এসব অপেক্ষা শেষে

কবি: নিঃশব্দ আহামদ

আমি তাকালাম, উড়ে যাচ্ছে রোদ
কোথাও পুঞ্জীভূত মেঘে জমে গেছে খেদ-
তাই আর আসা হলো না
শুধু ভাবনার অতল থেকে তুলে আনো সংশয়
বৃষ্টিধোয়া সন্ধ্যা এক ভিজিয়ে যায় চোখ।

টুংটাং শব্দ তুলে পেরিয়ে যাবার কালে দ্বি-চক্র যান
গলি মোড়ে তাকাই বার কয়েক, না নেই-
অপেক্ষা নেই, শুধু ছেড়ে যাচ্ছে কোলাহল
নীরবতা ভেদে দেখিনি প্রিয় কোনো ইশারা।

অথচ ভাবি, খুউব পাশে ছুঁয়ে যাচ্ছে কারও আঙুল
নির্ভরতার একটা হাসি রেখায় ফুটে উঠে আবদার
না মেলাতে পারিনা শুধু হাত, শুধু শূন্যতার পরত ছুঁয়ে
লিখে যাচ্ছি এসব ভুলভাল অসময় আখ্যান।

অবশেষে এলো না, হায় চড়ুই-
না চড়ুই, শ্বেত কপোতীর শুভ্রতা
শুধু বিকেল রোদে ম্লান হতে হতে সম্ভাষণ রেখে যায়
অকারণে দীর্ঘ কোনো অপেক্ষা-


ছবি: প্রণবশ্রী হাজরা


লেখকের কথা: নিঃশব্দ আহামদ

নিঃশব্দ আহামদ পেশায় ব্যাংকার হলেও বরাবরই কবিতায় সুন্দর মনোযোগ। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলায় প্রত্যন্ত এক গ্রামে ১২জুলাই ১৯৮৬ তে জন্ম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা হলেও বাংলা সাহিত্যই যোগায় আনন্দ।

কবিতা ভাবনা:

কবিতা আমার ভেতর সীমাবদ্ধ না,যার ব্যাপ্তি গন্ডি পেরোনোর,কখনো দেশ,সমাজ, বৈশ্বিক,মননে মগজে বিস্তৃত ভাবনার প্রকাশ সৌন্দর্য্যই কবিতা। হয়তো আমি লিখছি,আমাকে। তাকে যে নামেই অভিহিত করি না কেন সে আমারই প্রতিনিধিত্ব করে কিংবা বলা চলে আমারই প্রকাশ আর তাই রহস্য থেকে অধিকতর বাস্তব এবং চিরায়ত সত্যের মতো যার গুঞ্জরণ প্রতিটি মুহূর্তব্যাপি আমি তাকেই ধরে রাখছি শব্দে! শব্দ নিয়ে খেলা ,শব্দে শব্দে আমি অতিশয়োক্তি রাখিনি যথেষ্ট, স্পষ্ট এবং প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চেষ্টা করি জীবন ও সমূহ যাপন শব্দের চালে। অর্থাৎ কবিতা আমার একটা আশ্রয়, যেমন কাঁদতে কাঁদতে প্রত্যাশা থাকে এতোটুকু সহানুভুতি ছুঁয়ে যাক সমস্ত ব্যাকুলতায়,আমিও আমার আকুলতার শেষতক গেঁথে দিই কবিতায়। আর তারই স্বারক হয়ে ওঠে প্রতিটি শব্দ,আমার সময় এবং যাপনের।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

রুচিশীল ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য ক্লিক করুন এখানে

sobbanglay forum