লেখক : তমালিকা ঘোষ
আজ কাল কেমন তাড়াহুড়ো করে সন্ধ্যে হয়ে যায়,
ছাদে কাপড় তুলতে গিয়ে রোজ কাঠঠোকরা পাখিটাকে দেখি,
নারকেল গাছের ফোকর দিয়ে মুখ বের করে থাকে।
বকগুলো সারি দিয়ে উড়ে যায় ওদের ঠিকানায়।
লাল মোরামের ধুলো উড়ে আসে রাস্তার মোড় থেকে,
আর চারিদিক থেকে শাঁখের আওয়াজ ।
তারপর হঠাৎ ঝুপ করে সন্ধ্যে নেমে আসে।
তুলসীতলায় সন্ধ্যে দিয়ে,
কুয়াশামোড়া সারা পাড়াটা যখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি,
মনে হয় কেউ বুঝি ডাকল, “অপরাজিতা!…”
পিছু ফিরে দেখি কেউ নেই।
রাত যত বাড়ে, নলেন গুড়ের গন্ধ মেশানো বাতাসটা
আরও গাঢ় হয়ে ঢুকে আসে দক্ষিনের জানলা দিয়ে।
গভীর রাতে সারা পাড়া যখন ঘুমিয়ে,
মনে হয় বহুদূরে কোনো শহরে কেউ
পড়ার টেবিলে ল্যাম্প শেডের আলোয় হয়ত
পুরোনো কোনো চিঠি পড়ছে। আর,
হাজার হাজার ক্রোশ দূর থেকে ডাকছে, “অপরাজিতা…”।
আমার ঘুম ভেঙে যায়,
“উফ্ফ!শীতকালের রাত বড্ডো বড়ো।”
লেখক পরিচিতি : তমালিকা ঘোষ
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও লেখালেখি বরাবরই সবথেকে বেশি টানে। প্রথম লেখা, ৮ বছর বয়সে। যেকোনো অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে লেখনীই তার শ্রেষ্ঠ অস্ত্র।