অম্লানটাইমস-৭

লেখক : অম্লান ভট্টাচার্য

নিজেকে ভাঙ্গুন নিজেকে গড়ুন

অনেকদিন পর আবার এই পেজে এলাম। পৃথিবী দ্রুত বদলাচ্ছে এবং মানবমনও পিছিয়ে নেই। বস্তুজগৎ যেভাবে মনোজগৎকে প্রভাবিত করে, তদ্রূপ মনোজগত বর্হিবিশ্বকে।

এই বদলানো পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় মনোজাগতিক ব্যাপার। আমার কাছে কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও এটা বলাই যায় যে ক্রাইমের বাড়বাড়ন্ত হয়ে চলেছেই। সামাজিক অনুশাসন এখন আর কাজ করে না। একমাত্র কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাই পারে এই বাড়বাড়ন্ত কমাতে। আইনব্যবস্থার উপর পুরো আস্থা রেখে একটা অন্য বিষয়ের প্রতি আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

আমি যে বিষয় নিয়ে এই পেজে আলোচনা করি, সেটা ফলো করলে আমার বক্তব্য পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমাদের মনোজগতের যে বেসিক প্রবণতা, সেটা খুব নিবিড়ভাবে দেখলে দেখব যে আমরা নেগেটিভ চিন্তাভাবনার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করি, যা কিনা ঐ ক্রাইমের দিকে আমাদের ধাবিত করে। সোজা করে বললে যেটা বলতে হয় তা হ’ল, আমাদের প্রথম ভুল দ্বিতীয় ভুলের জন্ম দেয়, আর এই ভাবে ক্রমে ক্রমে গর্হিত ও লঘু ক্রাইমের জন্ম হতে থাকে। যেন মনে হয় আমাদের দিয়ে কেউ বা কারা খারাপ কাজ করাতে চায়। বেশির ভাগ মানুষ এটা আটকাতে পারে না। এই ব্যাপারটা একজন ব্যক্তিমানুষ নিজেকে ওয়াচ করলে বুঝতে পারে। মানুষকে প্রথমত নিজেকে ডিফেন্ড করতে হবে, তাহলে আমাদের এই সমাজ, রাষ্ট্র, চলতি আইন-কানুন বাঁচতে পারবে। প্রথমে নিজেকে বাঁচাতে হবে, তারপর রাষ্ট্র তাকে সাহায্য করবে। ব্যক্তি নিজেকে যত বেশি ট্রেইন করতে পারবে, অর্থাৎ সঠিক জীবন যাপন, সঠিক এডুকেশন, সঠিক সায়েন্স-বেসড লাইফস্টাইল, ততই মঙ্গল। একমাত্র এর ভিতর দিয়েই একজন ভাল মানুষ একটা ভাল সমাজ এবং একটা সমাজতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক অধিকারবোধের বিশ্ব তৈরী করবার পথ প্রশস্ত করতে পারে। আমার পেজের সব লেখাগুলো পড়লে খানিকটা আইডিয়া তৈরি হতে পারে যে, আমি কী বলতে চাইছি। এই আইডিয়া নিয়ে যদি তোমরা সার্কল কর, তোমরা বিশ্বসংসারের খুঁটিনাটি জানতে পারবে পরবর্তী পর্যায়ের জন্য।

থ্যাংকস। তো আজ এখানেই শেষ করি। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আবার দেখা হবে আশা করি।

অম্লানটাইমস, কলকাতা।


আগের ও পরের পর্বের লিঙ্ক<< অম্লানটাইমস-৬

লেখক পরিচিতি : অম্লান ভট্টাচার্য
জন্ম ২৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭, কলকাতা। স্কুল - ঢাকুরিয়া রামচন্দ্র হাইস্কুল, কলেজ - সেন্টপলস, বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক, কলা বিভাগে স্পেশাল স্নাতক, কারিগরি শিক্ষা, কম্পিউটার ডিপ্লোমা ও টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শিক্ষা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ অবসর। এযাবৎ তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত, মূলত কবিতা প্রাধান্য পেয়েছে লেখালেখিতে এবং এই সূত্রে চতুর্থ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

লেখা জমা দিতে ছবিতে ক্লিক করুন