লেখক : অঙ্কিতা মজুমদার
ডাস্টবিনের ‘পরে ফেলে আসা প্রাণ,
ওদেরও একই ভাবে আসা,
তবু ভিন্ন যাত্রাপথ,
এভাবেই না জানা সম্পর্কগুলো একটা রক্তকণাকে বিলিয়ে দেয় নির্দ্বিধায়,
হুঁশ থাকে না পরাভবে।
কেবল খেলা খেলা উন্মাদনায় অচিরে-
অতলান্তিক প্রবাহ ঘিরে রয়ে যায় শারীরিক ক্ষত,
তারপর…!
তারপর মরে যেতে যেতে-
যদি কেউ তুলে নেয় আদরে,
নতুন এক জন্মদ্বারে।
যাপিত হয় নব যাপন।
নিষ্পাপ ভাষায় সহজ সারল্যে ভেসে ওঠে না সেই হীন মুখগুলো,
যাদের ধূসর মায়াহীনতা মায়াময় করে তোলে পালিত মাকে।
কোলে হেসে ওঠে সেই ফুটফুটে হাসি,
নাম রাখে অযাচিত।।
লেখক পরিচিতি : অঙ্কিতা মজুমদার
অঙ্কিতা মজুমদার, পূর্ব বর্ধমান জেলার চকদিঘী গ্রামে জন্ম। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে সাম্মানিক স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। সাম্মানিক স্নাতকের তৃতীয় বর্ষ থেকেই মূলত লেখালেখির প্রতি আকৃষ্ট হই। বর্তমানে একজন ছাত্রী, লেখিকা এবং সংগীত শিল্পী। কবিতা ছাড়াও গল্প, অনুগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ সাহিত্য লিখে থাকি। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পত্রপত্রিকায় এবং কিছু অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এছাড়া প্রতিলিপির নিরপেক্ষ লেখক হিসাবে নিযুক্ত আছি। সাম্প্রতিক আমার একটি কাব্যগ্রন্থ- "কবিতার মূর্চ্ছনা" এবং একটি গল্পগ্রন্থ- "যাপন" আত্মপ্রকাশ করেছে।