মোহনার সীমা

লেখক : মিত্রা হাজরা

ও বউ ! দেখ্ বাইরে—ঋণ শোধ করছে বর্ষার মেঘ। অমল হেঁকে বলে মনিকাকে।
কিসের ঋণ?
ঐ যে গরমে শুকিয়ে ফেলে নদী নালা পুকুর।
উড়ে যাওয়া আঁচলের টানে, নতুন বৃষ্টি মানকচুর চাদরে। এসে গেল বনফুলের রেণু যতখুশি ওড়াবার ছাড়পত্র। মনিকা বলে—-
তুমি আজ কাজের যাবে না?বরষার মেঘ দেখে কাটাবে নাকি! রাখ তোর কাজ,কাজ করে কে কত বড়লোক?বাহ্—!
বললে ভালো—– বৈরাগী দৃষ্টি নিয়ে বসে থাকো, আমার অনেক কাজ।
কী অত কাজ তোর! শোন—শোন রে!

মেঘ ঝুপ ঝুপ
কাঁদে টুপটুপ
দোলে ঘাসফুল
হৃদি চঞ্চল।
গুঁড়ি বৃষ্টি
আহা মিষ্টি
খুশি আশনাই
দোলে অঞ্চল।
হামাগুড়ি মাতে নুড়ি
দোলে ন্যাংটা
খোকা কোলে
দীঘি ভরপুর
টইটম্বুর
অলি গুণগুণ
সুর তোলে।
নন্দিনী
কিঙ্কিণী
রিনি ঝিনি
মৃদু চমকায়
শিখীপাখা
কানু একা
বাজে বাঁশি
বনে সুর ছায়।

চোখে তৃষ্ণা , পল্লবে লজ্জারুণ আভা—-বড় কাছে ঝুঁকে এসেছে যে! চোখে হাসি,অমলের চোখ দুটো বড় মায়াময় একেই কী বলে
বৃষ্টি প্রণয়! আহ্—দেখোতো! রাজ্যের কাজ পড়ে আছে!!
অক্ষরফুলে শব্দের ঝংকার বাজছে রুনু ঝুনু রুনু ঝুনু। হৃদপিন্ডের খুব কাছে কী যেন আছে! গুঞ্জরিত প্রেম অলি —ভেঙে যাচ্ছে মোহনার সীমা।
আকাশের মেঘ ও বুঝি অপলকে দেখছে দুজন কে!


লেখক পরিচিতি : মিত্রা হাজরা
আমি মিত্রা হাজরা, ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় থাকি। ডিএ ভি পাব্লিক স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা, আকাশবাণী চাইবাসা কেন্দ্রের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন উপস্থাপিকা। অবকাশে গল্পের বই,কবিতা পড়ে সময় কাটাই। টুকটাক লেখালিখি করি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

রুচিশীল ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য ক্লিক করুন এখানে

sobbanglay forum