লেখক : দোয়েল পাল
চারটে দেওয়াল, সিমেন্টের ছাদ, টাইমকলের মিশেলে সংসার সেজে ওঠে,
গোলাপি ছিটের পর্দা, টবে লাগানো মাধবীলতায় নতজানু হয় শ্রান্ত বিকেল।
পৌরুষের গাম্ভীর্য নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি,
পাতের কোণায় পড়ে থাকে দু’টি এঁটো ভাত।
পেছনের ডোবা থেকে ভেসে আসে বুনো গন্ধ,
তেলচিটে বালিশে মাথা দিলেই আদিম হয়ে উঠি।
তোমার মন্থর গতি বুঝিয়ে দেয় তুমি রজঃস্বলা, ভ্রূক্ষেপ করি না।
তোমার ঘুমন্ত স্তন হাতের পীড়নে পাহাড় হতে চায়,
নীচে জেগে ওঠে রক্তস্নাত নদী।
ক্রমাগত মন্থনে সিক্ত হয় দুটো শরীর।
অনাগত সন্তানের অভিলাষ তোমাকে মা করে তোলে,
শিরায় শিরায় ছলকে ওঠে মাতৃত্ব।
উলকাঁটায় বুনতে থাকো অদেখা শিশুটির শীতবস্ত্র।
দুটো ভারী পা নিয়ে হেঁটে যাও সুদূর তেপান্তরে,
সেখানে নরম ঘাসের বুকে জেগে ওঠে কাঁটাতারের বিভেদ।
শিকড় উপড়ে ফেলে রিফিউজি হয় ছোট্ট তুলসীর চারা।
তবুও গর্ভের জাত হয় না, ভারতবর্ষ শুধু মা হয়।
লেখক পরিচিতি : দোয়েল পাল
আদ্যপান্ত মফস্বলের মেয়ে। বর্তমানে সদ্য পাস করা একজন আইনজীবী। পড়াশোনার সূত্রেই সুন্দরী তিলোত্তমার সাথে পরিচয়। আইনের বইয়ের ফাঁকে একটুকরো আকাশ খুঁজে পাওয়া কলমের আঁকিবুঁকিতে এবং অক্ষরের আলাপচারিতায়।