লেখক : রতন চক্রবর্তী
[আমার খুব সীমিত পাভলভ, ফ্রয়েড ও এঙ্গেলস পড়া থেকে এবং আমাদের কিছু আগের ভার্জিনিয়ার ফলিত মনস্তাত্ত্বিক গবেষক – প্রধান অধ্যাপক (এই মুহূর্তে নাম মনে নেই) এর মাস ট্রমা এবং মাস হিস্টিরিয়া বিষয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ (পেপার) পাঠ থেকে আতঙ্কের উৎস নিয়ে একটা ধারণা তৈরি হয় আমার মনে। এছাড়া ১৯৬৯ সালের শেষার্ধ থেকে ৭১ এর প্রায় তিন চতুর্থাংশ জুড়ে প্রায় ফ্রিস্টাইল পলিটিকাল মার্ডার পর্বে আমার আত্মরক্ষার আত্মজ অভিজ্ঞতাও আমার ধারণাকে পুষ্টি যোগায়। আমার একমাত্র গল্পের বই ‘হাস্নুহানার উর্বরতা’-য় ‘উৎস আতঙ্ক’ নামে একটা গল্পে তার ছায়া আছে।]
এটা একটু ইতিহাস সচেতন মানুষ মাত্রেই জানেন যে এই জগতে মানুষ ও তার ভয়ের জন্ম হাত ধরাধরি করে। ব্যক্তি, পরিবার, গোষ্ঠী প্রভৃতি নৃগোষ্ঠীগুলির নানা সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের (রাষ্ট্র পর্যন্ত) নানামুখী ফর্ম ও কন্টেন্টের রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে নানান আবেগ-প্রক্ষোভের মতো ভয়েরও স্তর বদল হয়েছে। এই রূপবদল এক সামাজিক নির্মাণ। ব্যক্তির কায়েমি স্বার্থ একদিকে যেমন ব্যক্তিগত প্রযোজনা, অন্য দিকে, তেমন সামাজিক সংগঠন তাকে কার্যকরী করার হাতিয়ার। শ্রেণিবিভক্ত সমাজের শ্রেণিস্বার্থও প্রতিষ্ঠান গড়া ও ব্যবহার করার অনুকূলে কাজ করে। ভয় এর অন্যতম হাতিয়ার।
মানুষ আদিতে ভয় পেত প্রকৃতির অজ্ঞাত আচরণ দেখে। দারুণ দহন, শৈত্য, বজ্র, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, সূর্য-চন্দ্র গ্রহণ থেকে শুরু করে সব ভয়ের সেরা ভয়, মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় ভয়ের উৎস, কারণ না জানতে পারার অজ্ঞতা এবং বিশ্বচরাচর যে নিয়তির (ইয়ম>নিয়ম>যম)অধীন সম্পর্কে ধারণা করতে না পারা। মানুষ এই বিশ্ব বিধান জেনে তাকে তাদের অধিত জ্ঞান মেধার সাহায্যে, কখনও ঔদ্ধত্যেও, বদলিয়ে নেয় ব্যক্তি ও শ্রেনিস্বার্থের অনুকূলে, জাগতিক কল্যাণে সুখের সন্ধানে। এই যে প্রচেষ্টা তার মধ্যেও উপ্ত থাকে ভয়ের ভয়াবহ ভ্রূণ।
এ পর্যন্ত যা বলা হল, তা হল প্রধানত সমষ্টিগত প্রেক্ষিত। ভয় কিন্তু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ নিয়েও এক গভীর আখ্যান, বিস্তৃতও বটে। এর উপাদান বস্তুগত ও ভাবগত। এর নির্মাণের মূল কারিগর সামাজিক।
এক বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি, পৃথিবীর প্রথম ধূর্ত যে দিন পৃথিবীর সবচেয়ে অজ্ঞ মানুষের দেখা পেয়েছিল, সেদিন থেকে জন্ম হয় ধর্ম ও যাজকশ্রেণীর। ওই উক্তিতে নেই, তবে আমার মতো বহু সহস্র মানুষের বিশ্বাস, যাজকশ্রেণির সব সম্প্রদায়ের প্রকৃত মূলধন হল, ভয়>সংস্কার ও স্তোকবাক্য। ভয়ের সামাজিক নির্মাণেও এর ভূমিকা অপরিসীম। ভয়ের বস্তুগত উপাদান নিয়ে সাতকাহন লেখার দরকার নেই।ব্যক্তিগত, পারবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় সবাই কমবেশি এটা জানে। ভাবগত উপাদানের একটা দিক ধর্ম ও সংস্কারগত। এর ভিত্তিমূল হল, মন! এই মনের সঙ্গে দেহের ও আত্মার সম্পর্ক নিয়ে দ্বৈত, অদ্বৈত বা দ্বৈতাদ্বৈতবাদ নিয়ে ভাববাদী দর্শনের আলোচনা ভয়ের উৎস সন্ধন সম্পর্কে তেমন প্রাসঙ্গিক নয় বলেই এই সব নিয়ে কিছু আলোচনা করা থেকে বিরত থাকছি। শুধু বলে রাখি, হিন্দু শাস্ত্রেও বলা আছে, বিদ্যা বুদ্ধি ধন মান কুল ঐশ্বর্য প্রতিপত্তি ক্ষমতা প্রভৃতির মধ্যে বা এসব অর্জন করার ব্যর্থতার মধ্যে ভয় থাকেই “—-সর্ব্ববস্তু ভয়ান্বিতং/ভুবি নৃনাং বৈরাগ্যমেবাভয়ং।” একমাত্র বৈরাগ্যসাধক সন্ন্যাসী অকুতোভয়! কিন্তু সমস্যা হল, সন্ন্যাসী হয়তো গুটিক। কিন্তু ভীত মানব কোটিক কোটিক।
কিন্তু কেন এত ভয়?
আসলে ভয়ের ভ্রূণ যদি হয় অজ্ঞতা তবে ভয়ের জন্মস্থান হল সেখানে যাকে বলা হয় মন। এটাই ভয়ের লালন ক্ষেত্র। ব্যক্তি স্বয়ং ছাড়াও সমাজের নানা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির পরিবার ও সমাজসূত্রে প্রায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে ব্যক্তি মনে সঞ্চারিত নানা ধর্মীয় বা ধর্মের নামে জীবন যাপনে চর্চিত নানা সংস্কার (যা নানা কু যুক্তিতে রূপান্তরিত হয় ফর্ম-কন্টেন্টে সময়ের সঙ্গে)ভয়ের পুষ্টিরস যোগায়।ব্যক্তি নিজে এবং সামাজিক নির্মাণের এই ভয় কার্যকরী হয় মনের নানান অবস্থার প্রেক্ষিতে। এই ভয় এবং প্রেক্ষিত ব্যক্তও হতে পারে, অব্যক্তও থেকে যেতে পারে। ভয়ের ব্যক্ত বা অব্যক্ত প্রকাশ নানা রূপে প্রতিফলিত হয় – চেতন, আংশিক চেতন, অবচেতন এমনকি মগ্ন চৈতন্যেও।
হিন্দুধর্মের বা সেমেটিক বা অন্যন্য ধর্মীয় নানা সম্প্রদায়ের নানা অন্ধ সংস্কার নিয়ে প্রচুর গবেষণাপত্রে দেখা যায় ভয়ের সামাজিক নির্মাণ স্তর বিভক্ত নানা সমাজের ব্যক্তি, বা গোষ্ঠীগতভাবে সদস্যদের, কীভাবে বিপন্ন করে।মনু সংহিতার একটি শ্লোক উল্লেখ করা যেত পারে—
সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ভূমিকা অনুবাদ টীকা সহ মনুসংহিতা গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ের ১১৮ সংখ্যক দীর্ঘ শ্লোকটির শেষ দু চরণে জানাচ্ছেন–
দেশধর্মান জাতিধর্মান কুলধর্মাংশ্চ শাশ্বতান/পাষণ্ডগণধর্মাংশ্চ শাস্ত্রেহস্মিন্নুক্তবান মনুঃ।।অর্থাৎ চির প্রচলিত দেশদর্ম জাতিধর্ম কুলধর্ম পাষণ্ডধর্ম(বেদবিরোধীদের) ও গণধর্ম এই শাস্ত্রে মনু বলেছেন। এর আগে ১০৮ নং শ্লোকে মনু শুরুতেই বলেছেন ” আচারঃ পরমো ধর্মঃ—-” অর্থাৎ আচার চর্চাই সেরা ধর্ম। এই ধরনের বিধানের ফলেই ভয়কে আশৈশব মনের গহীনে চালান করার সামাজিক নির্মাণ ভিত্তি পেয়ে যায়। সেমেটিক ও অন্যন্য ধর্মেও এই ধরনের আচার সর্বস্ব করে তোলার কল তৈরি আছে।
এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যাচাই করলে বোঝা যায় ব্যক্তিগত কোনো দায় ছাড়াই শারীরিক ত্রুটি, কুল বা ধর্ম-জাত, জৈবিক অপূর্ণতা লিঙ্গভেদ বর্ণভেদ প্রভৃতি কারণে কেন কেউ মনে ভয় পোষণ করতে বাধ্য হয়। এ ছাড়াও ব্যক্তিগত পদস্খলনের দায়ে সামাজিক বিচারের উদ্ভট পদ্ধতিও ভয়ংকর হয়ে ওঠে অনেকটা। তথাকথিত চিরায়ত নৈতিকতার দায়েও ব্যক্তিগত মানুষ সামাজিক নির্মাণ এবং গোপন ব্যক্তিগত পাপ-পুণ্যের দোদুল্যমানতায় ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতে বাধ্য হয়।
মনু সংহিতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে ৯০, ৯১, ৯২ সংখ্যক শ্লোকে দশটি ইন্দ্রিয়র পাঁচটি(কর্ণ, চর্ম, চক্ষু, জিহ্বা, নাসিকা) জ্ঞানেন্দ্রিয় ও অপর পাঁচটি (পায়ু, উপস্থ, হস্ত, পদ, বাক্য) কর্মেন্দ্রিয় বলে শনাক্ত করে একাদশ ইন্দ্রিয় হিসেবে মন-কে উল্লেখ করে বলেছেন, “একাদশং মনো জ্ঞেয়ং স্বগুণোভয়াত্মকম—“।দশটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য যা কিছু তার আকর এই মন। অর্থাৎ গুণের, দোষের ভয়ের পীঠস্থান হিসেব মনকে শনাক্ত করলে মনুর সূত্রকে অমান্য করা হবে না নিশ্চয়ই। মন হল জ্ঞেয়। মন দোষ গুণ উভয়াত্মক এবং একে জয় করতে পারলেই দশ ইন্দ্রিয় বিজিত হয়। এই হল মনুর বিধান। কিন্তু সমস্যা হল, ভয়ের মূলীভূত কারণ যদি দোষ হয় তবে তাকে জয় করার অন্তরায় হয়ে ওঠার মতো শক্তির যোগানও বিপুল ভাবে দেওয়া হয়েছে নানা ধর্মের আচার সর্বস্ব শক্তিতে। ফলে ভয় ব্যক্তি থেকে শুরু করে সমষ্টিতে জাঁকিয়ে বসে থাকতে পারছে জ্ঞানে, নির্জ্ঞানে, সচেতনে, অবচেতনে, অচেতনে, মগ্ন চৈতন্যে।
ভয়মিশ্রিত ভক্তি থেকে মুক্তির পথ হতে পারে ব্যক্তি ও সমষ্টিগতভাবে সহমর্মিতা ও সামবায়িক মন গঠনের চেতনার উন্মেষে অসাম্যের নিরাকরণে যুক্তিবাদী সম সমাজগঠনের গণজাগরণ। সিভিক সোসাইটি গঠনের আন্দোলনের মধ্যেই ব্যক্তি ও সমষ্টির ভয় মুক্তির মন্ত্র রয়েছে। প্রকৃতি থেকে বিযুক্তি ক্রমাগত আত্ম বিযুক্তির দিকে নিয়ে চলেছে আমাদের। এই ভয়ংকর রণাঙ্গনে এক সময় হয়তো ব্যক্তি তার অন্তর্গত সত্তা থেকে বিযুক্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে পড়বে। কাজেই সহমর্মিতা সহযোগিতা আমাদের সহায় হোক।
লেখকের কথা: রতন চক্রবর্তী
অর্ধশতক সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। দৈনিক, সাপ্তাহিক বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় চাকরির পাশাপাশি কাজ করেছেন বিদেশি দূতাবাসের কলকাতা তথ্য দপ্তরে। তথ্যচিত্র পরিচালনা করেছেন। লিখেছেন ছোট গল্প, নাটক চিত্রনাট্যও। মার্কসীয় দর্শনে বিশ্বাসী।
জন রিডের টেন ডেজ দ্যাট স্যুক দ্য ওয়ার্ল্ড নামে রুশবিপ্লবের দশ দিনের কাহিনি নিয়ে বিশ্বখ্যাত রিপোর্টাজ গ্রন্থ অবলম্বন করে লিখেছেন নাটক অভ্যুত্থান যা ৭৪ জন কুশীলব নিয়ে অভিনীত হয়।
বেশ ভালো লিখেছেন অনেকটা পরিশ্রম করেছেন লেখাটার পেছনে…
বর্তমানে ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলির আচরণ এবং বর্তমানে আফগানিস্তানের অবস্থা আপনার লেখার সাথে কিভাবে যুক্ত করা যায়?
শাসকরা ও ক্ষমতালোভী দলগুলি হয় সরাসরি ভয়ের বাতাবরণ গড়ে নয়তো ধর্মের আচার সর্বস্ব মোহজাল ছড়িয়ে পরোক্ষে ভয় ছড়িয়ে দিয়েচ্ছে এদেশে। এই ভয়ের আর এক ভয়াল রূপ আফগানিস্তানে।এর হাত থেকে পরিত্রাণের একটা প্রধান পথ হল সামাজিক সম্পৃক্ততার সমবায়িক চেতনা।লেখাটির দিক নির্দেশ এটাই।
লেখাটা সত্যিই অনন্য রূপ ধারণ করেছে আপনার লেখনী তে।ভয় আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত।এই ভয় কে কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের মানসিক দিক দিয়ে শক্ত হতে হবে।ভীত মানুষের ভয় কাটানোর জন্য আমাদের সকলের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা একান্ত কাম্য।।
দারুণভাবে পরোক্ষে ও দর্শনতত্ত্বের মাধ্যমে সমাজ সৃষ্টির সময় থেকে ধর্মযাজক ও রাষ্ট্রযাজকদের ভয় সৃষ্টি ও তাদের উত্তরসূরীদেরও ভয়ের আবহ ধরে রাখার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেছেন। আবার আপনার থেকে নতুন কিছু জ্ঞান ও শব্দভাণ্ডার আহরণ করলাম, ধন্যবাদ।
আচার পালনের দায় থেকে ভয়…ব্যক্তি,পরিবার থেকে সে ভয়ের ধোঁয়ায় আক্রান্ত সমাজ।।সমষ্টি।শাস্ত্রের উল্লেখ করে রতন দা প্রাঞ্জল ভাবে সে সমস্যা শুধু বোঝান নি,সমাধান ও দিয়েছেন।ব্যক্তি ও সসমষ্টিগত ভাবে সহমর্মিতার প্রয়োজনীয়তা… বুঝিনা কী প্রতিদিন? প্রতিক্ষণ?
নিজেকে সমৃদ্ধ করলাম। শুধু বলতে চাই অনেক আগে ই আমার পড়া প্রয়োজন ছিল। মন দিয়ে পড়েছি। আবার পড়তে হবে।
অসাধারন বাস্তব সত্য আশ্রিত লেখা দৃঢ় সমৃদ্ধ।
মাত্র কিছুদিন আগের ঘটনা বা প্রায় সমসাময়িক,দুর্ভেদ্য দুর্গম গতিপথে “তপোভূমি নর্মদা” র যাত্রায় অনেক অনেক অকুতভয় সন্ন্যাসীর উল্লেখ আছে এ কথাও যথার্ত সত্য।
দ্বিধা – দ্বন্ধ যদি ভয়ের উদ্রেকের কাছাকাছি হয় অথবা যদি শুধুমাত্র ভয়যুক্ত হয়ে কোন কাজ অগ্রগতি পায় তাও মনে হয় কোন সফলতার জন্যই সেই ভয় পরম প্রিয় হয়ে আশ্রিত হতে পারে।
দুর্দান্ত!
পড়লাম।জটিল বিষয়।যতটা সম্ভব সহজভাবে বলার চেষ্টা সত্ত্বেও খুব সহজে বোঝা কষ্টকর।তথাকথিত ধর্মীয় ও সামাজিক ফর্মান বেশিরভাগ মানুষ মানতে বাধ্য হয় চাপে পড়ে। এই চাপটাই ভয়ের,পারিবারিক ও সামাজিক নির্মাণ।লেখক এটা বলতে চেয়েছেন নানা বৌদ্ধিক দৃষ্টিকোণে।রাষ্ট্রীয় দিক থেকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা নিয়ে বিস্তারিত ও স্পষ্ট আলোচনা করার অনুরোধ রইল লেখকের কাছে।যেমন এই লেখায় ধর্ম নিয়ে করেছেন।
লেখক তাঁর গল্পের বইটির নাম ভুল লিখেছেন।হবে “তিতিরে
র ওম”! এছাড়া তাঁর অন্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিবন্ধে একাধিকবার মনস্তাত্ত্বি বিভাগের প্রথিতযশা অধ্যাপক ভলকান ভাইমারের নামের উল্লেখ দেখেছি “চোজেন ট্রমা” প্রসঙ্গে। এই লেখাটি লেখার সময় তিনি বোধহয় এই নামটি মনে করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।