লেখক : আলী ইব্রাহিম
প্রজাপতির দহনে রক্ত ছুঁয়ে দিয়েছি। বীজের কাহিনি হয়েছি।
আর কোনো ভূমিকা নেই। উদ্ভিদের অন্তরে সুদীর্ঘ প্রণয়।
অথচ ঘাসফুল পরাজয়ের টিপ পরে আগুনের ইতিহাস হয়।
মেঘের কান্না থামে না। আঁধারে আমি টিকটিকির উল্লাস দেখি।
কাম ও কামনায়, প্রেম ও জোছনায় এখন জলবাড়ি পরিপূর্ণ।
অথচ মেঘের কপাল ছুঁয়ে কতবার তোমার সামনে দাঁড়িয়েছি!
পতঙ্গের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তোমার ছায়া ধরে ধরে কত পথ চলেছি!
কতবার হৃদয় নেচেছে তোমার জলছবি এঁকে এঁকে! দেখে দেখে!
অথচ সারমর্ম হয়ে তুমি কেবলি তামাশা ছড়াও। নিরাশ্রয়ে।
ফলে প্রেম অসহায় হয়ে ওঠে। পাহাড়ে প্রত্নবিদ্যা অমর হয়।
এই শহরে ঘুরে বেড়াবার জায়গা ক্রমশ সংকুচিত। অবদমিত।
কেবল মৃত্যু প্রেমহীন; ঘুমের মতো স্বাধীনতা চায়। বিরহ চায়।
তার থেকে অধিক অধিক গভীর গভীরে শুনশান সন্ন্যাসী তুমি।
সুদর্শন আমের ভেতর গোবরেপোকা ইতিহাসে বেদনা ছড়ায়।
শব্দ নি:শেষ হলে ধেয়ে আসে পরাবাস্তব। প্রজাপতি শব্দহীন।
আমার বাড়ি থেকে মৃত্যুর দাঁত, নাক, চোখ, মুখ দেখা যায়।
মৃত্যু তামাশা নয়, বরং তাৎপর্যময়। আমি প্রণয়ের মর্মার্থ বুঝিনি।
প্রেম ও কামনার ইতিবৃত্তে টিকটিকি ধন্য হয়। মৃত্যু অবধারিত।
অথচ তোমার কাছ থেকে দু:খের অজুহাত ছাড়া কিছুই তো পাইনি।
লেখক পরিচিতি : আলী ইব্রাহিম
সহকারী সম্পাদক, দৈনিক করতোয়া, চকযাদু রোড, বগুড়া, বাংলাদেশ।