অম্লানটাইমস-২

লেখক : অম্লান ভট্টাচার্য


নিজেকে ভাঙ্গুন নিজেকে গড়ুন

আমি সরাসরি বিষয়ে যাচ্ছি কোন রকম ভূমিকা ছাড়াই। আমি যেগুলো বলছি, সেটার কোনকিছুই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। তবুও আমার এ’রকম মনে হচ্ছে যে, আমাদের মনে, অর্থাৎ সাবকনশাস মাইণ্ডে একধরণের সিস্টেম রান করছে, যা ক্যামেরা ও সাউণ্ড সিস্টেমের মত। মানে আমরা যে কাজগুলো আজকে করলাম, তা মোটামুটি একরকম রেকর্ড হয়ে যায়। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আজকের অ্যাকশানটার আবার রিপিটেশন হয়। অর্থাৎ, আমি আজকে যদি কোন গর্হিত কাজ করি, তবে তা পরবর্তীকালে রিপিট হয়। আবার যদি মহৎ কিছু করি, সেটাও আবার রিপিট হবে। মানে এই দাঁড়াল যে, আমরা অনেস্টলি, সিনসিয়ারলি, এবং থরোলি যে কাজগুলো করি, সেগুলোর কিন্তু অবশ্যই রিপিটেশন হবে, যা কিনা একসময় গিয়ে হয়ে দাঁড়াবে আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এই বিষয়ের অনেক ব্যাপ্তি আছে এবং সেটা এইরকম একটা ছোট পরিসরে বোঝানো সম্ভব নয়। মানুষ যদি নিজেকে ডিপলি ফলো করে, তাহলে সে নিজেই নিজের সম্বন্ধে অনেক কিছু বুঝতে পারবে। সে যদি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে, তাহলে ভবিষ্যৎ তার মত করে অনেকটাই চলতে পারে। এমনকি সে তার বাইরের জগৎকেও ইন্টেলিজেন্টলি কন্ট্রোল করতে পারবে। এই বিষয়ে আমি বিস্তারিতরূপে পরে আলোচনা করব।

মোটামুটি এটা বলাই যায় যে, তুমি আজ যা করবে অনেস্টলি, দি সাবকনশাস মাইন্ড অলসো পারফর্ম করবে অ্যাকর্ডিংলি। তুমি যদি অসৎ লোক হও এবং এটার একটা হিস্ট্রি থাকবে নিশ্চয়, তাহলে যেটা দাঁড়াবে, তোমাকে আমৃত্যু এই ট্র্যাকে নিয়ে দৌড় করাবে তোমার সাবকনশাস মাইন্ড, যদি না তুমি নিজেকে ঐ ট্র্যাক থেকে বের করতে পার। সুতরাং যা করবে ভেবে চিন্তে। সাবকনশাস মাইণ্ড কিন্তু স্পাই ক্যামেরার মত কাজ করে, তোমার প্রতিটি অ্যাকশান নোট হয়ে যাচ্ছে। পরে আমাদের সুদে-আসলে বুঝিয়ে দেবে, ভাল হলে ভাল, আর খারাপ হলে খারাপ।

মানুষের এই যে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, ও মাৎসর্য্য – এ সবই রিপিটেশন অফ দি পাস্ট। এর বাইরে আমরা কেউ নয়। তবে পার্থক্য এটাই, যে যত বেশি এক্সিডেন্ট ফ্রি হিসাবে লাইফকে চালাতে পারবে, সে ততই একজন সাকসেসফুল মানুষ হতে পারবে। আজকে এখানেই বন্ধ করলাম।

অম্লানটাইমস। কলকাতা।


আগের ও পরের পর্বের লিঙ্ক<< অম্লানটাইমস-১

লেখক পরিচিতি : অম্লান ভট্টাচার্য
জন্ম ২৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭, কলকাতা। স্কুল - ঢাকুরিয়া রামচন্দ্র হাইস্কুল, কলেজ - সেন্টপলস, বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক, কলা বিভাগে স্পেশাল স্নাতক, কারিগরি শিক্ষা, কম্পিউটার ডিপ্লোমা ও টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শিক্ষা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ অবসর। এযাবৎ তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত, মূলত কবিতা প্রাধান্য পেয়েছে লেখালেখিতে এবং এই সূত্রে চতুর্থ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ।

2 Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।