লেখক : জিৎ দত্ত
চোখ খুলতেই দেখি অন্ধকার,
দু’কানে আদিম কবরের নিস্তব্ধতা।
তবু এগিয়ে চলি স্যাঁতসেতে পিচ্ছিল রাতের যোনি পথ ধরে।
হঠাৎ শিথিল পায়ে ঠেকে শীতল কোন শরীর
অন্ধকার আড়াল করে রাখে তার নাম, জাত, গোত্র, লিঙ্গ।
হয়ত হেরে গেছে কেউ অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে,
ছিল না যোগ্যতম তাই হয়নি উদ্বর্তন।
নিছক কৌতূহলে বুকের পাঁজর থেকে,
একটুকরো আগুন বের করে
ছুঁড়ে মারি রাতের ফায়ার প্লেসে,
আমার আগুনে পুড়তে থাকে রাত,
খসে পড়ে কুচো কুচো আলোর টুকরোগুলো।
উত্তাপহীন আগুনের রাসায়নিক পরিবর্তনে –
স্পষ্ট হয়ে ওঠে সেই রহস্যময় অবয়ব,
আমি বহুবার দেখেছি এ’ চেহারা, আমার আয়নার বিপরীতে।
ক্ষণিকের স্তব্ধতা, তারপর ডিঙিয়ে যেতে হয় খোলসের কাঁটাতার।
পড়ে থাকে আগুন, আরও ঘন হয় অন্ধকার।
পায়ে পায়ে বেড়ে যায় দূরত্ব,
নতুন জরায়ুর সন্ধানে।
পিছনে পড়ে থাকে শ্যাওলা শরীর,
আর ফেলে আসা রাতের ফসিল।
লেখক পরিচিতি : জিৎ দত্ত
জন্ম ৬ ই নভেম্বর ১৯৮৯, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত বোড়াল গ্রামে। স্কুল জীবন কেটেছে বোড়াল হাই স্কুলে। পরবর্তী কালে নেতাজী নগর ডে কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক, ও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে হুগলি জেলার একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ পদার্থবিদ্যার লেকচারার হিসাবে কর্মরত। ইতিপূর্বে লেখা কবিতা ও গল্প বেশ কিছু সংকলন ও অনলাইন এবং অফলাইন পত্র, পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।