পেটুক

লেখক : বিপ্লব চন্দ্র দত্ত

টাক মাথার পেটুক গগন
বেঢপ তাঁর ভুঁড়ি,
থালার খাবার সাবাড় করতে
লাগে এক তুড়ি।
রোদের আলোয় ঝলমলায়
তেল চুকচুকে টাক,
ভুঁড়ি দেখে মনে হবে
মধু ভরা চাক।
রুচি মুখে খেতে পারে
থালা ভরা ভাত,
আহার সেরে ঢেঁকুর তোলে
পেটে বুলায় হাত।
ভরা পেটেও খেতে পারে
যদি লাগে বাজি,
ডাল, শাক, কাঁচা-লংকা
নুন কিংবা ভাজি।
বেশি খেলে এপাশ ওপাশ
রাতভর জাগা,
নেমতন্ন খেয়ে কাটে
কোমরের তাগা।
চিৎ শোয়ে দিবানিদ্রা
সটান করে ঠ্যাং,
দেখে তখন মনে হবে
মরা কুনোব্যাঙ।
আড়ত আছে দু’খানা তার
সুখ আনন্দ কি যে!
একটায় ভাই বিপিন বসে
অন্যটাতে নিজে।
কোলবালিশে হেলান দিয়ে
গড়গড়িতে টান,
গদির কোণে পিকদানি
বাটা ভরা পান।
চুন লাগিয়ে তর্জনীতে
খায় সেটা চুষি,
গরু যেমন জাবর কাটে
খেয়ে ঘাস-ভুষি।
ব্যামো হলো হঠাৎ করে
বৈদ্য দিল কারণ,
মুখরোচক অতিভোজন
এবার হতে বারণ।
শরীরখানা দুর্বল তার
চলে না আর চরণ,
অবশেষে বুঝল গগন
অতিভোজেই মরণ।

লেখক পরিচিতি : বিপ্লব চন্দ্র দত্ত
বাংলাদেশ ব্যাংক ময়মনসিংহ অফিসে যুগ্মপরিচালক হিসেবে কর্মরত। জন্ম-বাংলা 1374 সনের 20 কার্ত্তিক নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার ধারাম গ্রামে। শিক্ষাগত যোগ্যতা-এমবিএ(ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং)।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

রুচিশীল ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য ক্লিক করুন এখানে

sobbanglay forum