লেখক : কার্তিক রানা
প্রথম দেখা বিভূতিভূষন এর পথের পাঁচালী..
সেই বৃষ্টি ভেজা, রেলগাড়ি, বুড়িপিসির গানের ঝুলি!
মনে পড়ে সেই অপরাজিত মনে পড়ে সেই অপূর্ব..
বাবা হারানো ছেলে পড়তে যাওয়ার টান, মায়ের সাথে তর্ক।
তারপর এলে তুমি এক মধুর চিত্তজয়ী হাসি আর অভিনয়..
অপুর সংসার, হাজার দরিদ্রতায় তুমি সুখকে করলে জয়।
স্ত্রী কে হারিয়েও কাজলকে কাঁধে নিয়ে এগিয়ে গেলে!
সূর্য কালো মেঘে ঢাকা আকাশেও যেমনি অস্তাচলে।
মনে পড়ে অরণ্যের দিনরাত্রি, এক অনবদ্য প্রেমের কাহিনী..
এত প্রেম আমি আধুনিক চলচিত্রতেও কখনো দেখিনি!
চারুলতা,বসন্তবিলাপে ভালোবাসা আঁকলে মনের দেয়ালে..
জয়বাবা ফেলুনাথ, ফেলুর তীক্ষ্ণবুদ্ধি মনে রাখার সর্বকালে।
কবি বলে “এখনও তোমার দিকে তাকালে..
মনে হয় এই বুঝি নবারুন জাগালে” ।
উটে চড়ে মরুভূমি পার সোনারকেল্লা, তুমি অনন্য..
দেখিয়ে বুড়ো আঙুল, বয়স সেতো খুবি নগণ্য।
আজও থেমে নেই.. বলে চলো “মানুষের শরীর বৃদ্ধ হয়..
কিন্তু মন সেতো চির নবীন, চির সবুজ রয়”।
বেলা শেষে তোমার হৃদয় অভিমানী..
বার বার তোমার প্রেমেও পড়েছি আমি।
লেখক পরিচিতি : কার্তিক রানা
জন্ম 2000 সালের 13 ই আগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার আমড়াগেড়িয়া গ্রামে। মা সরমা রানা, বাবা বিশ্বনাথ রানা। আমি পেশায় মেল নার্স।