লেখক : দীপালী ভট্টাচার্য
নূপুর পায়ে
আসছে মেয়ে,
ছম্ ছমা ছম্
ঝম্ ঝমা ঝম্ ।
বাদলা আকাশ
বইছে বাতাস,
শনৈঃশনৈঃ
কে ডাকে ঐ।
খুললো দোর
আঁধার ঘোর,
‘কে দাঁড়িয়ে?
সেই সে মেয়ে।
কে মেয়ে তুই?
কোথায় ভুঁই?’
শ্যামলা মেয়ে
বলল চেয়ে,
‘এই চরাচর
আমার ঘর।
যে দেয় ঠাঁই
বসত সেথাই’।
‘এই তো মোর
ছোট্ট যে ঘর,
থাকবি কোথা’?
‘রাখবি যেথা’
বলল মেয়ে,
‘রাখিস যদি
মন হৃদি
থাকব সেথায়’।
‘কি কথা কয়
শ্যামা মেয়ে?
এই চরাচর
যাহার ঘর
নয়তো সে
সামান্য মেয়ে!
আয় মা আয়
মোর ঘরে আয়’।
চোখের পানি
অবাক মানি
পড়ল ঝরে
চরণ পরে
মেয়ে হেসে
বলল শেষে,
‘দিলি যদি
চরণ ধুয়ে
মন হৃদি
দে বিছায়ে!’
‘মায়ের চরণ,
পূজে এ মন।
সকাল সাঁঝে
হৃদয় মাঝে
তাঁহার ঠাঁই
কারে ডরাই?
মুক্ত এ মন
মুক্ত জীবন
তাক ধিনা ধিন্
প্রলয় নাচন’।
লেখক পরিচিতি : দীপালী ভট্টাচার্য
আমি একজন গৃহবধূ। লেখালেখির শখ আছে। আমি সাধারণত গল্প এবং প্রবন্ধ লিখি। তবে দু একটি কবিতাও লিখেছি বর্তমানে।