লেখক : বিপ্লব চন্দ্র দত্ত
আগন্তুক বুড়ো বলে-
‘এই যে খোকা শোনো,
দুপুরবেলা আশেপাশে
মানুষ নেই যে কোনো।
জগদীশের বাড়িটা
কোথা গেলে পাই?
পথটাকে দেখিয়ে দিলে
আমি চলে যাই!
জগদীশকে চেন কি!
বলছি তবে শোনো-
কাশীরাম পোদ্দার,
তাকে তো জানো?
বারহাট্টার কাশীরাম,
তার মামার শালা,
সে হল রমণীমোহন,
কানে একটু কালা।
তার যে পিশির দেবর,
পিশের কাকাতো ভাই,
সে হল জগদীশের
বড় মেয়ের জামাই!
লক্ষ্ণী খোকা ঠিকানাটা
জলদি করে বলো,
দেখিয়ে দিতে বাড়িখানা
আমার সঙ্গে চলো।’
খোকা বলে-‘মাঠের ধারে
ইস্কুলটার পাশে,
তালপুকুরের স্বচ্ছ জলে
হাঁসগুলো সব ভাসে!
সেখান থেকে চারটে পথ
চারদিক গেছে বেঁকে,
বাঁ দিকের পথটি ধরে
হাঁটবে সেখান থেকে।
আর কিছুটা এগিয়ে গিয়ে
পাবে কালিবাড়ি,
তারই পাশে পালপাড়া
দেখবে মাটির হাঁড়ি।
খালের ধারের পথটি ধরে
শেষ বাড়িটায় গিয়ে,
বউ মরেছে শরৎ পালের
আজ দ্বিতীয় বিয়ে!
তার সাথে দেখা হলে
চিনে নিও বাড়িটা,
সবজান্তা বলে দিবে
টিপে তোমার নাড়িটা!’
লেখক পরিচিতি : বিপ্লব চন্দ্র দত্ত
বাংলাদেশ ব্যাংক ময়মনসিংহ অফিসে যুগ্মপরিচালক হিসেবে কর্মরত। জন্ম-বাংলা 1374 সনের 20 কার্ত্তিক নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার ধারাম গ্রামে। শিক্ষাগত যোগ্যতা-এমবিএ(ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং)।