লেখক : মহম্মদ আরমান মুন্সী
সকালবেলা উঠে যখন সূর্যের প্রথম রশ্মি মাথার উপর পরে, তখন মনে পড়ে আমাদের সোনালী অতীতের কথা। ছোটবেলায় যখন পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে সকালে নাশতার টেবিলে, মা-মাটির পুতুলের মতো গরম গরম পরোটা পরিবেশন করতেন। বাথরুমের গেট থেকে উঠে আসা শিশির বিন্দুতে ফুলের পাপড়ির ছোঁয়া, আর সেই সাথে পাড়ার সবুজের মাঝে ছড়ানো হাসির ঝাঁক। সেইসব দিনগুলো যেন এক টুকরো স্বপ্ন।
বিকেলবেলা বন্ধুরা মিলে খেলার মাঠে গিয়েছি, জামাকাপড় মাটিতে গড়িয়ে গেছে, কিন্তু কেউই ফিরতে চায়নি। সেদিনের আনন্দের মুহূর্তগুলো, মা’র কাছে শোনানো সেই হাসির কাহিনীগুলো, এখনও মনে পড়ে। এখন সেই খেলার মাঠ নেই, বন্ধুরা কেউ কোথায় গেল, কোথায় হারিয়ে গেছে?
কালের গতিতে আমরা অনেকদূর চলে এসেছি। প্রযুক্তির অগ্রগতি আমাদের এনে দিয়েছে নতুন নতুন সম্ভাবনা, কিন্তু সাথে সাথে হারিয়েছে আমাদের শৈশবের সেই আনন্দময় দিনগুলো। এখন সারা দিন মোবাইল আর ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা। হাসির অভাব, বন্ধুত্বের ফাঁক, সোনালী অতীতের স্মৃতি যেন অচেনা হয়ে যাচ্ছে।
হারিয়ে যাচ্ছে সেই সোনালী অতীত, যখন সম্পর্কের গভীরতা ছিল, মানুষের মধ্যে ছিল একে অপরকে বোঝার আগ্রহ। আজকাল আমরা এতটাই ব্যস্ত, যে একে অপরের দিকে তাকানোর সময় নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে, মনে পড়ে সেই দিনগুলো—যখন আমরা একসাথে হেসেছি, খেলেছি, আর সত্যিকার অর্থে বাঁচার আনন্দ উপভোগ করেছি।
এখনো সময় আছে, ফিরে আসার। হয়তো আমরা আমাদের সোনালী অতীতকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারব। একটি ছোট্ট পদক্ষেপে, একজন বন্ধু বা প্রিয়জনের সাথে কিছু সময় কাটিয়ে, হাসির কোনো একটি মুহূর্ত সৃষ্টি করে। কারণ, সোনালী অতীত কখনো হারাতে দেওয়া উচিত নয়; তা আমাদের জীবনের অমূল্য রত্ন।
লেখক পরিচিতি : মহম্মদ আরমান মুন্সী
লেখক একজন ছাত্র।