লেখক : রতন চক্রবর্তী
একটি সুস্থিত তরঙ্গমালা বাহিত বাস্তব সাময়িক পত্রিকা আমার কাছে একটি লেখা চেয়েছিল, সশ্রদ্ধ বিনয়ে। এদের উদ্যোগে আমি আগেও সাড়া দিয়েছি। এবারও আমি সম্মত হয়েছিলাম। সেই প্রতিশ্রুত লেখার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আমাকে একটি বার্তা পাঠানো হয়। সম্ভবত আমার চেয়ে চার-পাঁচ দশক কনিষ্ঠ এক সম্পাদক আমার নামের পর ‘বাবু’ সম্বোধন করে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দিয়েছিল। আমি তাকে নামে চিনি কিন্তু দেখিনি কখনও। আসলে ভাসমান (অলীক নয়) এই গোষ্ঠীর সঙ্গে আমার, বলতে গেলে নিত্য সম্বন্ধ। কিন্তু এর কর্মকর্তারা কেউ কেউ আমার সঙ্গে স্বর-স্তরে যুক্ত হলেও দৃশ্য-স্তরে নয়! আমার দিক থেকে এই কনিষ্ঠ উজ্জ্বল মণ্ডলীর সম্পর্কের স্বরূপ হল মমত্ববোধ। ‘বাবু’ সম্বোধন কেমন যেন বছর খানেক আগে, আশি পেরিয়ে আসার ফলে, অস্বস্তিকর মনে হয়। কারণ আমি সিং ভেঙে ফেলে ‘–পাল বদল’ করে চলায় দস্তুর, কয়েক দশক আগে থেকেই। অনেক কাগজ আর কাগুজে দপ্তরে অর্ধশতক নিউজবুড়ো (ব্যুরো নয়) ছিলাম কিনা! তাই একদা এক রসিক নিউজ-ছোকরা ক’টি জেলার দায়িত্ব থেকে কলকাতায় সামগ্রিক কিছু দায়িত্বে চলে আসায় আমার বিদায় ক্ষণে ছড়া কেটে বলেছিল –“নিউজবুড়ো ঘাড় ছাড়ল/ ছেলে-মেয়ের মন কাড়ল/ লেখালিখির আমোদ সাঙ্গ হল/ খিচমিচ কটাসকটাস ধেয়ে এল!” সেই রসিক কলম-জন অকালে জীবন ছেড়ে চলে গেছে কবেই। মুজিবুর মিত রহমান। আর সেই নিউজবুড়ো হয়ে হল কিনা এখন – ‘বাবু’!! নবীন সম্পাদককে জানালাম — লিখব সমাজ সম্পর্ক নিয়ে।
মানুষের স্বভাব দ্বৈত তো বটেই, বিচিত্রও। বিচিত্র স্বভাবের বৈচিত্র্যময় নানা ভাল, নানা মন্দ উদাহরণ প্রত্যেকেরই অভিজ্ঞতার ঝুলিতে কম বেশি আছে। আমি আলোচনার বিপুল বিস্তার না ঘটিয়ে দুটি মৌল বিষয় নিয়ে দুটো কথা বলব। তবে আগেই বলে রাখি, কথাগুলো আমার মস্তিষ্ক প্রসূত নয়। মৌলিক বলে আমি দাবি রাখছি না। বহু বছর ধরে কিছু মহা বটবৃক্ষতলে আমি বহু সময় আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে কৃতার্থ হয়েছি। চরিতার্থ হওয়া হয়তো আমার সাধ্যাতীত ছিল। হতে পারিনি। এই জ্ঞানী বৃক্ষের অমল বাতাস আমি গায়ে মেখেছি। কিছু হয়তো বা মস্তিষ্ক কোষে ঠাঁই নিয়েছে, তিল পরিমাণে। কথা শোনা এবং লেখা পড়া, এই নিত্য সম্বন্ধে আমি ওই সব সুধী বৃক্ষের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, বইপত্রে এখনও আছি। এঁদের গোত্রপতিগণও পঠন সূত্রে অদৃশ্য বন্ধনে কিছু পরিমাণে আমাকে আকর্ষণ করে আছেন। দেবীপ্রসাদ চট্টপাধ্যায়, গোপাল হালদার, সুকুমারী ভট্টাচার্য, অম্লান দত্ত, চিন্ময় সেহানবিশ, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, তরুণ সান্যাল প্রমুখদের চিন্তার বলয়ে আমার এই কথন সন্দর্ভ।
প্রথম স্তবকেই আমি ‘মমত্ববোধ’ কথাটি বলেছি। এটা মানব প্রকৃতির একটি মূল উপাদান। আপাতত, প্রেয় সব কিছুকেই প্রথমে মানবমন মমতা মাখিয়ে গ্রহন করতে চায়। বাইরের জিনিসকেও সে তার মমতার গণ্ডীর মধ্যে টেনে আনতে চায়। এই মমতার আকর্ষী অস্ত্র ব্যর্থ হলে মানুষ হিংস্র, শঠ, এমন-কী ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। উপেক্ষা বা ব্যর্থতায় আত্মক্ষয়ও তখন বরণীয় মনে হয়। মমত্ববোধ উপাদানের পরিপূরক আর একটি মনুষ্যত্বের উপাদান হল মনন। একে আমরা চেতনা-চৈতন্য, বোধ-বোধী বলেও ভাবতে পারি। মমত্ববোধের ইতিবাচক লক্ষণ হল সংবেদনশীলতা। নেতিবাচক দিক হল, যুক্তিহীনতা। মনন উপাদানটিকে দর্শনবোধও বলা যেতে পারে। এর ভিত্তি হল কোনও না কোনও ধারার যৌক্তিক অবস্থান। অম্লান দত্তের ভাবনায় বলা যেতে পারে “মানুষই সেই অদ্বিতীয় জীব যে নিজের বাইরে দাঁড়িয়ে নিজের জৈবিক অবস্থানকে দর্শন করতে পারে।” মানুষ যখন যে অবস্থায় বা পরিস্থিতিতে পড়ে সেই অনুসারী সব আবেগে তাড়িত হয়ে ইতিবাচক বা নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার মনন অনুযায়ী। আবার নিজস্ব বা অহং অভিজ্ঞতার হর্ষ-বিষাদ,সাফল্য-ব্যর্থতাকে নিজের বাইরে ঠেলে বাস্তব অনুধাবনে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। অবশ্য — যদৃচ্ছতি তস্য তৎ! যে যা ইচ্ছে করে সেই রকমভাবে। তাই সম্পর্কের প্রথম উপাদান মমতা ও দ্বিতীয় উপাদান মননের মধ্যে একটি সাধারণ লক্ষণ হল সেই অহং। নবীন সম্পাদকের ‘বাবু’ সম্বোধন হয়তো বা আমার ‘জ্যেষ্ঠত্ব’ বা ‘শ্রেষ্ঠত্ব’জাত কোনও মমত্ববোধ-গোত্রীয় অহংকে আহত করেছিল! এখন “আপন হতে বাহির হয়ে” মননে তথ্যসূত্র ও তত্ত্বকথার অন্বেষণ করছি। এ হল সম্পর্কের আত্মদর্শন!
এবার একটু বড় প্রেক্ষিতে বিষয়টি ভাবা যাক। মানুষ তো কোনও বিচ্ছিন্নতায় স্বয়ং সম্পূর্ণ জীব নয়। সে পরিবারভুক্ত, সমাজভুক্ত, রাষ্ট্রভুক্ত এবং মানব বসতি-সম্ভব একটি গ্রহভুক্ত। এই যে বিভিন্ন স্তর পরম্পরার প্রাতিষ্ঠানিক সেট বা স্তর, তার মধ্যেও আবার রয়েছে সাব-সেট বা শাখা-উপবর্গের বিভাজনে উচ্চ, অনুচ্চ, নিম্ন, অতি নিম্ন বিবিধ ধারার অসংখ্য ধরনের পৌর-শাখা, গ্রামীণ-শাখা, আদিবাসী, অনাদিবাসী, পরবাসী, অপরবাসী নানান সেট। আনুভূমিক থেকে উল্লম্ব নানা রূপভেদ তার। ফলে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক ও আন্ত:সম্পর্কগুলিরও বিপুল দ্বান্দ্বিক প্রকাশ অনবরত দেখা যায়। এই দ্বন্দ্ব বলতে কেবল বৈর বা অবৈর সংঘাত বোঝায় না। অন্বয়ও বোঝায়। যেমন রাম ও রহিম — দ্বন্দ্ব সমাসবব্ধ হয়ে, হয়ে যায় অন্বিত শব্দবন্ধ রামরহিম। এটা নিয়েই বৈচিত্র্যময় মানব সম্পর্ক। এই বৈচিত্র্যে অহং এর মমত্ববোধের মধ্যে নানা আবেগজাত প্রক্ষোভ — দয়া, স্নেহ, করুণা, প্রেম, প্রীতি, সহনশীলতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগত স্তরে যেমন বিশেষ ও নির্বিশেষে সত্য; তেমনিভাবেই অধিকারভুক্তির অহং-আস্ফালন, ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানগত স্তরে সত্য বিশেষ ও নির্বিশেষে!
এরই নানা পর্ব এবং নানা রূপ রয়েছে ইতিহাসের বস্তুবাদী ধারার স্রোত-গতিতে। এই ঐতিহাসিক ও দ্বান্দ্বিক গতির মধ্যে উঠে এসেছে, আসছে নানা পর্বের নয়া নয়া চরিত্রের বস্তু বা পণ্য উৎপাদন সম্পর্ক। উৎপাদনশীলতার হ্রাস-বৃদ্ধির হার, মুনাফা বনাম মজুরির হার নিয়ে নানা আকারের দ্বান্দ্বিকতা। গড়পড়তা কায়িক বা বৌদ্ধিক শ্রমজীবীর নিম্ন পর্যায়ের অপেক্ষাকৃত ন্যূন জীবন ধারণের মানের সঙ্গে নানান বর্গের মধ্যম, উচ্চ, সর্বোচ্চ স্তরগুলির জীবনধারণের মানের ফারাকগুলির মধ্যে চলতে থাকে নিরন্তর দ্বন্দ্ব। এছাড়াও রয়েছে “আনি বা পাই তো খাই” দশাগ্রস্ত ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক স্তরীয়, এমনকি পারিবারিক অর্থেনৈতিক প্রভাবের কারণে ব্যক্তিগত স্তরে ব্যবহারিক জীবন নির্বাহের তারতম্য। যা বেশ জটিল ও আবার ক্ষেত্র বিশেষে কোনও কোনও বর্গের অভ্যন্তরে সরল এক রৈখিক। দাস যুগ, সামন্ত যুগ, রাজতন্ত্রের যুগ, শিল্প বিপ্লবের উন্নয়নের যুগ, রেনেসাঁসের যুগ, বুর্জোয়া গণতন্ত্রের যুগ, সমাজতন্ত্রের যুগ, সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক সমাজ পতনোত্তর তথাকথিত উত্তরাধুনিক যুগে সম্বোধনের বহু বাঁক বদল হয়েছে বারে বারে। বিশ্ববাণিজ্য ও পণ্য উৎপাদন-বন্টন নিয়ে নয়া অর্থনৈতিক উপনিবেশ স্থাপনের কূটনীতিক গোষ্ঠীবদ্ধতার জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। নয়া বাজার খোঁজার যুগে, তথ্য-প্রযুক্তিগত নিত্য বিপ্লবের এই সময়কালে, দেশীয় ও বহুদেশীয় সাঙাৎ-তন্ত্রের কর্তৃত্ব কায়েম করার ভোগবাদী প্রতিযোগিতার এই জটিলতর সময়ে, সম্বোধনের ভাষায় বদল চলছে নিরন্তর। কিছু কিছু ট্র্যাডিশনাল চিহ্ন থাকলেও নতুন ব্যবস্থাপনায়, সমাজের নানা রূপান্তরণের ফলে সেট ও সাব সেট গুলির সদস্যদের মুখে ব্যক্তিগত স্তরে সম্বোধন, কাজের ক্ষেত্রে সম্বোধন, সামাজিক এমনকি আত্মীয়তার সমাজেও সম্বোধনে নানা বৈচিত্র্য লক্ষ্যনীয়। লেখার কলেবর বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় উদাহরণ দিচ্ছি না। এটা পাঠক এই কথকতার দৃষ্টিকোণে, ওই সব অহং চিহ্নের নমুনার হদিশ নিজের অভিজ্ঞতায়, নিশ্চয়ই লক্ষ্য করতে পারবেন। পড়তে পড়তে মনেও পড়ে যাচ্ছে হয়তো বা। ভালো সম্বোধন, মন্দ সম্বোধন, অপ শব্দে — সম্প্রদায়বর্গ বা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার সম্বোধন পদগুলি ব্যক্তিরুচি, প্রক্ষোভ তথা মূল্যবোধের মমত্ব, মননশীলতার উপর নির্ভরশীল। ক্ষমতা লাভ বা রক্ষা বা অন্য কোনও স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক প্রযোজনায় গন-হিস্টিরিয়া সৃষ্টি করে দেওয়া হলে, তখন উত্তেজক, কুৎসিত, প্ররোচনাদায়ক নতুন সব শব্দ ও শব্দবন্ধের খোলা হাটে সম্বোধনের ‘ফ্রী সেল’ চলে। হানাদারী ও হানাহানি চালাতে এই অস্বাভাবিক সম্বোধন কুরুক্ষেত্রের ‘যুদ্ধ শুরুর আগে’ মহাভারতে বর্ণিত পাঁয়তারার মতো ‘ভোকাল টনিক’ বলা যায় !
আগের অনুচ্ছেদটি লিখতে গিয়ে ‘মূল্যবোধ’ শব্দটি এসেছে। অনুচ্ছেদটির একই বাক্যে ফের মানব প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত ‘মমত্ব’ ও ‘মনন’ উপাদান দুটির কথা রয়েছে। ফ্রান্সের দার্শনিক পাস্কালের একটি উক্তি অনেকেই ব্যবহার করেন। যতটা মনে পড়ে, তিনি মানুষ সম্পর্কে বলেছেন (উদ্ধৃতি চিহ্ন সচেতন হয়ে দিইনি) —- প্রকৃতির দুর্বলতম বস্তু হল মানুষ। অকিঞ্চিৎকর তৃণসম। তাকে নি:শেষ করে দিতে প্রকৃতির রণসজ্জার প্রয়োজন হয় না। অসীম তেজস্বী প্রকৃতির এক ফুৎকারই যথেষ্ট। তাহলেও বলা যায়, মানুষ মৃত্যুর মুখেও প্রকৃতির চোখে চোখ রেখে বলতে পারে, প্রকৃতি তোমার কিন্তু মনন বা চেতনা নেই। মানুষ মৃত্যুকে তার চেতনা দিয়ে চিনতে পারে। অর্থাৎ প্রকৃতি হল এক অচেতন শক্তি। তার নিজের ধ্বংসলীলা সে অনুভব করতে অক্ষম। — এটাই মানুষের মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। আর এখানেই প্রকৃতির অক্ষমতা। প্রকৃতির সম্বোধন বিষয়ক কোনও দায় নেই। কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থজন তার সম্পর্কের ক্ষেত্রগুলি অনুযায়ী সে আত্মীয় সমাজে ট্র্যাডিশনাল সম্বোধন সূত্রে আবদ্ধ থাকে। এই সম্পর্ক নানা কারণে অবসিত হলেও সম্বোধন পদটির অবনমন ঘটে না। রাগ, আক্রোশ বা গ্লানিতে বড়জোর সম্বোধন পদের আগে কেউ কেউ কিছু অশালীন শব্দের বিশেষণ বসাতে পারে, উদ্দিষ্টের অগোচরে। এই সূত্রটি কর্মক্ষেত্রের সম্পর্কের নানা বৃত্তে ভিন্নতর হতে পারে পদের আনুষ্ঠানিক গুরুত্ব অনুসারে। সামাজিক ক্ষেত্রে সম্বোধন হতে পারে সম্মানের বিচারে। সরকারি দরকারি সম্পর্কের আওতায় এলে আমলাতন্ত্রে বা প্রভাশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্বোধনের পদটি সমীহপূর্ণ। কাজটি ভালোয় ভালোয় মিটিয়ে আনার উদ্দেশ্য নিয়েই তার উচ্চারণ। অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিতে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে আত্মীয় সমাজ, কর্মক্ষেত্র, প্রভাবশালীজন, বান্ধবজন, সুপরিচিত, অল্প-পরিচিত, অপরিচিতদের সঙ্গে সম্বোধনের শব্দ নির্বাচিত হয় সাধারণভাবে পরিপ্রেক্ষিত, ব্যক্তিগত রুচি, মূল্যবোধ ইত্যাদির বিবেচনায়। জ্ঞানত হোক বা অজ্ঞানত, সকলেই মোটের উপর বুঝে নেয় দাম-বোধের ক্ষণিকতা আর মূল্যবোধের দূরগামিতা। এই ক্ষেত্রে পরিমিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিমিতি সম্পর্কে ধারণার হেরফেরে যে কোনও সম্পর্ক, জড় প্রকৃতির ফুৎকার মতো, অপরপক্ষের অন্ধ অস্মিতায় অবসিত হতে পারে। কে কার কাছে কতটা ওজনদার এটা যাচাই করে দেখতে হয়। নইলে কথার “প্যাঁচফোড়নে” জড়িয়ে কথায় কথা বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আলাপচারিতা মাঠে মারা যায়।
লেখক পরিচিতি : রতন চক্রবর্তী
অর্ধশতক সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। দৈনিক, সাপ্তাহিক বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় চাকরির পাশাপাশি কাজ করেছেন বিদেশি দূতাবাসের কলকাতা তথ্য দপ্তরে। তথ্যচিত্র পরিচালনা করেছেন। লিখেছেন ছোট গল্প, নাটক চিত্রনাট্যও। মার্কসীয় দর্শনে বিশ্বাসী।
জন রিডের টেন ডেজ দ্যাট স্যুক দ্য ওয়ার্ল্ড নামে রুশবিপ্লবের দশ দিনের কাহিনি নিয়ে বিশ্বখ্যাত রিপোর্টাজ গ্রন্থ অবলম্বন করে লিখেছেন নাটক অভ্যুত্থান যা ৭৪ জন কুশীলব নিয়ে অভিনীত হয়।