লেখালিখি ওয়েবজিন, শীত সংখ্যা – ১৪৩১

ঘাসের আগায় রুপোলি শিশির ভিড় করে থাকে, কুয়াশার মধ্য থেকে ভেসে আসে রেলগাড়ির হুইসেল, ভেজা হাওয়ায় মিশে থাকে ফেলে আসা মনখারাপের অন্ধকার। ঘাড়ের কাছে কামড়ে ধরে শিরশিরে ভয়। দুপুর রোদে খোলা হয় ন্যাপথলিনের গন্ধ মাথা বাক্সপেটরা। খেজুরের রস হাঁড়িতে ভরে হেঁকে যায় একটি লোক। ‘শীত এসেছে… শীত… শীত নেবে গো…’। নাহ্ শীতের ফেরিওয়ালা আসে না, ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে নিয়ম মেনে হাওয়ায়-পাতায় শীত আসে।
দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হয় “শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা…”। দূষণ ভরা শহরে ভালবাসার উষ্ণতার আঁচ নিতে শীত আসে। কিছুদিনের অতিথি শীত তবুও কদরদারের অভাব নেই।
শীতের সঙ্গে নিয়ম মেনে আমাদের লেখালিখির আঙিনাতেও আসে শীতসংখ্যা। এই সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ ‘ভয়’!

ওয়েবজিনের লেখা জমা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

ওয়েবজিনে লেখা জমা নেওয়ার পদ্ধতির পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরবর্তী ওয়েবজিনে শুধুমাত্র লেখালিখি সাইটে এই সংখ্যা প্রকাশের পর থেকে পরবর্তী ওয়েবজিন প্রকাশের আগের দিন পর্যন্ত প্রকাশিত লেখাগুলির মধ্যে সম্পাদকমন্ডলী মনোনীত লেখাগুলিই স্থান পাবে। অর্থাৎ পরবর্তী ওয়েবজিন হতে চলেছে লেখালিখি সাইটে প্রকাশিত লেখাগুলির মধ্যে বাছাই করা লেখার আকর্ষণীয় সংকলন।

আমাদের পরবর্তী ওয়েবজিনের লেখক তালিকায় জায়গা করে নিতে আপনার অপ্রকাশিত লেখাগুলি নিয়মাবলী মেনে জমা দিতে থাকুন। লেখা জমা দেওয়ার পদ্ধতি ও নিয়মাবলীর জন্য এখানে ক্লিক করুন

পরবর্তী ওয়েবজিনে আপনার লেখাকে দেখতে হলে আপনার সেরা অপ্রকাশিত লেখাগুলি যত শীঘ্র সম্ভব জমা দিন কারণ লেখা জমা দেওয়ার পর আপনার লেখা প্রকাশিত হতে সর্বাধিক ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

নিচের ছোট্ট ছবিটি ক্লিক করে এই সংখ্যাটি পড়ুন আর কমেন্ট করে জানান কেমন লাগল

শীত সংখ্যা ১৪৩১

ওয়েবজিন প্রকাশের সময়কাল:

জন্মদিন সংখ্যা – ১৪ জুন (লেখালিখি সাইটের জন্মদিন)
উৎসব সংখ্যা – মহালয়ার দিন
শীত সংখ্যা – ১ জানুয়ারি
নববর্ষ সংখ্যা – ১ এপ্রিল

বি.দ্র. পুরনো সংখ্যাগুলি একত্রে পাবেন এই লিঙ্কেhttps://lekhalikhi.sobbanglay.com/category/webzines/

7 Comments

  1. Amlan Kusum Bhattacharya

    প্রথমে খুলছিল না, পরে সমস্যা কেটে গেল, প্রচ্ছদ ভালো হয়েছে, সাজানো গোছানো
    খুবই চিত্তাকর্ষক, এক নজরে দেখেছি, পরে
    বিস্তারিত ভাবে পড়ব, যাঁরা এই সংখ্যা তৈরি
    করেছে তাদের প্রতি আমার একটা অতিরিক্ত
    শ্রদ্ধা, ভালোবাসা নিবেদন করছি এছাড়াও সবাইকে আই মিন সবাইকে রিপিট সবাইকে
    আমার শত শত সেলাম, একদম বাড়তি কিছু
    বলছি না, এটা আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের স্বীকৃতি।
    ধন্যবাদ সবাইকে রিপিট সবাইকে।
    ( অম্লান ভট্টাচার্য, কলকাতা)

  2. অরিত্র

    রতনদার লেখা দিয়ে পড়া শুরু করলাম। “বৈদিক আমলে খাদ্যের অভাব ও বিভাব” – অসাধারণ মনোজ্ঞ প্রবন্ধ। তথাকথিত রামরাজত্বে আদতে খিদের কী চেহারা ছিল, যেখান থেকে অন্নই ব্রহ্ম উপলব্ধি উঠে আসছে, তার একটা পরিষ্কার চেহারা পেলাম। আরও পড়ার ও খোঁজার আগ্রহ বাড়লো। শ্বেতকেতুর গল্পটা ইন্টারেস্টিং। অন্নের (খাদ্যের) অভাবে বেদজ্ঞানের বিস্মৃতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় খাদ্যই ঈশ্বর!

  3. অঞ্জন মুখোপাধ্যায়

    “আত্ম স্বভাব দোষে টুকরো টুকরো গল্পের ফাঁকে তথ্য বুনে দেওয়ার”র জন্য, আপনার আত্মস্বভাবকে ধন্যবাদ জানাই দাদা।
    পড়তে চমৎটার লাগল। বৈদিক আমলে খাদ্যের অভাব ও বিভাব। আসলে এমন লেখা না পড়লে পিছিয়ে ডট ডট ডট

  4. Pradip Saha

    রতন চক্রবর্তীর “বৈদিক আমলে খাদ্যের অভাব ও বিভাব” একটি অত্যন্ত সংহত, পরিচ্ছন্ন, তত্তৃ-তথ্য-সমৃদ্ধ হয়েও সর্বজনবোধ্য, অনুভববেদ্য এবং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ লেখা। লেখাটি অনেককেই চোখ খুলে দেখতে শেখানোর মতো। নতুন বছরের গোড়াতেই এমন একটি আবহমান সমস্যার স্বরূপসন্ধানী লেখা উপহার দেবার জন্য লেখক এবং ওয়েবজিন পত্রিকাকে ধন্যবাদ।

    পুনশ্চ: শিরোনামটি চমৎকার। ‘অভাব’-এর বিপরীতে ‘বিভাব’ সেই চমৎকারিত্বকে আরো বাড়িয়েছে। কিন্তু এখানে বিভাব-এর অর্থটাকে কি ‘অবধারণ’ হিসেবে নেব? নাকি স্থায়ী রসের কারণ হিসেবে? বৈভব -এর বিশেষ্য হিসেবে নয় নিশ্চয়ই।
    (প্রদীপ সাহা)

  5. Subrata Basu

    অনবদ্য লেখা রতন চক্রবর্তীর। যে রকম অপূর্ব এর শুরু তেমন অসাধারণ রিসার্চ। এরকম আরও লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

দীপায়ন