খিস্তির বিপাকে
লেখক : অভীক সিংহ
আচ্ছা ধরুন, আপনার বেজায় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে, দু’দিন ধরে পাপমুক্তি ঘটেনি। তখন তৃতীয় দিন সকালে আপনি কী করবেন? অবশ্যই আরও জোর দেবেন। তখন আপনার চোখ লাল হয়ে উঠবে, গলার এবং কপালের শিরা ফুলে উঠবে, আপনার মনের মধ্যে …
sinha.avik@gmail.com
আচ্ছা ধরুন, আপনার বেজায় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে, দু’দিন ধরে পাপমুক্তি ঘটেনি। তখন তৃতীয় দিন সকালে আপনি কী করবেন? অবশ্যই আরও জোর দেবেন। তখন আপনার চোখ লাল হয়ে উঠবে, গলার এবং কপালের শিরা ফুলে উঠবে, আপনার মনের মধ্যে …
কলেজের পরীক্ষা শেষ হওয়ার মুখে, গরমের ছুটি পড়বে আর দু’সপ্তাহ পরেই। আর আপামর মধ্যবিত্তের ছোট্ট জীবনে ছুটি মানেই তো ব্যাগপত্র গুছিয়ে ছোটা। গরমের ছুটিতে পাহাড়ে, শীতের ছুটিতে সমুদ্র কিংবা মরুভূমি। কথায় বলে, বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। …
অনাবিল মৃত্যুর অন্তরালে কবিতা,
কথা দিলাম তোমায়,
দেখা হবে একদিন জন্মমৃত্যুর সীমায়।
পশমিত যেথা জীবনজ্বালা, নিশ্চুপে ঘুমোয় দুঃখবেদন,
গোধূলির প্রহেলিকা সরায়ে নবচন্দ্রিমা তোলে অবগুণ্ঠন,
দিনক্লান্ত রবি অস্তপ্রায়, নিশীথকাল প্রতীক্ষায়,
যেথা আলো-আঁধারির সীমান্তে দিবারাত্রির গান,
ফুরায়ে আসে …
চাকরি পাওয়াটাকেই কঠিন বলে জানতাম। কিন্তু চাকরি দেওয়াও যে এক প্রকার কঠিন হতে পারে, সে ব্যাপারটা ঘুণাক্ষরেও কখনও মাথায় আসেনি। মানে হয়েছে কি, সেই সকাল থেকে শুরু হয়েছে ইণ্টারভিউ নেওয়ার পালা। পালে পালে চাকুরিপ্রার্থীরা আসছে, আর …
আজ রবিরার, বাঙালির জাতীয় জঙ্গল সাফাই অভিযান দিবস। এই দিনটায় বাঙালিরা বিগত এক-দু’মাসের সযত্নলালিত জঙ্গলগুলিকে সাফাই করতে বেরোয়। আসলে মাথায় বুদ্ধি খেলানোর জন্য এই জঙ্গলগুলির সাফ হওয়াটা অত্যন্ত আবশ্যক। তার থেকেও জরুরি, সংসারে অশান্তির কালে অকস্মাৎ …
বিকেলবেলাটা হলেই আমার ক্ষুদ্র সংস্করণটিকে বগলদাবা করে নিয়ে বেরিয়ে যেতে হয় পাশের পার্কটিতে। আমার অর্ধাঙ্গিনীর মতে বাইরে না বেরোলে নাকি নবাবপুত্তুরের পেটের ভাত হজম হয় না। তো একদিন তাঁকে লুকিয়ে আমার ক্ষুদ্র সংস্করণটির দুপুরবেলার খাওয়ার পরিমাণটা …
রবিবারের সকালটায় হাতে একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে বাজারে এসে দরাদরি না করলে, বেগুনের পেটটা টিপেটাপে না দেখলে, নারকোলটা ঝাঁকিয়ে ভিতরে জলের আওয়াজ না পেলে, কাঁচালঙ্কার কোণা ভেঙে একটু চিবিয়ে উহ-আহ না করলে প্রাণটা কেমন যেন আইঢাই করতে …
আজ সকাল থেকে আকাশটা একটু মেঘলা, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছে, রোদটাও তেমন ওঠেনি। এই রকম পরিবেশে কি আর কেবিনে মন বসে? টুক করে চেয়ার থেকে উঠে কেবিনের দরজাটা খুলে সিঁড়ি দিয়ে নেমে সোজা লাউঞ্জের বাইরে সোফাতে …
“দুত্তোর, সক্কাল সক্কাল জ্বালিয়ে দিল একেবারে।” বলে বিরক্তির সাথে সান্যালদা মোবাইল ফোনটা টেবিলে খবরের কাগজের উপরে একরকম ছুঁড়েই ফেলল।
“কী হয়েছে সান্যালদা?” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “ভর সক্কালবেলা এত মাথা গরম কেন?”
সান্যালদা কপালের দু’পাশে রগদুটো বুড়ো …
“হে হে হে, জবরদস্ত দিয়েছে গুরু,” আমি ফোনের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলাম।
সান্যালদা চায়ের কাপে প্রথম চুমুকটা দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করল, “কী কেস, অভীক?”
“আরে তুমি নিজেই দেখো গুরু,” বলে হাসতে হাসতে ফোনটা সান্যালদার দিকে এগিয়ে …
“হ্যালো, হ্যালো… আরে বলছি তো পরশু দিয়ে দেব, এনইএফটিটা ফেল করেছে… আপনাদেরই তো সার্ভার ডাউন, সেটা কি আমি গিয়ে তুলে দিয়ে আসব?… আগের সতেরোটা ইনস্টলমেণ্ট তো সময়মতই পেয়ে গিয়েছিলেন, কোন গাফিলতি হয়েছিল কি?… আরে বাবা, বলছি …
ছোট হোক, কি বড় – পরীক্ষার সময়টা আসলেই দেখেছি মাথাটা হয়ে ওঠে হরেক রকমের বিদকুটে আইডিয়া আর তিতকুটে প্রার্থনার কারখানা। ভয়, হতাশা, উত্তেজনা, আশঙ্কা মিশে সে এক আজব মানসিক জগাখিচুড়ি। বয়েসের সাথে উপকরণগুলোর অনুপাতটাই শুধু পাল্টায়। …