লেখক : শৌনক ঠাকুর
নৌকায় বন্যা-দুর্গতদের দেখতে দেখতে ডি.এম. শৈল্পিকা ম্যামের মনটা উদাস হয়ে গেল। চোখের পাতায় জল। স্মৃতির আঙিনায় ভেসে ওঠে নিতাই দাদুর সেই কথাগুলো। দাদু বাউল গান গাইতেন। সুরেলা কণ্ঠ, হাতে একতারা, গেরুয়া বসন, মাথায় পাগড়ি। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ভিক্ষা করতেন। প্রতি সন্ধ্যায় আমাদের বাড়ি আসতেন, রেডিওতে রোজ খবর শুনতেন। মাঝে মাঝে নাটক।
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলতেন , “গরীবরা চিরকাল গরীব থেকে গেল। ওদের দেখার কেউ নেই। বেচারা। অথচ দেখ, সবাই ওদের জন্য কত কিছু করতে চায় — কত আলোচনা, কত জল্পনা, পরিকল্পনা কত। কিন্তু আদতে?”
ছেলেবেলায় এই প্রশ্নের অর্থ কিছুই বুঝতাম না। এখন বুঝি ওই প্রশ্নচিহ্নের অর্থ কতটা গূঢ়, কতটা তাৎপর্যবহ।
লেখক পরিচিতি : শৌনক ঠাকুর
শৌনক ঠাকুর একজন সাহিত্যিক এবং সহশিক্ষক (নিশিন্দ্রা হাইস্কুল, ফারাক্কা মুর্শিদাবাদ)। জন্ম ১৫ই ডিসেম্বর, ১৯৮৫, শ্রীরামপুর, হুগলী। তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন। সাপ্তাহিক বর্তমান পত্রিকা যুগশঙ্খ কাগজ, কবিতা পাক্ষিক, টার্মিনাস সহ বিভিন্ন ধরনের পত্র পত্রিকায় গল্প প্রবন্ধ কবিতা রম্যরচনা প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েব জিন গল্পকুঠির গল্প স্বল্প সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় পেজে লেখা প্রকাশিত হয়। গ্রন্থ সমূহ ১. প্রানবন্ত, ২. কবিতাতলে, ৩. সংস্কৃত সাহিত্যের সহজপাঠ, ৪. অনুশীলনের সহজপাঠ, ৫. পাতায় পাতায় গল্প, ৬. মন মাঝির বৈঠা।