পথ বেঁধে দিল
লেখক : অরিত্র চট্টোপাধ্যায়
– হঠাৎ, এদ্দিন পরে… পথ ভুল করে?
– আসবো ভেবেছি অনেকবার…
তারপর যেমন হয়…আসা হয়নি আর
– আজ, তবে…কীভাবে?
– এসেছিলাম কাজে, ভাবলাম তার মাঝে
যদি একবার
আবার
দেখা পাই, তাই…
– হুম, বুঝলুম। তাও ভালো,…
– হঠাৎ, এদ্দিন পরে… পথ ভুল করে?
– আসবো ভেবেছি অনেকবার…
তারপর যেমন হয়…আসা হয়নি আর
– আজ, তবে…কীভাবে?
– এসেছিলাম কাজে, ভাবলাম তার মাঝে
যদি একবার
আবার
দেখা পাই, তাই…
– হুম, বুঝলুম। তাও ভালো,…
সালটা ছিল ২০১৮। বিয়ে বাড়ির পার্টি ছিল স্বভূমিতে। একলা গিয়েছিলাম তাড়াতাড়ি ফিরে আসার তাগাদা ছিল।
রাত সাড়ে আটটা বাজতেই খাওয়া সেরে ফেরার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ে ওলা বা উবের বুক করার চেষ্টা করতে লাগলাম। কোন আ্যপ …
আলমারি ভর্তি কত শাড়ি তাঁর! প্রতিটি শাড়ি যেন আকাঙ্খার এক একটা রূপ; পুজোতে, ষষ্ঠীতে, বৈশাখে, নমস্কারীতে! ছেলে মেয়ে সব্বাইকে বলেন রমাদেবী, কোথায় যাই, কেন দিস এত শাড়ি! তবু ছেলে মেয়েরা দেয় আর নতুন শাড়ি পেয়ে বালিকার …
ও বউ ! দেখ্ বাইরে—ঋণ শোধ করছে বর্ষার মেঘ। অমল হেঁকে বলে মনিকাকে।
কিসের ঋণ?
ঐ যে গরমে শুকিয়ে ফেলে নদী নালা পুকুর।
উড়ে যাওয়া আঁচলের টানে, নতুন বৃষ্টি মানকচুর চাদরে। এসে গেল বনফুলের রেণু যতখুশি …
তুমিইতো কিছুক্ষণ আগে ভাষন দিচ্ছিলে না?
প্রশ্ন টা ছুটে আসলো তপন বাবুর কাছে।
একটা ৪৪-৪৫ বয়স্ক পাগলের কাছ থেকে। এক গাল দাড়ি, কাঁচা পাঁকা চুল গুলো সব কাধের কাছে এসে পরেছে। অত্যন্ত নোংরা জামা যার পরে …
নীলাঞ্জনা ওরফে নীলুর পিঠ ঠেকে গেছে দেওয়ালে। সে কোনো দিন ভাবেই নি এমন পরিস্থিতি তার জীবনে আসতে পারে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সে রঙিন স্বপ্নে বিভোর ছিল। কিন্তু আজ সেই স্বপ্নের সবটাই ফিকে হয়ে গেছে।
এখন ভাবলে …
আনমনে এগিয়ে চলেছে দিবারাত্রি। অন্ধকারের শরীরে পা রেখে নিঃশব্দে ভেঙে গিয়েছে কখনও কখনও। ওর নীরব কান্নার ঢেউ আছড়ে পড়েছে সুদীর্ঘ জনহীন সমুদ্র সৈকতে। শুকনো ঝরা বালির বুক ভিজিয়ে মোহনায় মিশে গিয়েছে, কৃষ্ণপক্ষের ঘন, কালো রাত্রি। পাহারায় …
নীলু কাকা লাঠিটা উপরে তুলে সজোরে ঘা বসালেন কুকুরটার গায়ে। যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগলো সে। তার আর্তনাদের সুর আশপাশ এর হাওয়া কাঁপিয়ে পৌঁছে এলো আমার কানে। মনে যেন জ্বালা ধরিয়ে দিলো। তীর বেগে আমি অগ্রসর হলাম …
পাড়ার দুষ্ট ছেলে বলে তার খুব নাম ডাক। মামা বাড়িতে বিদ্যালয়ে এক সাথে মামার সাথে পড়াশোনা আর সেই সুবাদে, পাশে থেকে দেখার ও বোঝার সুযোগ পেয়েছিলাম। এ যেন শরৎ চন্দ্র মহাশয়ের সৃষ্ট ” ইন্দ্রনাথ ” …
ছ’ ফুট দু’ ইঞ্চির শরীরটা যেন কুঁকড়ে ছোট হয়ে আসতে চাইছে। ডায়েরিটা ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বুকটা চেপে ধরে। হঠাৎ এই ব্যথার কোনো যুক্তি খুঁজে পায় না সে। এর আগে বুকের কাছে পিন ফোটানো ব্যথা দু-একবার …
আর মাত্র দুদিন। এরপর প্রেমিকের জন্মদিন। প্রতিবারের মতো ঠোঁটের নকশা আঁকা, কয়েক পৃষ্ঠার পত্র লেখা এবার বোধহয় ঠিক হবে না । তার উপর দিন শেষে, মেয়ে মানুষ মানে কঞ্জুস, এমনটাই ভাবে পুরুষ। রাজীব ছেলেটা অবশ্য ভালো-সরল …
নতুন বাড়িতে আসার পর ছাদে যাওয়া হয়নি কখনো। আরো পাঁচঘর ভাড়াটের মত সেও এক ভাড়াটে। বাড়ির আধবুড়ো, আইবুড়ো, অকর্মণ্য মেয়েটি নাকি আত্মহত্যা করেছিল মনের দুঃখে। তাই ছাদে যাওয়া নিষেধ। ছাদের পাঁচিল থেকে শরীরটা পড়তে …
“উমম!”
চায়ে ভেজাতেই কুকিজটা এত মজার হয়ে উঠলো যে মনের অজান্তে, চোখ বন্ধ হয়ে এল। চোখ মেলে দেখি আর মাত্র দুটো কুকিজ বাকি।
“চকলেট কুকিজ খাচ্ছিস! আগে বলবি না? ” এই কথা বলে ভাইয়া হাঁটতে হাঁটতে …
লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন