শুভঙ্কর সান্যালের প্রেম

লেখক : অরিজিৎ লাহিড়ী

গেল।

ঠিক তখনই, সেই আলো ঢুকে পড়ল তার ঘরে। ঘর হঠাৎ ঠাণ্ডা হয়ে গেল, এবং এক গভীর নিঃশব্দতায় ভরে গেল। শ্রাবণী শ্বাসরোধ করে দাঁড়িয়েছিল। তারপর সেই আলো থেকে একটা স্বচ্ছ সিলুয়েট বের হয়ে এল। একজন মহিলা, যার মুখটা অবিকল শ্রাবণীর মত।

“শ্রাবণী,” সেই মহিলা বলল, তার গলার স্বর যেন অন্য কোথাও থেকে আসছে, এক অন্য জগৎ থেকে। “আমি তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি।”
শ্রাবণী ভয় পেয়ে গেল। “তুমি কে? তুমি কী চাও?”

শ্রাবণী কিছু বুঝতে পারছিল না। তবে সেই মহিলার চোখে কিছু ছিল, যা তাকে জানিয়ে দিল, এটা কোন সাধারণ ঘটনা নয়। মহিলা এগিয়ে আসল এবং এক লহমায় শ্রাবণীকে নিজে কাছে টেনে নিল। তার হাত স্পর্শ করতেই শ্রাবণী হঠাৎ দেখতে পেল, তার চারপাশের ঘর বদলে যাচ্ছে। মিশিগানের রাস্তা, বাড়ি, গাছ – সব কিছু হঠাৎ এক অন্য সময়ে চলে যাচ্ছে।

তারা কোথাও চলে যাচ্ছিল – এক রহস্যময় জায়গায়, যেখানে সময় একধরনের প্রবাহিত অমীমাংসিত প্রবাহ। হঠাৎই, সেই মহিলার হাত শ্রাবণীর হাতের মধ্যে মিশে গেল। চমকে উঠল শ্রাবণী, কিন্তু কোনও অস্বস্তি ছিল না। যেন পুরনো কিছু ফিরে আসছে।

শ্রাবণী বসে আছে মধ্য কলকাতার ট্রেন্ডি পাব “দ্য মিডনাইট আওল”-এ। তার সামনে যে বসে আছে, সে ওর দিকে ডান হাতটা বাড়িয়ে দিল। “কেমন আছিস?” গলা এবং মুখ দুটোই শ্রাবণীর পরিচিত। শুধু সামনের মানুষটার চেহারায় কিছুটা বয়সের ছোঁয়া লেগেছে।

শ্রাবণী, সাবলীল ভাবেই টেবল থেকে লং আইল্যান্ড টি’য়ের গ্লাস তুলে নিয়ে চুমুক দিয়ে উচ্ছসিত কণ্ঠে বলল, “ ভাল আছি শুভঙ্কর। খুব ভাল আছি। ”


লেখক পরিচিতি : অরিজিৎ লাহিড়ী
সীমিত সময়ের লেখক। কর্পোরেট কর্মী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।