নতুন অভিঘাত শহরে 

লেখক : পার্থ সরকার

নতুন অভিঘাত শহরে
প্রতিবার আসে
নতুন রাজগন্ধ
রজনীগন্ধা
মানবহীন ফসলের কাছে সুগভীর দৌত্য
মরণে প্রাণশীলতা
কেঁপে ওঠে জীবোত্তর দশা মৌন সংবাদে
আকর্ষী পেঁচিয়ে উঠে আসে সুখ
জ্বালানির কাছে কাঠের নতুন পাঁজর

প্রতিবার
নতুন অভিঘাতে
শহরে ।…

দুটি কবিতা (প্রাসাদ নগরী ও হায়েনা)

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

প্রাসাদ নগরী

চরম উৎকর্ষ নিয়ে একাধারে।
ঝুল ও ডালপালা নিয়ে
ল্যাম্পপোস্টের গোড়ালিগুলো করছে ভঙ্গুর
অন্যদিকে;
উগ্র গন্ধকযুক্ত উদজান
কোমল নাভিপদ্মে তুলছে
পরস্পরবিরোধী তরঙ্গ।

একাধারে
রঙের নিবিড়তা দেখি
আলোর উজ্জ্বল মঞ্চে
চুমকির মতো চিকমিকিয়ে ওঠে
প্রতিটি আহ্লাদ,…

আমি ডাষ্টবিনের পাশে নবজাতক বলছি

লেখক : অমিত হাসান তুহিন

আমি ভুল সময়ে জন্মেছিলাম
আমার সময় তখনো আসেনি।
আমার হাতে নরম নখে দিয়ে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছি।
লাভ হয়নি! আমার নাড়ীর স্পন্দন কর্তন করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে আমার জীবন হয়নি শুধুমাত্র শিরদাঁড়া হয়েছে।
মা …

এক বিন্দু অশ্রু

লেখক : ডঃ গৌরাঙ্গ সিনহা

মনে পড়লো –
তোমার সাথে
বিকালের সব আড্ডাগুলো।
মনে পড়লো –
সমস্ত অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোকে,
অ্যালবামে বন্দি র্নিবাক ছবিদের।
সবাই এসেছিলো দাঁড়াবে বলে,
তুমি আমার পরিচিত অনেক দিনের,
চিরতরে বিদায় নিলে কেমন ভাবে!
তবু মনে হলো …

বাদল দিনে

লেখক : ইউসুফ জামিল

মেঘগুলো এসে দিয়েছে ধরা
নেমেছে বৃষ্টি হয়ে ধরণীতে,
ঘুচেছে মনের সকল খরা
সুখ জমেছে সুখের তরণীতে।

প্রকৃতি মুগ্ধ আনন্দ স্নানে
তারা কেউ তাকায়নি ফিরে,
মুখরিত বায়ু বৃষ্টির গানে
পাখিরা ফিরেছে নীড়ে।

কল্পনারা যেন বাঁধন হারা
মন …

সময় সারণী

লেখক : হীরক সেনগুপ্ত

এক আকাশের নিচেই তো বাঁধাঘর
এ দুয়ার ঐ প্রাঙ্গণ প্রান্তর
যতপথ আর রাস্তা বদল হোক
পথের ওপারে দৃশ্যকাব্যলোক

কোজাগরী ভোর শিশির সূর্যোদয়
কুমকুম ঊষা রঞ্জিত অন্বয়
তবু কিছু শ্রী জোনাকির ফুল ওড়ে
সতত শুধায়, আসবে কি …

আহত স্তব্ধতার কাছে সুধীবৃন্দ

লেখক : পার্থ সরকার

প্রাচীন বলয়
অবতার প্রকল্পে বাতাস
জল ওঠা দুপুর
নাদুস প্রোটিন
আলাপ বীর্যহীন
ফাঁপা মানচিত্র
তবু, খাদ্যপ্রকল্প
তবু, অপুষ্টি সুরতরঙ্গে
সৃষ্টির প্রথম খনন

ব্যবধানে
জয় হোক জাতিস্মরেরে।


লেখক পরিচিতি : পার্থ সরকার
পার্থ সরকার কবিতা লেখেন মূলত …

দুটি কবিতা (যত বলি ও প্রত্নতাত্ত্বিক মন)

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

যত বলি

যত বলি আয়
হাত নেড়ে নটবর
বলে ওঠে- হায়।

যত বলি নে
অনুপম্ বলে ওঠে
নীচে ফেলে দে।

যত বলি দ্যাখ
ডাঁয়ে-বাঁয়ে ঘাড় নাড়ে
তিন-দুই-এক।

যত বলি ধর
অপলক চেয়ে থাকে
দাঁড়িয়ে দোসর।

যত …

মানুষ মানুষের জন্য

লেখক : মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি)

আজ পৃথিবীটা উত্তাল, সাগরের ভয়ঙ্কর টেউয়ের মত,
যোদ্ধ ছাড়াই বিশ্ববাসী ঘরে বন্দী,
কারনটা কি?
কারন একটাই
করোনা নামক মরণ ভাইরাসের জন্য।
তার সুবাদে,
বিশ্বে চলছে লকডাউন
বাংলাদেশ এর বিকল্প নহে।
এমতাবস্থায়,
বিশ্বের অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে

এক গুচ্ছ কামিনী

লেখক : ইউসুফ জামিল

এখনি যেও না চলে
একটু দাঁড়াও হে রমনী,
ভালোবেসে হাতে দেব তুলে
এক গুচ্ছ কামিনী।

এখনি যেও না ফেলে
নামবে হৃদয়ে যামিনী,
মাত্র সবে তো এলে
প্রিয়া অমার সজনী।

তুমি পাশে আছো বলে
মুখরিত লাগে এই …

দুটি কবিতা (প্রাকরণিক ও জলাঞ্জলি)

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

প্রাকরণিক

সবকিছুকে বাদ দিয়ে
হাঁটিয়ে, ঝেড়ে
দূরে হটাও,
ঠেল্ দিয়ে আর চাপ্ দিয়ে।

সরিয়ে ঘাটের পানাগুলো
তলতা বাঁশের ঘের দিয়ে
শক্ত দড়ির গিঁট্ দিয়ে
সূর্যেরে রোজ ফুটিয়ে তোল
সূর্যমুখীর ছোপ্ দিয়ে।

হর্ষে খেলুক শালিক-ঘুঘু
সরাও চাঙড় …

খুলে রাখে দস্তানা বিতণ্ডা

লেখক : পার্থ সরকার

দস্তানা খুলে রেখে বিতণ্ডা
ঢাউস এক জলাশয়ের কাছে
নাকচ হয়ে যাওয়া এক আশ্রয়ে
জল দেয় হাতে পতঙ্গ মিত্রতা
স্তব্ধতার খোলা পরিচয়ে
পরিশুদ্ধ এই সব অবলোকন
যদি না জনান্তিকে এক উন্নয়ন
পবিত্র অপবিত্র আধেক জোছনায়
রাতের শেষ …

করোনা ও মানবতা

লেখক : ইউসুফ জামিল

চারিদিকে দুঃখের ছড়াছড়ি
বিষাদ করিয়াছে ভর
মানুষ সব লয়ে আছে ঘর,
কেহ আপন কে করিয়াছে পর।

ভয়তে করিয়া ভর
পুত্র করিয়াছে পর জননী,
অরণ্যে ফেলিয়া তাহারে
ঘরেতে কাটাইছে রজনী।

অবাধ এ মিছিলের তরে
কফিনে কফিনে প্রান্তর …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

দীপায়ন