লেখক : অম্লান ভট্টাচার্য
নিজেকে ভাঙ্গুন নিজেকে গড়ুন
আজ আবার অনেকদিন পর, একদম প্রথমেই শুরু করছি মূল থেকে, যদিও খুব একটা ইচ্ছে ছিল না। তবু ফেসবুকের তাড়নায় লিখতে হচ্ছে। আমরা শত্রুকে সঙ্গে নিয়েই ঘুরছি। একদম ভিতরে বাসা বেঁধে আছে শত্রু। কখন যে বেরিয়ে আসবে, আমরা কেউই বলতে পারব না। শত্রু বলতে আমি বোঝাচ্ছি আমাদের ক্রোধ, হিংসা, লোভ, কামনা ইত্যাদি। এরা প্রতিনিয়ত আমাদের দিয়ে ঘৃণ্য কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এরা বাসা বেঁধে আছে সাবকনসাস মাইন্ডে, সুযোগ সুবিধা বুঝে বাইরে বেরিয়ে পড়ে, আর তারপর যা হবার তাই হয়! এর থেকে মানুষের মুক্তি নেই। পৃথিবীর কোন শক্তি এদের শেষ করতে পারে না।
আমি আমার এই পেজে বহুদিন ধরে এই বিষয়ে বলে আসছি। মনে হতে পারে এটা একটা সামান্য বিষয়, কিন্তু আদপেই তা নয়। আমাদের মানব সভ্যতার এটা একটা কলঙ্কময় অধ্যায়। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দুর্বিপাকের মূল ভিত্তি এটাই।
তবে কি এর থেকে আমাদের মুক্তি নেই? নিশ্চয়ই আছে। প্রথমে আমাদের এটাকে স্বীকার করে এগোতে হবে, আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের ভাল করে জানতে হবে। একজন মানুষকে ভিতরের এই ধরণের ত্রুটিবিচ্যুতির হিসেব নিকেশ করতে হবে। যখন আমরা এই বিষয়ে জানতে পারব সামগ্রিকভাবে, তখন থেকেই আমাদের ভিতরে একটা পরিবর্তন আসবে। আর এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের পরবর্তী কাজ শুরু হবে।
এই প্রাথমিক কাজটা আগে করতে হবে। দিজ চেঞ্জেস হ্যাভ টু টেক প্লেস। দেন আওয়ার সিস্টেম উইল স্টার্ট টু ওয়ার্ক ফর এ নিউ ডিরেকশন অফ লাইফ। এ নিউ লাইন অফ থিংকিং অ্যাবাউট দি ইউনিভার্স উইল স্টার্ট টু ফাংশন। সুতরাং বন্ধুগণ, আমাদের কাজ শুরু করে দিতে হবে একটা নতুন পরিবর্তিত ভার্সন অফ লাইফের জন্য।
থ্যাংকস অ্যান্ড সি ইউ সুন।
অম্লানটাইমস।
লেখক পরিচিতি : অম্লান ভট্টাচার্য
জন্ম ২৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭, কলকাতা। স্কুল - ঢাকুরিয়া রামচন্দ্র হাইস্কুল, কলেজ - সেন্টপলস, বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক, কলা বিভাগে স্পেশাল স্নাতক, কারিগরি শিক্ষা, কম্পিউটার ডিপ্লোমা ও টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শিক্ষা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ অবসর। এযাবৎ তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত, মূলত কবিতা প্রাধান্য পেয়েছে লেখালেখিতে এবং এই সূত্রে চতুর্থ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ।