লেখক : আলী ইব্রাহিম
অন্ধকার তাড়িয়ে ফেরে সমস্ত বিকেল।
গোধূলির বেদনায় স্বপ্ন জাগে এই চরাচরে।
বিষাদের ধ্বনি আঁকে ওই প্রিয়মুখ।
পৃথিবী চেয়ে থাকে। এই সর্ষেখেত তোমাকে দেখে।
সারাদিন তোমাকে দেখে। সারারাত তোমাকে দেখে।
কলঙ্কের কালি মুছে সন্ন্যাসী সড়ক উঠে দাঁড়ায় নির্ভীক দ্যোতনায়।
ইঁদুরের আসা যাওয়া শেষ হলে এই জমিন মেধাবী হয়ে ওঠে।
শহরে কারফিউ। ভেতরে ভেতরে ভীষণ ব্যস্ত এই কারাগার।
সশব্দে দাম্ভিক হয়ে ওঠে।
আর স্বপ্ন শুরু হলে আমি আঁকি সেই অরুণ প্রিয়মুখ।
সেই দার্শনিক চোখ।
দুর্ভোগ পরাজয় হলে আমি বেঁচে উঠি দারুণভাবে।
ফিরে আসে দোয়েল শালিকের দিন।
সেই পাঞ্জাবিতে আজো রক্তের দাগ লেগে আছে।
সেই চশমায় আজো বিষণ্ণের স্তুপ জমে আছে।
আর ভালোবাসা অমর হলে ওই মুখ আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
আনন্দ আবরণে সেই চেহারা আরো সুন্দর হয়ে ওঠে।
আর এই বাড়ি সবার কাছে বোধের গান হয়ে ওঠে।
আর এই সড়ক বেঁচে থাকার উপলক্ষ হয়ে ওঠে।
সব ব্যথা সাক্ষী করে বাংলায় আবার বসন্তের পদধ্বনি।
ফাগুনে আগুন দেখি ওই প্রিয়মুখে।
সারারাত দেখি। সারাদিন দেখি।
দেয়ালে রাখি ওই প্রিয়মুখ। শিয়রে দেখি ওই প্রিয়মুখ।
জানালার ফাঁক দিয়ে দূর আকাশে দেখি ওই প্রিয়মুখ।
মেঘের মায়ায় ওই হাসি অবিনশ্বর হয়ে ফোটে।
আর শুভ্রতার সাতরঙ দিয়ে আমি ধরে রাখি তোমাকে।
সেই ছবি অনেক প্রিয়।
ওই মুখ বিশ্বনন্দিত। ময়দানে ময়দানে সুর হয়ে বাজে।
নদীর জলে সমুদ্রের ঢেউয়ে ওই ছবি আমাদের স্বাধীনতার স্মারক।
আর উত্তরাধিকার উত্থানে আমাদের সবকিছু মহান হয়ে ওঠে।
আর ওই মুখ দেখে দেখে আমাদের ছেলেমেয়েরা সৈনিক হয়ে ওঠে।
আর চোখে মুখে হাসি মেখে হৃদয়ের রক্ত দিয়ে আমি আঁকি তোমাকে।
লেখক পরিচিতি : আলী ইব্রাহিম
সহকারী সম্পাদক, দৈনিক করতোয়া, চকযাদু রোড, বগুড়া, বাংলাদেশ।
এক কথায় অসাধারণ। শুভকামনা রইলো।
ধন্য হলাম। ধন্যবাদ অজস্র এবং শুভ কামনা আপনার জন্যেও…