লেখক : আলী ইব্রাহিম
শেষ পর্যন্ত এই জন্ম-মৃত্যু, এই মাতৃত্বকে দোষ দেয়নি সে।
অথচ সেসব মনে করে আজো খুব হাসি পায় তার।
সে কী নারী? সে কী সমকামী? নাকি নারীবাদী?
কেন এসব আজ রাষ্ট্রকে এভাবে ভাবায়? কেন?
পুরুষের মনস্তাত্ত্বিক পরাভবে মুখের ওপর না বলতে পেরে
সে অবশেষে সত্যিকারের মানুষ হয়েছে। দূরদেশে।
কারো বুকে অনায়াসে উপুড় হতে না পারা বুঝি অন্যায়!
অথচ সংসারী কবির আগুনে পুড়ে যাওয়া কবিত্বের চেয়ে
তার দৈবশক্তিইে পরম পয়মন্ত বলে মনে করেছিল একদিন।
ঘরসঙ্গী থাকার পরও কোনো এক সাহিত্য সম্পাদকের সাথে
শুয়ে কোনো এক নারী কবির প্রতিভাশুচি- শিশ্নপূজা- করার
সংস্কৃতিটা বোধ হয় এই পৃথিবীতে অনেক পুরোনো ও খুব সম্মানের!
সেই মহান যাদুকরদের সেসব আর মনে করে দিতে চাই না প্রীতি!
তুমি বরং সেই রাতের প্যারিসে ভালো থেকো। ভালো থেকো।
লেখক পরিচিতি : আলী ইব্রাহিম
বগুড়া, বাংলাদেশ।