কবি: রোনক ব্যানার্জী
যেদিন থেকে স্বপ্নের নাম জোনাকি, কর্তব্যের নাম দেশপ্রেম
২৩শে জানুয়ারি জন্ম তার, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে চেলেছিলো সে আসল গেম;
হোক না সেটা স্কটিশ চার্চ, হোক না সিভিল সার্ভিস
ব্রিটিশ সরকারের বিরোধিতায় নিয়োগপত্র করেছেন তিনি ডিসমিস।
১৯১৯র রাওলাট আইন কিংবা অমৃতসর হত্যালীলা,
জাতীয়তাবাদীদের সন্তুষ্ট রাখতে ‘স্বরাজ’ এ লেখেন উগ্ৰ ভাবের আগ্নেয়শিলা;
গান্ধি বিরোধী ভোটে দাঁড়িয়ে দু’বার কংগ্রেসের সভাপতি
গান্ধি অনুচরের অসহযোগে ইস্তফা দেন কার্যাধিপতি।
বিশ বছরের জীবনপ্রবাহে ১১ বার কারাবাস,
আফগানিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মান ছোটেন নেতাজি সুভাষ;
হিটলারের অসহযোগিতায় ছদ্মবেশে সাবমেরিনে সোজা জাপান,
সুভাষচন্দ্রের বীরত্বে একনায়কতন্ত্রীরাও অবনত হয়ে মৈত্রীর দিকে হাত বাড়ান।
গদর ষড়যন্ত্রের সংগঠক রাসবিহারী বসুর আই এন এ র দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন,
নারীবাহিনী ও অক্ষশক্তির এই দলকে ১১টা দেশ স্বীকৃতি দেন;
সালটা যখন ১৯৩৪, বার্মার জেলে বন্দি সুভাষ
চিকিৎসার অবসরে বসে আত্মজীবনী লিখতে চরম ফোকাস।
পান্ডুলিপি টাইপ সূত্রে পরিচিত হয় এমিলি শেংকেল,
প্রেম গড়িয়ে পরবর্তীতে বেজে ওঠে পরিণয়ের হুইসেল;
মতবিরোধ থাক না যতই, হোক না সেটা ফৈজাবাদের গুমনামীবাবা কিংবা সাইবেরিয়ায় মৃত্যুবরণ,
ব্রিটিশ শিকল ভেঙ্গেচুরে উঠে চক্ষু মেলে স্বাধীন ভারতের মুক্ত নয়ন।
ব্রিটিশ গ্লানি মুছে ফেলতে দেশসেবায় আত্মোৎসর্গ করেছিলো এক মেধাবী বালক,
ভারতবর্ষের ইতিহাস জুড়ে স্বর্ণাক্ষরে লেখা নাম নেতাজি দেশনায়ক;
নিশির আঁধার সরিয়ে শিশুর খেলাচ্ছলে ঘরময় প্রথম ঊষার সুবাস,
বন্দিদশা কাটিয়ে উঠতে আজও যিনি সমগ্ৰ ভারতবাসীর গর্ব ও ভগবান, তারই নাম নেতাজি সুভাষ।
ছবি: কুন্তল
লেখকের কথা: রোনক ব্যানার্জী
বর্তমানে গর্ভমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সেরামিক টেকনোলজি কলেজের ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখির প্রতি গভীর আগ্ৰহ রয়েছে। বেশ কয়েকটি লিটিল ম্যাগাজিনে এবং ওয়েবজিনে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের একটি এক ফার্মার বই রয়েছে কচিপাতা প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত।
ভীষন ভালোলাগল