হারামখোর
লেখক : নিত্যানন্দ দাস
ক
আমার জন্ম হস্তিনাপুর
এবং আমি এক নীচ ভিখারি
উপোসী কুকুর।
দেয় যদি কেউ টুকরো মাংস
আমি চুপ হারামখোর-
চোখের সামনে দেখি ধ্বংস!
খ
যখন তুমি অর্ধোলঙ্গ রজঃস্বলা
কামোন্মত্ত দুঃশাসন
বেশ্যা, বেশ্যা! আয়, ঊরুতে বোস্
উল্লসিত …
ক
আমার জন্ম হস্তিনাপুর
এবং আমি এক নীচ ভিখারি
উপোসী কুকুর।
দেয় যদি কেউ টুকরো মাংস
আমি চুপ হারামখোর-
চোখের সামনে দেখি ধ্বংস!
খ
যখন তুমি অর্ধোলঙ্গ রজঃস্বলা
কামোন্মত্ত দুঃশাসন
বেশ্যা, বেশ্যা! আয়, ঊরুতে বোস্
উল্লসিত …
ধোঁয়াহীন চিতার সারি
পোড়া কাঠের স্তূপ,
মানুষ আর জঞ্জালে পেটভরা কূপ।
আগুনের শিখা থেকে কোনক্রমে বেঁচে
কিছু স্নেহের হাতে গড়া গৃহস্থালী,
স্বার্থপরের আঁখি তাকিয়ে পোড়া বাড়ির পানে।
সতেজ দেউল হারিয়েছে প্রাণ কার হাতের টানে?
দু’দিন আগেও …
স্বপ্নরা বিনা টিকিটে আসে শিয়ালদা লোকালে
অসহায় টিটিরা ছোটে এপাশ ওপাশ
অনেক অনেক পরে উত্তরপুরুষের হাতে
ছিঁড়ে যাবে গতানুগতিকতার নাগপাশ।
বিনিমাসি তোমার শাড়ির আ়চলে মুছে নেয়
নন্দিতা ঘাম, হামেশাই, স্বপ্নরা মুচকি হাসে
পোটোম্যাক টেমসের ভাসমান নৌকায় …
সভ্যতার জন্ম দিতে-দিতে-
নারী…
আলোকময় উঠান-
ভরেছে অন্ধকার,
চৌচির হতে হতে –
হাতে নিয়েছে ভার,
তবু নিঃস্ব,
সকল পারাবার।
ভূলুণ্ঠিত… বিবস্ত্র…
শুষ্কতা মেখেছে…
ইন্ধন এনেছে অহরহ,
রাত্রির কালো মোছাতে মোছাতে –
নিংড়ে দিয়েছে সহস্র জ্বালা,
তবুও …
প্রত্যেকটি দিন রাত এখন এক দুঃস্বপ্নে পরিণত
মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে পুরনো ক্ষত।
সামনে আছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
আর খোলা যাচ্ছে না বেদনাবিষাদের জট
নেই বর্তমানের ঠিকানা
জীবনের সাথে যুদ্ধ চলছে একটানা
জীবনে সুখ …
ধূসর সময় বেয়ে সময় নিজেই সুবাস ছড়ায়
এ দ্বীপে ও দ্বীপে।
বনভূমি থেকে দুখ পাখি কাকভোর আকাশ ভিজিয়ে আঁধার
দরিয়ায় তালাশ করে তৃষ্ণার্ত
কোন সে প্রেমিকাকে?
আমি তো তোফা আছি মসিঢালা
হৃদয়কন্দরে একা একা
প্রলয়বাণ সামলে…
মৃণাল সেনকে নিয়ে দেখছি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব লেখালেখি হচ্ছে, সিনেমা হচ্ছে। মৃণাল সেন শতবর্ষ, সত্যজিৎ শতবর্ষ, তাঁদের নিয়ে সিনেমা। বাঙালি কবে ঘি দিয়ে ভাত খেয়েছিল, সেই হাতের গন্ধ এখনও শুঁকছে। নস্টালজিক হয়ে পড়ুন, খুব ভাল। মৃণাল …
দেবনারায়ণপুরের প্রসিদ্ধ সিদ্ধিকালী মন্দিরের বাইরে বুড়ো বটতলায় সালিশি সভা বসেছে। শতাব্দীপ্রাচীন বটগাছটির ছায়ায় একটি তক্তপোষের ওপরে মাদুর বিছিয়ে যে কয়েকজন বসে, তাঁদের সকলেই উপবীতধারী ব্রাহ্মণ। বাঁদিকে একটি কাঠের বেঞ্চে বসে গ্রামের বাকি মাতব্বররা। একটু দূরে ডানদিকে …
যাদের রক্তে সাতচল্লিশে,
স্বাধীন হল এ দেশ,
তারা কি জানত, এই পরিণতি,
দলাদলি বিদ্বেষ!
নানান দলের নানান পতাকা,
তেরঙ্গার জন্য দু’দিন!
ছাব্বিশে আর পনেরই
জাতীয় পতাকা উড্ডীন।
তারপর সারাবছর জুড়ে
কাদা ছোঁড়াছুড়ি, দোষা-দোষী।
সাদা কাপড়ে, হাত …
“বিনি, এই বিনি। উফ, এত জোরে হাঁটছিস কেন? এই বিনি, দাঁড়া বলছি।”
“আমার দাঁড়ানোর সময় নেই এখন। আমার পিছনে আসিস না। কাজ মিটিয়ে ঠিক সময়ে চলে আসব আমি।”
“উফ, পাগল মেয়ে একটা”, জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিল …
আমি তাকে ভালবেসেছিলাম,
সাহস করে বলিনি কথা।
হয়ত সে বুঝেছিল কিছু,
তবুও ছিল চোখে ব্যথা।
প্রতিটা দিনে খুঁজেছি তাকে,
নীরবে গেছি তার পাশ দিয়ে।
ভাবতাম একদিন বলব বুকে,
ভয় পেতাম — সে ফিরবে গিয়ে।
হয়ত সে হেসেছিল …
ফিরে তাকাবার বদঅভ্যাসে
ফিরে চাওয়ার গল্পে,
আগলে রাখার কথাগুলোই
ভীষণরকম কাঁপে।
হারিয়ে যাওয়া বিকেলগুলো
ট্রামলাইনের দাগে,
ইচ্ছেমতো ঘাসের মাথায়
মেঘবিন্দু জমে।
চায়ের কাপে মাপছি যখন
দু-এক চুমুক হলেই,
ভাঁড়ের গুঁড়ো মুখবন্ধে
সান্ধ্য আশ্রয় নেবে।
জেগে থাকা …