ভরসা
লেখক : বিজুরিকা চক্রবর্তী
হাঁটছি যখন হিসেব করে, মা
মাপছি যখন দিনের আলো,
কি বা হবে খাতায় ভরে
ছন্নছাড়া কাব্যগুলো?
দাগেই যদি চাঁদকে চিনি
রাতকে কেবল অন্ধকারে
দু’পয়সাতে আকাশ কিনি
মুছতে তারা বারেক-বারে,
মাটির ঘরে দুঃখ রাখি
মেঘের দেশে বিরক্তি …
হাঁটছি যখন হিসেব করে, মা
মাপছি যখন দিনের আলো,
কি বা হবে খাতায় ভরে
ছন্নছাড়া কাব্যগুলো?
দাগেই যদি চাঁদকে চিনি
রাতকে কেবল অন্ধকারে
দু’পয়সাতে আকাশ কিনি
মুছতে তারা বারেক-বারে,
মাটির ঘরে দুঃখ রাখি
মেঘের দেশে বিরক্তি …
সকাল থেকে ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি হয়ে চলছে। গত দেড় মাস ধরেই চলছে। প্রথম দিকে বৃষ্টি শুরু হ’লেই সাথে সাথে বাজ পড়তে শুরু করে। আগে এ’রকম ছিল না। বর্ষা শেষ হওয়ার দিকে ভাদ্রমাস নাগাদ বৃষ্টির সঙ্গে …
‘উৎসবে ফিরুন’ – এখনও উৎসব এলে এই শব্দবন্ধ যেন তাড়া করে ফেরে আমাদের। আমরাও ধীরে ধীরে ফিরে আসি অভ্যস্ত জীবনে – পৃথিবীর নানা প্রান্তের যুদ্ধ-বিগ্রহ-আন্দোলন, দেশ ও রাজ্যের নানা অঘটন-চোখরাঙ্গানি ভুলে ফিরে যাই উৎসবে। মধ্যবিত্ত বাঙালির সারা বছরের একঘেঁয়ে জীবনের …
১৯৫৯ সালের শরতের শুরু। আকাশে মেঘের স্তর যেন কোন অজানা অভিসন্ধির আভাস দিচ্ছিল। পুরুলিয়ার লাল মাটির গ্রাম – বেলিয়াডি। সাঁওতালদের ঝুপড়ি, কাঁচা রাস্তা, আর চারপাশে ঢিবি-ঢালা পাহাড়। গ্রামের মানুষ তখন ধান কাটার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। রবিবারের সকালে …
‘খেলব হোলি রং দেব না….’
দাঁড়ান দাঁড়ান মশাই। রং তো দেবেন বুঝলাম, তা কী রং দেবেন? কী বললেন? লাল-হলুদ-সবুজ-গেরুয়া…যা খুশি? উঁহু, তা বললে তো চলবে না। শুধু বেগুনি রং অ্যালাউড! না মশাই, মোটেই মশকরা করছি না! …
“কী আছে বাংলায়, কেন থাকব, ভুলতে চাই সব যা আমি জানি”
এমন কত কথা এখানে সেখানে শুনি আমি!
বাস্তবতাবোধে এ অভিমান করছি স্বীকার!
তা বলে কি বাংলা-ভাষে হতে হবে রাজ্যে রাজ্যে শিকার?
এখনো শিরদাঁড়ায় থাকেন বিদ্যার …
বইয়ের নাম : যুগাচার্য্য মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ
লেখক : ড. রঘুপতি মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক : শ্রী সবিতাদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. রবীন্দ্রনাথ কর
সংস্করণ : দ্বিতীয় সংস্করণ, ফেব্রুয়ারি, ২০১২
দৈর্ঘ্য : ৬৪ পাতা
অবয়ব একটাই, কিন্তু রং অনেক – …
রোদের আলোয় নারকেল গাছের উপর
বসে থাকা কাকের ঊজ্জ্বলতা যেন দ্বিগুণ দেখায়!!
পাশের বাড়ির বড় মেয়ের বিয়ের
কাঁচা মেহেদিপাতা বাটার সুবাস যেন ছড়ায়ে পড়ে!
দেনা টাকার ঋণ শোধ করতে না পেরে
কাজলীর মা গ্রাম ছেড়ে …
এক
ঠাকুর দেবতারা যেখানে থাকার থাকেন। ছোটবেলা থেকে আমাদের বাড়িতে তাদের থাকার মত বিশেষ কোন বন্দোবস্ত দেখিনি। দাদু-ঠাকুমার ভরা সংসার। দু’টো মাঝারি মাপের ঘর আর দু’টো ঘরের মাঝে বিভাজন সরিয়ে নিয়ে টানা একটা হলঘর। জনা ষোল …
ছোট বেলায় গিয়েছিলাম আমার মামার বাড়ি,
সেথায় আমি দেখেছিলাম বিশাল হানাবাড়ি।
লোক মুখে শোনা সেথায় অনেক ভূতের বাস,
সকাল বেলায় হট্টগোলে করত প্রাতঃরাশ।
আমরা ক’জন প্ল্যান করিনু যাব দিনের বেলা,
দেখব সেথায় কেমন ক’রে ভূতে করে …
গাড়িতে হর্ণ দেওয়া মাত্র মুন্যা নিচে নেমে এল। দেখলাম হ্যাণ্ডব্যাগ ছাড়াও আর একটা ছোট ব্যাগ নিয়েছে। সেটা আমিও নিয়েছি। বলা তো যায় না, আজ যদি ফিরতে না পারি! মুন্যা আমার বড়মামার মেয়ে। লেকটাউনে থাকে। আমি থাকি …
মেয়েটি বলল, তুমি ঘর বাঁধতে পারো?
বাবুই না ঘুঘু, দোলাচলে তখন আমি
বাবুইয়ের বাসা! অতিরিক্ত সুন্দর
মা আলপনা দিত, নিখুঁত সীমানায় বাঁধা
গুঁড়ো চালের গন্ধে বিশাখার উম
অথচ আমার হাতে বিস্তর প্রতিবন্ধ
চুম্বনের ঢেউয়েও কাঁটা ছড়ায়…
মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা
