লাল চাঁদের আভা
লেখক : সুরাইয়া আলম
লেখক পরিচিতি : সুরাইয়া আলম
নাম : সুরাইয়া আলম, একজন শিক্ষার্থী,বয়স ১৪
লেখক পরিচিতি : সুরাইয়া আলম
নাম : সুরাইয়া আলম, একজন শিক্ষার্থী,বয়স ১৪
প্রথম পিরিয়ডের বেল পড়তেই ক্লাসে রেজিস্ট্রার খাতা হাতে প্রবেশ করলেন সৌম্যদীপ্তা ম্যাম। সবাই যখন দাঁড়িয়ে তাকে গুড মর্নিং বলতে যাচ্ছে তখনই ম্যামের ছায়া অনুসরণ করে অন্য একজন ক্লাসে প্রবেশ করলো। টিচার্স টেবিলে রেজিস্টার খাতা রেখে ম্যাম …
-“ঘটি বাড়ির মাইয়া, ওই কতগুলো চিনির সিরা বানানো ছাড়া কি শিখছস রে? থু থু, তুই খা এই খাবার।”
-“জন্ম সময় তো মা তোমার মুখে মধু দেয় নি। তাই কাঁটা তার পার করে যখন এখানে এসেই …
“পঞ্চাশ কেজি দই নিয়ে সামনের রবিবার তোদের বাড়ি যাচ্ছি। তোরা সকলে বাড়ি থাকিস।”
বন্ধু অনিকেতের হোয়াটস-অ্যাপ মেসেজটা পড়ে বেশ অবাক হল কাঁঠাল খান। নর্থ বেঙ্গল থেকে হঠাৎ পঞ্চাশ কেজি দই নিয়ে আসার কারণটা বোধগম্য হল না …
অনেক রত্ন রাজি,
হীরে মণি-মুক্তো নানা
কোথাও পড়ে,
কোথাও সূর্য রশ্মিটি পড়ে না।
কোথাও ওঠে ঝিকিমিকিয়ে
ছড়ায় রঙের দ্যুতি,
কোথাও যেন আবছায়াতে
ঝিলিক অল্প অতি।
আলোয়-আলোয় মিশে-মিশে
কোথাও চন্দ্র জ্বলে,
নীহারিকার পুঞ্জ যেন
কোথাও ডানা মেলে।…
আর্ট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র চন্দ্রচূড়। খুবই সাদামাটা স্কুল থেকে পাশ করে মামার কাছ থেকে পাওয়া একটা নীল রঙের শার্ট পরে কলেজে আসে। দ্বিতীয় বর্ষের দাদা-দিদিদের হম্বিতম্বি একেবারেই সহ্য করতে পারে না সে। মফঃস্বল বলে
জন্ম থেকেই দাঁড়িয়ে যে আমি
কই না তো কোনও কথা,
না চাইতেই তো সবটা দিয়ে দিই
সে কি আমার দুর্বলতা!
নিষ্ঠুরতায় তোমরা এখন
প্রথম স্থানেতে আছ
মৌন থাকি বলেই কি তাই
এরকম করে কাটো?
কাটার শেষে …
হু হু করে গাড়ি ছুটছে, মাথার মধ্যে শূন্যতা। এক জলোচ্ছ্বাসের আবেগ নিয়ে কাল থেকেই বড় মন কেমন করছে ঝোরার জন্য। এতদিন পর গিয়ে কী বলবে মেয়েটাকে? কেন সেদিন সকালের আলো ফুটতে পালিয়ে এসেছিল তাকে কিছু না …
আমার এ শরীরের গন্তব্য কোনদিকে নেই আর,
তাই গোধূলির আকাশের নিচে চুপচাপ শুয়ে থাকি,
ঘুমোই না, ঘুম আসে না বহুদিন।
নিতান্তই নিভে যাবার আগে কিছু শেষ কথা বলার প্রয়োজন বোধ হতো একদা,
এখন আমার এ শরীর-জোড়া …
জুন মাসের এক বিকেলবেলায় পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নামতে গিয়ে আচমকা বাঁ পা-টা পিছলে গেল অনীকের। এক্ষেত্রে বেশ বড়সড় একটা ক্ষতি হতে পারত। ঢালের একপাশে খাদও ছিল বেশ গভীর মতন, তবু শেষ মুহূর্তে হাত দিয়ে কোনরকমে একটা …
আজ কাল কেমন তাড়াহুড়ো করে সন্ধ্যে হয়ে যায়,
ছাদে কাপড় তুলতে গিয়ে রোজ কাঠঠোকরা পাখিটাকে দেখি,
নারকেল গাছের ফোকর দিয়ে মুখ বের করে থাকে।
বকগুলো সারি দিয়ে উড়ে যায় ওদের ঠিকানায়।
লাল মোরামের ধুলো উড়ে আসে …
“দাদা চেঞ্জটা দিন। আমার স্টপ এসে গেছে।” বাসের গেটের কাছে উঠে এসে কন্ডাক্টারকে বললেন অবনীশ হালদার। কন্ডাক্টার তার হাতের আঙুলটা থেকে পাঁচটা মোড়া নোট বার করে অবনীশ হালদারের হাতে দিলেন। অবনীশের স্টপ এসেই গেছিল, নোট …