চোর
লেখক : সৌগত ঘোষ
যত্নে একটা আংটি তৈরি করে ছিলাম।
তাতে খোদাই লুকোনো স্বীকৃতি।
হঠাৎ একদিন বৃষ্টির রাতে সেই যে হারালো,
তাহা আর ফিরিয়া পেলাম না…..
যে চোর চুরি করেছে,সে কি খুব শান্তিতে আছে ?
সে কি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছে …
যত্নে একটা আংটি তৈরি করে ছিলাম।
তাতে খোদাই লুকোনো স্বীকৃতি।
হঠাৎ একদিন বৃষ্টির রাতে সেই যে হারালো,
তাহা আর ফিরিয়া পেলাম না…..
যে চোর চুরি করেছে,সে কি খুব শান্তিতে আছে ?
সে কি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছে …
আমি একদিন হারিয়ে যাব মধ্য নিশিকালে।
কতো হাহাকার করবে সবাই, ডাকবে আয় ফিরে।
কেউ কাটিবে ঝাড়ের বাঁশ, কেউ পাকাবে দড়ি।
কিছু লোকে খুড়বে মাটি, তৈরি হবে মোর নতুন বাড়ি।
চলে যাবো নতুন দেশ, বাঁশের দোলায় চড়ে।…
একটু আগলে রাখি নিজেকে
সব টুকু কি বিলিয়ে দেওয়া যায়
নিজের মনে হাজার ক্যালকুলেশন
তাহার হদিস কজন ই বা পায়।
একটু নাহয় মিষ্টি করেই হাসি
গোমরা মুখে কেন আর থাকি
চলছে জীবন নদীর মতো করেই
ডানা …
ধরি ধরি,ঠিক পারি না
কি যেন এক আলো
নিত্য করে আনাগোনা।
চুনির আলোর গুন ছাপিয়ে
শরীর করে চাঙ্গা
মোতির আলোর রূপ ছাপিয়ে
বক্ষ করে চোখা…
সকল রত্নরাশির আলো
সেই আলোতে মেশে,
ধরি ধরি ঠিক পারি না…
তোমার প্রতি আমার ব্যাকুলতার জন্যে,
আমি এখন খুব নিস্তব্ধ হয়ে গেছি,
যদিও আমার ব্যাকুলতা কখনো তোমার অনুভবে আসে না!
তবুও আমার মমতার দৃষ্টি
সব-সময় তোমার প্রতি,
কিন্তু তুমি যে অভিমানে খুবই অনল!
যদিও তোমার নির্লিপ্ততা দেখে, …
তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়
ছেঁড়া মস্তিষ্কের কগনিটিভিটি,
দলে দলে ছেড়ে যায় আপন
নাবালিকা পিঁপড়ের গতি !
আজও আমি স্তব্ধ
অপলক নিঃশব্দ,
অনাবিল আবরণে
নিঃশ্বাস সূর্যাস্ত!
নাতো লড়াই নাতো ভাঙন
নাতো গড়ার স্বপ্ন ,
নাতো …
সরোবরের শীতল শীতল
স্ফটিক-স্বচ্ছ জলে
শঙ্খশুভ্র হাঁসগুলি সব
চপল খেলা খেলে।
কোমল-কোমল পাঁপড়ি মেলা
স্নিগ্ধ দৃশ্যাবলি-
এদিক ওদিক খিলখিলানো
শ্বেত পদ্মগুলি।
হঠাৎ কখন রাজহংস
আকাশ থেকে প’ড়ে
সাদা শোভার বহর আরো
বাড়িয়ে দিল নীরে!
—————————————————————————————
লেখক …
শীতের সন্ধ্যাবেলা এক পশলা বৃষ্টি এসেছিল
হঠাৎ করেই কোথায় যেন কে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলেছিলো
আমার শীতের সন্ধ্যাবেলার এক পশলা বৃষ্টি তোমাকে দিলাম
তোমাকে সাজাবো আজ বৈষ্টমী সাজে
কবিতার ছন্দে সুরে নেচে নেচে
সন্ধ্যার সেই ঠান্ডা …
তারপর নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম। ২২ বছরের অতিবাহিত জীবনে আমার স্বার্থকতা কি আমি ছুড়ে ফেলে এসেছি?
এইরকম প্রশ্নে অবচেতন মন একটু উত্তর দিতে খেলা করে।সে সরাসরি আমাকে উত্তর না দিয়ে শুরুতে বললো –
-২২ বছরের মধ্যে …
যে তুমি লালিত্যে গৃহকোণ গড়েছ,
হাত ধরে প্রতিদিন সাতপাকে বেঁধেছো,
রেখেছ তাদের সবকিছু বাঁচিয়ে।
সেই তুমি কাঁধে কাঁধ হাতে হাত রাস্তায়,
বিচার চাই বিচার দাও হুঙ্কার দিয়েছো।
লেখা থাক ইতিহাসে, লেখা হোক কাব্যে,
বেঁচে থাক প্রতিবাদ …
তোমার স্বপ্নে আমি অনেক রঙ দেখি,
নদীর জল আর মিষ্টি বাতাসের গন্ধ পাই।
সূর্য যখন ডোবে, আকাশ লাল হয়ে যায়,
কিন্তু আমি একা, কারণ তুমি পাশে নেই।
মেঘের মাঝে লুকানো তারা যখন আসে,
মনে হয়, …
প্রথম পর্বের পর…
…তখন ধুলোর শয্যা ছেড়ে
সূর্যদেব পাটে উঠলেন
আর কালপুরুষ পরে নিলেন
তাঁর সান্ধ্যকালীন শীতপোশাক
শহর জুড়ে রঙিন আলোয়
রাতভর বেচাকেনা চলল
আর পথ হারিয়ে এক দুঃখী মেয়ে
কেঁদে কেঁদে শেষ করলো তার হাসবার সময় …
অবশেষে …