মাতৃরূপেণ সংস্থিতা
লেখক : অঙ্কিতা মজুমদার
আঁধারের বুক চিরে
পাগলিনী ছুটছে-
সে জানে না তার গর্ভে রক্তকল্প ছাপ,
কলঙ্ক কি তার হুঁশ নেই,
যে পাশবিকতা তাকে উন্মুক্ত করেছে তাদের কী বলে সম্বোধন করতে হয় তার জানা নেই,
সে কেবল হাসে,
দুঃখ-কষ্ট-বেদনার কোন …
আঁধারের বুক চিরে
পাগলিনী ছুটছে-
সে জানে না তার গর্ভে রক্তকল্প ছাপ,
কলঙ্ক কি তার হুঁশ নেই,
যে পাশবিকতা তাকে উন্মুক্ত করেছে তাদের কী বলে সম্বোধন করতে হয় তার জানা নেই,
সে কেবল হাসে,
দুঃখ-কষ্ট-বেদনার কোন …
ধুর, আজকাল আর কবিতা-টবিতা পড়তে ভাল লাগে না। কোত্থেকে লাগবে বাওয়া? আজকাল কি কবিতার আর সেই মজাটা আছে? সব একেবারে হাওয়া। একদল নাম-কা-ওয়াস্তে ইম্প্রেসনিস্ট আর তথাকথিত আঁতেলদের চাপে আস্তে আস্তে কবিতার সৌন্দর্য্যটাই তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। …
একরাশ আবর্জনার মত ব্যস্ততা আঁকড়ে
আমি চলেছি মহামহিম ঈশ্বরের খোঁজে
কখনও হিমাচলের পাহাড়ে কখনও আন্দামান সাগরে
কালো পাহাড় আর সমুদ্রের নীল রক্তের মাঝে
তবু পাথরের বুকে আমার অটো ধরার উদগ্রীব ফুল
নীল সমুদ্রের বুকে ভাসে আমার …
আমি চাই, আমার কোন স্মৃতি মনে পড়লে তোমার হৃদয়ে যেন হালকা এক দুঃখ নেমে আসে।
কিন্তু পরক্ষণেই মনে পড়ে— আমি তো এখন আর তোমার কোন স্মৃতির পাতায় নেই।
তাহলে মনে পড়বেই বা কেন, দুঃখই বা হবে …
আমার আর নীলাঞ্জনার শেষ দেখাটা এতটাই অপ্রত্যাশিত হয় যে, শেষবারের মত ‘বিদায়’ বলারও সুযোগ পাওয়া যায় নি। নারী ততক্ষণই আপনার, যতক্ষণ সে রাগ করে, অভিমান করে, অধিকার খাটায়, বিরক্ত করে, ভালবাসে, খেয়াল রাখে। কিন্তু যখনই আপনি …
০১: ঠুনকো
ঠুনকো করে রাখি নিজেকেই লেখার খাতায়-
নিশ্চুপ পড়ে থাকি যেন বা অক্ষরের হত্যাদেশে।
অকপটে দেখি শূন্যরা ঠেস দিয়ে বাতাসের গায়
উড়ে আসা পাখির বিকেল খায় ঝাঁপিয়ে শেষে।
অবশেষ পড়ে থাকে, হাড়ে হাড়ে বেদুইন …
আশ্বিনের শুরুতেই এবার পুজো, ভরা বর্ষার উন্মাদনা কাটলেও কাশবন এখনও ফুলে ভরেনি। সুহাসিনী দুর্গাদালানের দিকে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়ল এ বাড়ির ফটকের পাশের ভাঙা পাথরের মূর্তিটা। শালুক ভর্তি পুকুরের জল সরিয়ে ঘট ভর্তি করে ঘাটে উঠতেই …
হেমন্তের সন্ধ্যায়,
নদী যখন অনুরণিত
নিঃসঙ্গ শঙ্খচিলের ডাকে
তখন
আমি দেখি
তোমার চোখ পানে চেয়ে
এক অচেনা আলো
যেথা
জোনাকিরা রাত্রি জাগে।
এই বালুকাবেলায়,
সময় যখন শেষপ্রান্তে
সূর্য তোমার
রক্তিম শাড়ির আঁচল,
স্নিগ্ধ বাতাস তোমার নিশ্বাস;…
তোমাকে এখনও এভারগ্রীনই ভাবি
তুমিই আমার একডালিয়া ছিলে
হাঁটতে যেমন পুতুল, দেওয়া চাবি…
সেবার হিট ছিলে চুড়িদার, হাই হিলে
আমি পরিচিত এপার বাংলা জাতক
তুমি বিদেশিনী অরিজিন হ’ল সিলেট
তোমার ফ্যামিলি হাইফাই বড়োলোক
আমরা অভাবী, বাবা …
শ্যামা-বিলাস ও মুক্তি (পদাবলী সমন্বয়)
রাগ: ললিত (একটি কাল্পনিক পদাবলীর ঢঙে রচিত)
স্থায়ী:
কোটি চন্দ্র জিনি, মা অরূপিণী!
ঐছন দেখলু নট, শ্যামা রূপিণী।
প্রথম অংশ (কালীর স্বরূপ):
শ্মশান-বাসিনী, তুঁহু যোগীন্দ্রাণী,
মাগো তুঁহু …
কবি জীবনানন্দের কাব্য সাধনায় কখনও প্রকৃতি মানবীয় সত্ত্বায় উপস্থিত হয়েছে, আবার কোথাও প্রেমকে প্রকৃতির সঙ্গে মিশিয়ে কবোষ্ণ ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে ঢেলে দিয়েছেন বাংলার আকাশে-বাতাসে। বাংলাদেশের প্রকৃতির মধ্যে দোয়েল, ফিঙে, মাছরাঙাদের সঙ্গে তিনি তাঁর প্রেয়সীর উপস্থিতি …
জসিমউদ্দিনের রাখাল ছেলে একবার শুনে যাও
গোরু দলবল লাঠি নিয়ে আর মাঠে কেন না যাও
বললে হেসে দাতকপাটি
শুনছ দাদাভাই
আর কোনদিন সে নাই এখন আর রঙের তামাশায়।
রাখাল ছেলে, রাখাল ছেলে চলো না ভাই যাই…
মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা
