো,” চোখটা এক পলক বন্ধ করে দেখো অনিন্দ্য। এ মুহূর্তে তোমার সবচেয়ে কাছের মানুষ কে? তোমাকে প্রয়োজন কার সব থেকে বেশি? তাহলে আর আমার সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন পড়বে না।”
মিরা পা বাড়ালো সামনের দিকে। অনিন্দ্য তার চোখ বন্ধ করলো । বন্ধ চোখে সে অনুভব করলো, সে কাউকে দেখছে। আবছা……… পরিষ্কার নয়। যেন আলোছায়ার খেলা। তার সামনে আসছে ধীরে ধীরে। কে? মিরা………নীলা………নাঃ স্পষ্ট নয়। এখনও কাছে এসে চলেছে। কাছে………খুব কাছে। হুম, এইতো স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে। খুব সুন্দর হাসিমাখা একটা মুখ। আর তা দর্শন করে অনিন্দ্যরও এ গাল থেকে ও গালে বাচ্চার মতো হাসি। হঠাৎ আচমকা একটা শব্দে চোখ খুললো অনিন্দ্য। হাতের ফোনটা বেজে উঠেছে তার। দেখলো স্ক্রিনে নীলার নাম। ফোনটা রিসিভ করতে করতে অনিন্দ্য দেখলো মিরা ধীরে ধীরে দূরে চলে যাচ্ছে। আর এক মুহূর্ত দেরি না করে নীলাকে সে বললো, ” রুমঝুম কে নিয়ে বাইরে যাবো। তৈরি হয়ে নাও। আমি আসছি।”
দুপুর তখন গড়িয়ে আসছে। সূর্যের প্রখর আলো খেলে যাচ্ছে শীতের ঠাণ্ডা হাওয়ার সাথে। তবুও শীতের কনকনে হাওয়া অনুভব করা যাচ্ছে ভালোভাবেই।
অনিন্দ্য চলেছে তার কাছের মানুষের কাছে। মিরা কিছুটা সময় পর পেছন ফিরে তাকায় আর দেখে অনিন্দ্য ছুটে যাচ্ছে রুদ্ধশ্বাসে বিপরীত রাস্তা ধরে। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা হাওয়ার মাঝে মিরার দুই চোখ জুড়ে তখন প্রখর উষ্ণতা আর বুকের ভিতর শুধু অজানা এক অতৃপ্ততার হাহাকার।
লেখক পরিচিতি : প্রিয়াংকা রাণী শীল
আমি প্রিয়াংকা।জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। পড়াশোনা করেছি চট্টগ্রামেই। গল্প, উপন্যাস পড়তে ভালবাসি। আর ভালবাসি গল্প লিখতে। পড়াশোনা করা অবস্থায় স্কুল,কলেজ ম্যাগাজিনে তিনবার আমার লেখা গল্প ছাপানো হয়েছিল।বর্তমানে বাস করছি ইতালিতে। আমার লেখা গল্প পড়ে ভালো না খারাপ লাগলো তা জানালে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
খুব সুন্দর
ধন্যবাদ।
মন ছুয়ে গেল