লেখক: ঋক ঋকমন্ত্র
এক
একের-পর-এক যোদ্ধা কামানের গোলায় ছিন্নভিন্ন হচ্ছে। তবু শেষ নবাব ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন, ‘স্বাধীনতা…!’
দুই
হাজার জনতা বুকে যন্ত্রণা নিয়ে দেখছে। ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে বিদ্রোহী এক সেনাকর্মীকে। সে কিন্তু ভীত নয়। দড়িতে টান পড়তেই তার গর্জন, ‘স্বাধীনতা…!’
তিন
সামনে ফাঁসির দড়ি। গলায় পরার আগে বিপ্লবী যুবক তার দুই সহযোদ্ধার সাথে আলিঙ্গনবদ্ধ হয়ে চিৎকার করলেন, ‘স্বাধীনতা…!’
চার
মধ্যরাতে দেশ স্বাধীনতা পেলো। জাতির জনক খুশি নন, তবু দলের এক প্রবীণ নেতার সাথে করমর্দন করে শুভেচ্ছা জানালেন স্বাধীন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, ‘শুভেচ্ছা… স্বাধীনতা এসেছে…’
পাঁচ
দেশজুড়ে ইমার্জেন্সি উঠে যাচ্ছে। তবে এখনও বিরোধীরা বন্দী। তবু সঙ্গীর হাত ধরে কারাগারের কুঠুরিতে বললেন জনগণের নেতা, ‘এবার জনগণের স্বাধীনতা আসবে…!’
ছয়
কৃষির পরিবর্তে শিল্পের নীতি নিয়েছে সরকার। অশান্ত গ্রাম। অশান্ত গঞ্জ। ফুঁসছে বাংলা। অত্যাচারিত যুবক ঘাসফুল-মার্কা ঝান্ডা বাগিয়ে চিৎকার করলো, ‘বামেদের থেকে স্বাধীনতা…!’
সাত
পরিবর্তনের অধ্যায়। করোনার দুর্যোগ। হাসপাতালে বেড না পেয়ে ছেলের মৃত্যুতে গর্জে উঠলো মা, ‘আর না! এবার স্বাধীনতা…!’
ছবি: পাভেল পাল
লেখকের কথা: ঋক ঋকমন্ত্র
ঋক ঋকমন্ত্র একজন চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ লেখক। চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত গল্প-কবিতা ইত্যাদি লেখালিখি করেন।