লেখক : দীপালী ভট্টাচার্য
আলমারি ভর্তি কত শাড়ি তাঁর! প্রতিটি শাড়ি যেন আকাঙ্খার এক একটা রূপ; পুজোতে, ষষ্ঠীতে, বৈশাখে, নমস্কারীতে! ছেলে মেয়ে সব্বাইকে বলেন রমাদেবী, কোথায় যাই, কেন দিস এত শাড়ি! তবু ছেলে মেয়েরা দেয় আর নতুন শাড়ি পেয়ে বালিকার মতো আহ্লাদী হয়ে ওঠেন তিনি।
একটা সময়, বিয়ে বাড়িতে গেলে প্রতিবেশিনীর শাড়ি ধার করে পরতেন আর আজ নিজেরই কত! কিন্তু বয়সের ভারে পাটভাঙা শাড়িগুলো গায়ে ওঠাতে বড় কষ্ট হয়! ছেলেরা রাগারাগি করে ন্যাতানো, পুরানো শাড়ি পরলে, কিন্তু ওতেই শান্তি!
তারপর মহামারী যখন ঝাপটা মারল ঘরে ঘরে, রেহাই পেলেন না তিনিও! হাসপাতাল থেকেই প্যাকেটবন্দী হয়ে সোজা চলে গেলেন লাশের স্তুপে! আনকোরা শাড়িগুলো পড়ে থাকল দেরাজে।
লেখক পরিচিতি : দীপালী ভট্টাচার্য
আমি একজন গৃহবধূ। লেখালেখির শখ আছে। আমি সাধারণত গল্প এবং প্রবন্ধ লিখি। তবে দু একটি কবিতাও লিখেছি বর্তমানে।