শেষ দেখা
লেখক : মানব মন্ডল
আমার আর নীলাঞ্জনার শেষ দেখাটা এতটাই অপ্রত্যাশিত হয় যে, শেষবারের মত ‘বিদায়’ বলারও সুযোগ পাওয়া যায় নি। নারী ততক্ষণই আপনার, যতক্ষণ সে রাগ করে, অভিমান করে, অধিকার খাটায়, বিরক্ত করে, ভালবাসে, খেয়াল রাখে। কিন্তু যখনই আপনি …
আমার আর নীলাঞ্জনার শেষ দেখাটা এতটাই অপ্রত্যাশিত হয় যে, শেষবারের মত ‘বিদায়’ বলারও সুযোগ পাওয়া যায় নি। নারী ততক্ষণই আপনার, যতক্ষণ সে রাগ করে, অভিমান করে, অধিকার খাটায়, বিরক্ত করে, ভালবাসে, খেয়াল রাখে। কিন্তু যখনই আপনি …
০১: ঠুনকো
ঠুনকো করে রাখি নিজেকেই লেখার খাতায়-
নিশ্চুপ পড়ে থাকি যেন বা অক্ষরের হত্যাদেশে।
অকপটে দেখি শূন্যরা ঠেস দিয়ে বাতাসের গায়
উড়ে আসা পাখির বিকেল খায় ঝাঁপিয়ে শেষে।
অবশেষ পড়ে থাকে, হাড়ে হাড়ে বেদুইন …
আশ্বিনের শুরুতেই এবার পুজো, ভরা বর্ষার উন্মাদনা কাটলেও কাশবন এখনও ফুলে ভরেনি। সুহাসিনী দুর্গাদালানের দিকে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়ল এ বাড়ির ফটকের পাশের ভাঙা পাথরের মূর্তিটা। শালুক ভর্তি পুকুরের জল সরিয়ে ঘট ভর্তি করে ঘাটে উঠতেই …
হেমন্তের সন্ধ্যায়,
নদী যখন অনুরণিত
নিঃসঙ্গ শঙ্খচিলের ডাকে
তখন
আমি দেখি
তোমার চোখ পানে চেয়ে
এক অচেনা আলো
যেথা
জোনাকিরা রাত্রি জাগে।
এই বালুকাবেলায়,
সময় যখন শেষপ্রান্তে
সূর্য তোমার
রক্তিম শাড়ির আঁচল,
স্নিগ্ধ বাতাস তোমার নিশ্বাস;…
তোমাকে এখনও এভারগ্রীনই ভাবি
তুমিই আমার একডালিয়া ছিলে
হাঁটতে যেমন পুতুল, দেওয়া চাবি…
সেবার হিট ছিলে চুড়িদার, হাই হিলে
আমি পরিচিত এপার বাংলা জাতক
তুমি বিদেশিনী অরিজিন হ’ল সিলেট
তোমার ফ্যামিলি হাইফাই বড়োলোক
আমরা অভাবী, বাবা …
শ্যামা-বিলাস ও মুক্তি (পদাবলী সমন্বয়)
রাগ: ললিত (একটি কাল্পনিক পদাবলীর ঢঙে রচিত)
স্থায়ী:
কোটি চন্দ্র জিনি, মা অরূপিণী!
ঐছন দেখলু নট, শ্যামা রূপিণী।
প্রথম অংশ (কালীর স্বরূপ):
শ্মশান-বাসিনী, তুঁহু যোগীন্দ্রাণী,
মাগো তুঁহু …
কবি জীবনানন্দের কাব্য সাধনায় কখনও প্রকৃতি মানবীয় সত্ত্বায় উপস্থিত হয়েছে, আবার কোথাও প্রেমকে প্রকৃতির সঙ্গে মিশিয়ে কবোষ্ণ ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে ঢেলে দিয়েছেন বাংলার আকাশে-বাতাসে। বাংলাদেশের প্রকৃতির মধ্যে দোয়েল, ফিঙে, মাছরাঙাদের সঙ্গে তিনি তাঁর প্রেয়সীর উপস্থিতি …
জসিমউদ্দিনের রাখাল ছেলে একবার শুনে যাও
গোরু দলবল লাঠি নিয়ে আর মাঠে কেন না যাও
বললে হেসে দাতকপাটি
শুনছ দাদাভাই
আর কোনদিন সে নাই এখন আর রঙের তামাশায়।
রাখাল ছেলে, রাখাল ছেলে চলো না ভাই যাই…
কেউ কি অপেক্ষা করে না কারও
তোমার মতই নদী?
তবুও কেউ তীরে ঘাস বুনে
একাকী নিরবধি!
ঢেউ খেলে যায় ঢেউয়ের পরে,
বুকের ভিতর ছলাৎ ,
ওই সরে যায় চেনা স্রোত
বিদায় অকস্মাৎ।
নদীর মত নরম …
কোথাও শঙ্খ, কোথাও ঘণ্টাধ্বনি, কোথাও আজান।
চাওয়া পাওয়ার টানাপোড়েনে বোনা
এই পৃথিবীর ইজেলে, ছবি আঁকে মানুষ।
উত্তরে ঘর ভাঙে, দক্ষিণে ফুরোয় ছুটির কারুকাজ,
লাস্যে থাকুক সেলিব্রিটি!
এই যে যন্ত্রণা-অপেক্ষা-উপেক্ষা নিয়ে সাপলুডোর চৌখুপী,
কেউ মাথায়, কেউ …
আমার চারপাশ জুড়ে অস্থিরতা
চেনা রঙ অচেনা হয়ে উঠেছে
ক্যানভাস ধূসরতায় পরিপূর্ণ
ছবিগুলো বড় বেমানান লাগছে।
অবয়ব ঘষা কাঁচে অস্পষ্ট
জটিল আবর্তে ঘেরাটোপে বন্দী
সময়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে
রুদ্ধ দ্বারের আড়ালে কথা ভেসে আসছে
ষড়যন্ত্র নিঃশব্দে …
পূজা শেষ হলেই স্টেশন রোডে এক দিদিমাকে দেখা যায় রঙ-বেরঙের হাতে তৈরী নারকেল দড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বসে থাকতে। এবার সবে প্যাণ্ডেল বাঁধা শুরু হয়েছে, কিন্তু কি আশ্চর্য! সেই দিদিমাকে দেখলাম পাড়ার এ-প্যাণ্ডেল থেকে ও-প্যাণ্ডেল …
মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা
