লেখক : আলী ইব্রাহিম
(শিক্ষক ও কবি মাকছুদা বেগম মুক্তা স্মরণে)
সেই কবিমেলায় প্রথমবার তোমাকে দেখেছিলাম।
তুমি এসেছিলে মুখভর্তি কবিতার হাসি নিয়ে।
শাড়ির প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে ছিল মুক্তার মুগ্ধতা।
প্রথম দেখাতেই তোমাকে চিনতে পেরেছিলাম।
এরপর কতবার কতবার ভেবেছি কবি। তোমাকে।
কতবার আমাকে আশ্চর্য করেছে তোমার কবিতা।
এই উদ্যানে এখনো সেই হাসির মুক্তা লেগে আছে।
হে কবি! আকাশে যে পাখিটি উড়ে গেল এইমাত্র
তাকে সেসব বলে আর কী হবে? বলো? কী হবে!
এভাবেই তো দূরত্ব তৈরি হয়। স্বপ্ন নিষ্প্রভ হয়।
প্রকৃতি কী আশ্চর্যরকম নজরবন্দি করে রাখে আমাদের!
তোমার সেই পদ্যে আজো এই ক্যাম্পাস কেঁপে ওঠে।
জীবনের আকস্মিক শব্দপাতে শিশুদের মন কেঁদে ওঠে।
তোমার বসার সেই চেয়ারটি ডাকে। আহা শূন্যতা!
এই সেই ড্রয়ারের চাবি। এই সেই টেবিলের মমতা।
সেই কৃষ্ণফলকের চাহনিতে কী যে নিঃসঙ্গতা আহা!
আবেগী আভায় আজ মাথার ওপর এত মেঘ কেন!
এই সেই কৃষ্ণচূড়ার তলে মানুষের এত ভিড় কেন!
বোধের বিকিরণে এই যাতায়াত আরো আরো প্রশস্ত।
লেখক পরিচিতি : আলী ইব্রাহিম
সহকারী সম্পাদক, দৈনিক করতোয়া, চকযাদু রোড, বগুড়া, বাংলাদেশ।