অমির সততা
লেখক : প্রিয়াংকা রাণী শীল
।। ১ ।।
ঘড়িতে রাত বারোটার তখন ক্রিং ক্রিং শব্দ বেজে উঠেছে। আর অমিরও সেই শব্দে যেন ঘুমটা ভাঙল। আজকাল সে ঘুমাতে পারে না। তার অবস্থাটা যেন আধঘুম – আধজাগার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিছানার সাথে লাগোয়া …
।। ১ ।।
ঘড়িতে রাত বারোটার তখন ক্রিং ক্রিং শব্দ বেজে উঠেছে। আর অমিরও সেই শব্দে যেন ঘুমটা ভাঙল। আজকাল সে ঘুমাতে পারে না। তার অবস্থাটা যেন আধঘুম – আধজাগার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিছানার সাথে লাগোয়া …
রাস্তাটা পার হতেই হবে এই পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ডের মধ্যে, না হলে আবার তিন মিনিট দাঁড়িয়ে থাকা। অবশ্য এই পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ডটা নামেই – সিগ্ন্যাল হওয়ার দশ সেকেন্ড পরও গাড়ি চলবে আর ওদিকে সিগ্ন্যাল চেঞ্জ হতে না হতেই ছুটতে শুরু …
পিয়ালী সেদিন রাতে স্কুটি নিয়ে অফিস থেকে ফিরছিল। কৃষ্ণা চতুর্দশীর জমকালো অন্ধকারে চতুর্দিক নিস্তব্ধ। তার উপর সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় পথঘাট একদম ফাঁকা। তখন রাত প্রায় সাতটা বাজে। পিয়ালী পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার পথ চলার …
লোডশেডিং এর মধ্যে গল্পের শেষ অধ্যায়টি লিখছিল অপু। বাইরে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে প্রবল বেগে। এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ। দরজা খুলতেই সোজা ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ল একটি ষণ্ডামার্কা লোক। অপু কিছু বলার আগেই লোকটি বলল,
–একদম …
সময়টা এখন জানুয়ারির শেষ। শীতের আমেজ শুরু হয়েছে ভালোভাবেই। বাইরে হালকা কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া । ট্যাক্সিতে বসে অনিন্দ্যর ঠাণ্ডা লাগছে ভীষণ। ছুটির দিন হওয়াতে সকাল সকাল রাস্তা একদমই ফাঁকা বললে চলে। ট্যাক্সিও তাই …
একটা বাড়ি। একতলা। বেশ বড়। অনেক গুলো ঘর আছে তাতে। এই বাড়িটা স্বপ্নে প্রায়ই দেখেছি। ছ- সাতবার হবে। আর আশ্চর্য! প্রতি বারই একই রকম। কোন বদল ফের হয়নি। এক ঘর, এক জানলা, এক দরজা, এমনকি বাড়িটার …
সারাবাড়ি নিঝ্ঝুম। একটু আগেই, নিচের বিশাল ঘন্টা দেওয়া ঘড়িতে রাত বরোটা বেজে গেছে। ওদের বাড়িতে জ্যেঠু সবচেয়ে দেরিতে ঘুমোন। তবে তিনি ঠিক এগারোটা কুড়িতে একটা আর সাড়ে এগারোটায় একটা ঘুমের ওষুধ খান ও বারোটায় বই মুড়ে …
‘পিঠে সেই চাপ্পড়ের ব্যথাটা এখনও আছে… জানিস!’
‘কোন ব্যথাটা?’
‘সেই আট বছর আগে আজকের দিনে যে চাপ্পড়টা মেরেছিলি…’
‘কই দেখি কোনখানটা?’
‘এই তো এইখানে’ বলে ডান কাঁধের নিচের জায়গাটা দেখায় ঋতম।
হৃতিতা একটা দুম করে কিল বসিয়ে …
ইদানীং ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস, অফিস শেষে বাসায় আসার পর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া শেষে একটু ঘুম। এরপর আবারও অফিসের কাজ নিয়ে ল্যাপটবে বসা। দিন চলে যাচ্ছে এভাবেই। এত ব্যস্ততার মধ্যে একটু প্রশান্তি আনে …
মাননীয় শুভব্রতবাবু,
কালকের কাগজে আপনার লেখা ‘শাকিলা’ গল্পটি বেরিয়েছে। আপনার সাবলীল লেখনী পাঠকচিত্ত হরণ করে রেখেছে বিগত কয়েক বছর। এই লেখাও সমস্ত পাঠকের, বিশেষ করে নারীদের মন জয় করে নেবে নিঃসন্দেহে বলা যায়। আপনি এখনও শাকিলাকে মনে …