লেখক : অম্লান ভট্টাচার্য
নিজেকে ভাঙ্গুন নিজেকে গড়ুন
অম্লানটাইমস মানুষকে এটাই বলতে চায় যে, তার নিজের সম্বন্ধে সে যতটা জানতে পারবে, ততই তার চলার পথ মসৃণ হবে। পাশাপাশি নিজেকে যুক্ত করতে হবে বিশ্বজগতের সঙ্গে। আর এই যুক্ত হতে গেলে নিজের কাছে নিজেকে স্বচ্ছ রাখতে হবে। মানে মোটামুটিভাবে মহাকাশের উৎস থেকে বর্তমান সময় অবধি জ্ঞানের যে বিকাশ, তা মাথায় ধরে রাখতে হবে। লিখিত ভান্ডার থেকে নিজের কমন সেন্স প্রয়োগ করে নিজের পার্সপেক্টিভে বিচারধারা তৈরী করতে হবে। ব্যাপারটি অল্প কঠিন হলেও দুঃসাধ্য নয়। তবে পুরোটাই ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। তবে সত্যের মুখোমুখি হতে গেলে প্রয়োগ ধারায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। তবে একটা ব্যাপার আমি বলব যে, নিজেকে জানার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। মানুষের যখন সত্যের মুখোমুখি হতে হয়, তখন তাকে নিজেকেই লড়তে হয়, আর এই লড়াইয়ে তাকে সাহায্য করে তার নিজস্বতা।
তাই বন্ধু বারবার একটা কথাই বলতে হয় যে, নিজেকে জানো পুরোটা, আগাগোড়া, আর এটার কোনও বিকল্প নেই। আরেকটা কথা বন্ধুরা, যদি এই বিষয়ে কোনও কথা বলার থাকে এবং সেটা যদি বলা যায়, তবে সবাই লাভবান হতে পারে।
আমি আশা করব যে আমার সাথে ইন্টার্যাকশন হবে নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ।
লেখক পরিচিতি : অম্লান ভট্টাচার্য
জন্ম ২৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭, কলকাতা। স্কুল - ঢাকুরিয়া রামচন্দ্র হাইস্কুল, কলেজ - সেন্টপলস, বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক, কলা বিভাগে স্পেশাল স্নাতক, কারিগরি শিক্ষা, কম্পিউটার ডিপ্লোমা ও টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শিক্ষা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ অবসর। এযাবৎ তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত, মূলত কবিতা প্রাধান্য পেয়েছে লেখালেখিতে এবং এই সূত্রে চতুর্থ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ।