লেখক : অন্বেষা চক্রবর্তী
শিখন্ডীর ন্যায় চোখেতে তার,
অক্ষীপল্লব যেন ঘন কালো পক্ষরাজী।
অর্ধচন্দ্রাকৃতি ভ্রু যুগল তার,
নমনীয় অথচ কি ভীষন শ্যেণ সে দৃষ্টি।
সবিতার ন্যায় ললাটিকা শোভিত হয়,
তোমার নাতিদীর্ঘ ললাটে।
অর্ধ প্রস্ফুটিত পারিজাতের ন্যায় কোমলীয়তা
তোমার অধর যুগলে।
অন্ধতামসীর ন্যায় ঘন কেশরাশির কিছু যখন,
অবাধ্য বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে তোমার কপোলে…
প্রকাশিত হয় জ্যোৎস্নার ন্যায় স্নিগ্ধতা তোমার আননে।
সৃষ্টি কর্তার নিখুঁত সৃষ্টি তুমি, উদয়নের নিদ্রাহরণী ,
তেজোদীপ্তা, গুণশ্রেষ্ঠা – তোমার উপমা কেবল তুমি।
চন্ডমহাসেন কন্যা, বাসবের আশীর্বাদ ধন্যা,
মহান রাজা উদয়নের শিষ্যা, ঘোষবতীর মুর্ছনা
তুমি “বাসবদত্তা”।
রাজনন্দিনী হয়ে, স্বামীর পরম প্রিয়া হয়েও তুমি রাজসুখ ছেড়েছো,.
প্রজা মঙ্গলার্থে নিজ স্বামী কে অন্যের হাতে তুলে ও দিয়েছ।
ত্যাগের প্রতিমূর্তি – তুমি ‘ বাসবদত্তা”
আজ ভালোবাসা নেই,
আছে শুধু স্বার্থ।
পাওয়ার ইচ্ছেতে
মিথ্যে করেছে ভালোবাসার মর্মার্থ।
নারী অনেক আছ,
তবু “বাসবদত্তা” তুমি আজ লুপ্ত।
ফিরে এসো বাসবদত্তা,
নারী মনে প্রেমের সঞ্চার ঘটিয়ে।
আত্মত্যাগের প্রদীপ জ্বালিয়ে, স্নেহের আবেশ নিয়ে।
ফিরে এসো, ফিরে এসো , ফিরে এসো।
লেখক পরিচিতি : অন্বেষা চক্রবর্তী
আনকোরা কলমচি।
খুব সুন্দর লিখেছিস বুনু।
খুব ভালো লাগল। আরও লেখা আসুক।