টিফিন চোর
লেখক : অর্ণব কুমার মন্ডল
প্রথম পর্বের পর…

বিল্টু : আমার টিফিন চুরি হয়েছে ….
রিন্টু: স্যার আমরা টিফিন চোর ধরবই
হেডস্যার: যে টিফিন চোর ধরে দিতে পারবে তাকে আমি পুরস্কার দেব
প্রথম পর্বের পর…
তখন ধুলোর শয্যা ছেড়ে
সূর্যদেব পাটে উঠলেন
আর কালপুরুষ পরে নিলেন
তাঁর সান্ধ্যকালীন শীতপোশাক
শহর জুড়ে রঙিন আলোয়
রাতভর বেচাকেনা চলল
আর পথ হারিয়ে এক দুঃখী মেয়ে
কেঁদে কেঁদে শেষ করলো তার হাসবার সময় …
অবশেষে …
মুখে বিষ ঢেলে কবিও একদিন ছবি হতে চেয়েছিল।
এক কাকের মৃত্যুতে অসংখ্য কাকের সমবেদনা কী বিস্ময়ের!
এবং ঘরে মৌলিক স্বরে সংঘাত। শিল্প হন্তারক রাজকোকিল।
আজ পাখিরা আলো চায়। ছায়া চায়। আধিপত্য চায়।
অথচ শৌখিন কবি মুখিয়ে …
তুমি এখন টাইগার হিল -এ দাঁড়িয়ে সূর্যের আলোয় ভেজা, ঢেউ খেলানো কাঞ্চনজঙ্ঘার শ্বেতশুভ্র সৌন্দর্য কিনতে ব্যস্ত।আমি আমার জন্মভূমিতে দাঁড়িয়ে, শুকনো বালিয়াড়ির প্রখর যন্ত্রনা কিনছি আজকাল। পাগলী বুড়িটা সকাল থেকে সন্ধ্যা কুড়োতে থাকে ছেঁড়া কাগজের টুকরো,আর পতনশীল …
বারিদ থেকে বারি পরলে বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টি মনের জমানো কথা গুলো হয়।
মেঘ করলে গুড় গুড়,
বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর।
পূর্ণ নদী,নালা,ডোবা,পুকুর।
জাল ঝারতাম সকাল দুপুর,
পাইতাম হরেক রকম মাছ।
কই,পুটি আর টাকি মাছে…
হাওড়া স্টেশন এ গত কাল গেছি মেদিনীপুর যাব বলে, কত নাম্বার প্ল্যাটফর্ম এ দেবে সেটা জানার জন্য বড় স্কিন এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি, এমনি তেই হাওড়া স্টেশন-এ ভিড় থাকে তার ওপর এখন পুজোর জন্য চাপ অনেক …
আমার স্বাধীনতায় বারবার পোকা কাটে,
বারবার,
আহত মন নিয়ে ছুটে যাই
বহমান নদীর কিনারায়,
পৃথিবীর সব মানুষ, সব ভাবনা নিজেদের
মধ্যে কাটাকুটি খেলায় মত্ত,
আমি যতই আকাশ দেখি
বাতাসকে বুকে জড়িয়ে ধরি
গাছেদের ফুলে পাতায় নিঃশ্বাস …
শরৎ আসে শিউলি, কাশে
শরৎ সবুজ ঘাসে।
শরৎ আসে, তাইতো নাকে
পুজোর গন্ধ আসে!
শরৎ এলেই শিশির ঝরা,
খাল, নদী, মাঠ ভরা
পদ্মবনের মহল্লাতে
ভ্রমর কলস্বরা
শরৎ শোনায় আনন্দগান,
জাগায় খুশির বান।
শরৎ আসে দুঃখ ঘোচে,…
নয়া ইতিহাস রচনা শুরু রাজপথে
মধ্যযামে ডাক্তাররা রয়েছ জেগে
নাগরিক সমাজ তাদের আগলে আছে
স্নেহ মমতায় সাহস যুগিয়ে সাথে।
নির্ভীক তারা অস্ত্রোপচারের যশে
দূষিত রক্ত প্রশাসনে যত টেনে আনবে অক্লেশে।
রাত দখলের দীর্ঘ যাত্রা শুরু হবে …
দশমীর চিঠি।।
বিয়াস,
তোমার বিয়ের পর আমিও আর ওই পাড়ায় থাকতে পারিনি। একটা চাকরি জুটিয়ে পালিয়েছিলাম কানপুর। বছর চারেক পর ফিরেছিলাম কলকাতায়, তবে পাড়ায় নয়। ততদিনে রাজার হাটের একটা ফ্ল্যাটবাড়িতে মা-বাবা উঠে গিয়েছিলেন। আমিও সঙ্গী হলাম। …
নবমীর চিঠি।।
বিয়াস,
সেই নবমী ছিল আমাদের একসঙ্গে কাটানো শেষ নবমী। একসঙ্গে .. একা একা। সেই নবমী। যার ক’দিন পরেই বিয়ে তোমার। সব ঠিকঠাক। পাড়ার সবাই জানতো, বিয়ে হবে তোমার আমার। যেই জানলো, তুমি হবে অন্য …
অষ্টমীর চিঠি।।
বিয়াস,
মাঝেমাঝে ভাবি, মান ভাঙানো এখন কত সহজ। মেসেজ করে সরি বলা যায়। হোয়াটসঅ্যাপে অনুনয় বিনয় করা যায়। ভিডিও মেসেজ পাঠানো যায়।
আহা রে! আগে যদি এ সব থাকতো, আমাদের সে বারের সেই অষ্টমীর …