লেখক : অমিতাভ প্রামাণিক
অমিত বাবু খুবই খুঁতখুঁতে মানুষ, গিন্নি চোদ্দো শাক আনতে বলায় সকাল সকাল থলে হাতে বাজারের দিকে রওনা দিয়েছেন। ওদিকে ছোট্ট রূপ মায়ের কাছে শুনেছে আজ চোদ্দো শাক খেতে হয় তাই সে অধীর আগ্রহে বসে আছে, সে কোনদিনও একসাথে চোদ্দো শাক খায়নি। ঘণ্টা দুয়েক পর অমিতবাবু বাড়ি ঢুকতে ঢুকতে বললেন, ‘পেয়েছি গো গিন্নি, পেয়েছি, চোদ্দোটা শাক একটা একটা করে গুনে গুনে কিনেছি। তুমি একবার মিলিয়ে নাও। বাজারে কি আর চোদ্দো শাক পাওয়া যায় গো, তিন-চারটে শাক কেটে কুটি-কুটি করে চোদ্দো শাক বলে চালাচ্ছে। আমি একটা শাকওয়ালাকে বলে রেখেছিলাম ও আমার জন্য চোদ্দো রকমের শাক আলাদা আলাদা করে এনে দিয়েছে।’
দুপুরে চোদ্দো শাক রান্না করে গিন্নি খেতে দিলেন। অমিত বাবু ও ছোট্ট রূপ একসাথে বসলেন। অমিতবাবু খেতে শুরু করেছেন কিন্তু রূপ চুপটি করে বসে আছে। গিন্নি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কি রে রূপ, খাচ্ছিস না কেন?’ ছোট্ট রূপ বললো, ‘এ কিগো মা, একটা শাক রান্না করে দিলে, আজ তো চোদ্দো শাক দেবে, আগে চোদ্দো শাক আলাদা আলাদা করে রান্না করে দাও তারপর তো খাবো।’ অমিত বাবু আর ওনার গিন্নি ছেলের কথা শুনে হতবাক।
লেখক পরিচিতি : অমিতাভ প্রামাণিক
Librarian, R.I.O. Medical College, Kolkata