লেখক : মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি)
আজ পৃথিবীটা উত্তাল, সাগরের ভয়ঙ্কর টেউয়ের মত,
যোদ্ধ ছাড়াই বিশ্ববাসী ঘরে বন্দী,
কারনটা কি?
কারন একটাই
করোনা নামক মরণ ভাইরাসের জন্য।
তার সুবাদে,
বিশ্বে চলছে লকডাউন
বাংলাদেশ এর বিকল্প নহে।
এমতাবস্থায়,
বিশ্বের অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে সংকট,
মানুষের আয়ের উৎস হচ্ছে ব্যাহত।
বতর্মান প্রেক্ষাপটে,
মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বাহির হওয়াটা ও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
তারপর ও জীবনমান সচল রাখতে খাবারের যোগান দিতে
মাস্ক পরিধান করে ঘরের বাহিরে যেতেই হবে !
ঘরে যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য না থাকে,
তাহলে ত বাধ্যতামূলক ব্যাগ হাতে বাজারে যেতেই হবে !
চাল, ডাল, তেল, মাছ, শাক সবজি ক্রয় করার জন্য।
তাই কিছু খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করা জন্য বাজারের উদ্দ্যেশে রওনা হলাম,
রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো,
চারদিকের দৃশ্যপট দেখে।
এই তো বিশ দিন আগেকার কথা তখন ও পরিবেশটা ছিল জমজমাট মানুষের সমাগমের মাধ্যমে,
স্কুলের মাঠে ছাত্র ছাত্রীদের হিরিক ছিল,
দোকানপাটে ও ছিল মানুষের উপছে পড়া ভীড়।
অথচ,
আজকের পরিস্থিতির হালচাল হল:- হাট, মাঠ, স্কুল, কলেজ, যান চলাচল সবকিছুতেই চলছে লকডাউন।
বাজারের খুব কাছাকাছি আসতেই আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ,
চোখ মেলে দেখলাম কিছু হত দরিদ্র মানুষের ভীড়।
সরকার তাদের চাল দিবে তাই তারা চাল নিতে এসেছে।
আমিও তড়িঘড়ি করে বাজারের ভেতর চলে গেলাম,
কিছু কেনাকাটা করার জন্য।
তারপর,
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করলাম,
চাল, ডাল,তেল, মাছ, শাক সবজি,
আর স্যাভলন কিনলাম নিজ পরিবারের সুরক্ষার জন্য।
বাড়ি ফেরার পথে শুনতে পেলাম
কিছু হত দরিদ্র লোক সরকারি চাল না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে,
সত্যিই ভাবাত্মক বিষয় আমার নিজ গ্রামে আজকে যদি হয় এ অবস্থা,
তাহলে যারা শহরতলীর বস্তিতে বসবাস করে তাদের কি অবস্থা হচ্ছে ?
তারা তো একমুঠো ভাত খেতে অর্তনাদ করে,
তাহলে তারা মাস্ক কোথায় পাবে ?
তারা তো টাকার অভাবে খালি গায়ে জীবন অতিবাহিত করে,
তাহলে তারা সুরক্ষার জন্য স্যাভলন, হ্যান্ড গাল্পস কোথায় পাবে ?
পরিশেষে একটাই আহ্বান করি, যে যতটুকু সামর্থ্যবান, নিজ নিজ অবস্থান থেকে
সে ততটুকু সাহায্য করুন,
আপনার পাশের দুস্থ, হতদরিদ্র মানুষদের,
পাশে দাঁড়ান, মানুষ হয়ে মানুষের।
মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি, মানুষ পেতে পারে না ?
আমরা যারা মধ্যবৃত্ত হতে উচ্চ প্রয্যায়ের লোক তাদের ত কেনাকাটার ধুম লাগে
যারা গরীব দুস্থ, তারা কোথায় পাবে কেনাকাটা পাঁচকাহন।
লেখক পরিচিতি : মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি)
লেখক বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলায় পাকুন্দীয়া থানার হোসেন্দী গ্রামে ১৯৯২ জন্মগ্রহণ করেছেন। ২০১১ সালে এস.এস.সি ও ২০১৫ সালে কৃষিতে ডিল্পোমা করেছেন। বর্তমানে একটি ব্যবসায়িক কাজে জড়িত।