লেখক : রথীন মান্না
হ্যাঁ, আমি প্রীতম বলছি,
প্রীতম!
তোমাতে প্রীত হবো বলে
চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম;
পথের সাথীদের কথা দিয়েছিলাম,
তোমার নব পরিচয় ঘটাবো জগতের সাথে;
তোমাকে নিন্দিত পথে হাঁটতে বাধ্য করবই।
বিবাহের পূর্বেই তোমার ঐ অহংকারী অ-নিন্দিতা সুন্দরী শরীরটাকে শহরের বুকে টেনে নিয়ে গিয়ে নির্জন কক্ষে দুমড়ে মুচড়ে
প্রাগৈতিহাসিক সুখে মত্ত হবো বলে
আমি অভিনয় করেছি এক দুর্বোধ্য প্রেমের;
তুমি দুর্বার স্রোতের টানে ভেসে এলে সেই
প্রীতমের কাছেই!
হ্যাঁ, আমি সেই প্রীতম,
যাকে নিয়ে কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সুখে
প্রমত্ত হতে চেয়েছিলে তুমি প্রতি মুহূর্তে,
আত্মকেন্দ্রিক জীবনে প্রলুব্ধ হতে
চেয়েছিলে মুহুর্মুহু
আমি সেই প্রীতম,
যে তোমার কামার্ত শরীরে বিলীন হবে বলে মত্ত হয়েছে প্রতিদিন অভিনয়ে সুকৌশলে!
দশ বছর ধরে খেলতে খেলতে
তুমি যখন ধ্বংস করেছিলে এক নিবেদিত দয়িত প্রাণ মিলন-হৃদয়,
তখনই তোমাকে বেঁধেছি এক মায়াজালে। তুমিও জড়িয়ে গেলে
তুমিও জেনে গেলে,
রাতের সোনালী আকাশে
চাঁদের বুকেও কলঙ্ক লেগে থাকে।
লেখক পরিচিতি : রথীন মান্না
ছোটবেলা থেকেই কবিতার প্রতি একধরণের টান বরাবর ছিল। স্বভাবগতাবে কবি নাস্তিক। খুব কাছ থেকে দেখা ঈশ্বরপ্রেমী প্রিয়জনের বদলে যাওয়ার নিষ্ঠুরতায় কবি ঈশ্বরের বিরুদ্ধেও জেহাদ ঘোষণা করেছেন। কবির কবিতার মূল সুর মানবতা।