লেখক : মোঃ সায়েম কবির নয়ন
নানা সময় নানা ভাবে নানান কথা বলি
কখনও কবি কখনও বা কবিতার মতো চলি,
এই সব দেখে নানা লোকে কয় আমায় কবি
আসলে যে ছিল সে তো গুরু আমার রবি,
আজও পাইবে নানান বইয়ে, দু’একখানা ছবি।
ওনার কবিতায় মুগ্ধ হয়ে এইসব আমার লেখা
এদিক ওদিক দেখে আমার নানা কিছু শেখা,
উঁকি দিলে মনের ভেতর পাইবে তাহার দেখা
আজ আমার সব কিছুই গুরুর কাছেই শেখা।
প্রকৃতির এই সুন্দর রূপের আসল রং যে সবুজ
আমি যাহার খোঁজ নেই, সেই আজ নিখোঁজ,
এই সব কিছু বুঝতে বুঝতে নিজেই হলাম অবুঝ
স্বার্থপর এই দুনিয়াতে কেউ নিবে না খোঁজ।
দুঃখী হয়ে বসে ছিলাম গাছে মাথা দিয়ে
যাচ্ছিল এক পরীর মতো, মাথায় কলস নিয়ে
দেখে আমার কাঁপন গেল, মনের ভেতর দিয়ে,
দাঁড়িয়ে গিয়ে আমি তাহার গেলাম পিছু পিছু
বুঝতে পেরে সে তখন কলস করল নিচু,
ভিতু স্বরে ডাকুনি দিয়ে দাঁড় করালাম তারে
ঘাড় ফিরিয়ে মুচকি হাসি দিলো বারে বারে।
সেইদিন থেকে জগৎ আমার লাগছিল বড়ই মিষ্টি
তাহার উপরে পড়েছে আমার প্রেমের শুভ দৃষ্টি,
বাইরে হচ্ছিল তখন হালকা রৌদ্দুর বৃষ্টি
কী অপরূপ, স্রষ্টার এই সৃষ্টি।
পরের দিনে তাহার খোঁজে, নদী দিলাম পাড়ি
ঘন্টা খানেক খোঁজার পর পেলাম তাহার বাড়ি,
লুকিয়ে লুকিয়ে নয়ন খানি খুঁজছিল তাহার দেখা
বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে, বসা আছে একা,
আমার এই যে প্রেমের গল্প, কোথায় গিয়ে থামে
হঠাৎ সে দৌঁড়ে আসে আমার কাধের বামে।
লজ্জা ভরা কণ্ঠ নিয়ে বললো আমায় কিছু
ভিতু হয়ে এদিক আমার মাথা ছিল নিচু।
ঘাড় তুলে মোর নয়ন দিয়া তার নয়নে নয়ন
দেখিতে পাইলাম তাহার মাঝে আমার জীবণ-মরণ।
এইভাবে মোরা পেরিয়ে দিলাম দু’কয়েক বছর
এরই মাঝে নেমে আসিল কালবৈশাখীর ঝড়,
জলে ভরা নয়নে সে আসিল আমার বাড়ি
তার পরিবার তারে দিবে বিদায়, অন্যলোকের বাড়ি,
ছিল তার বিরাট বাড়ি, ছিল বিশাল গাড়ি,
তার পরিবার দিবে তারে এমন লোকের বাড়ি।
কাঁদতে কাঁদতে রাখে মাথা আমার কাঁধে গিয়ে
সেই রাতের পর শেষ হলো প্রেম, তাহার বিয়ে দিয়ে,
তাহার ছেড়ে যাওয়াটা আমায়, দিচ্ছিল বড় দুখ
এরই মাঝে মৃত্যু আমায় দিয়ে গেল বাকি জীবনের সুখ।
লেখক পরিচিতি : মোঃ সায়েম কবির নয়ন
সায়েম কবির নয়ন
আমি খুব খুশি। ধন্যবাদ আমার লিখা “কবির কবিতা” তুলে ধরার জন্য🌸🖤