আপনি কি গরম অনুভব করছেন?

লেখক : সায়নাভ চন্দ্র

(ভারতের জলবায়ু ইতিহাস ও রাজনীতি নিয়ে একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ)

আপনি কি গরমের তাপে বাইরে বের হলে অতিরিক্ত গরম অনুভব করেন? অথবা হয়তো আপনি লক্ষ্য করেছেন বৃষ্টিপাতের অনিশ্চিত প্রবণতা, যেখানে কখনও কখনও ভারী বর্ষা, বৃষ্টি হঠাৎ করে আসে, আবার পরবর্তী বছরে খরা ক্রমশ আসতে থাকে? যদি আপনি ভারতবর্ষে থাকেন, তবে জলবায়ুর পরিবর্তন আপনার পরিচিত। ভারতের বিশাল এবং বৈচিত্র্যময় ভূমিতে জলবায়ু সমস্যাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ — অনিশ্চিত মৌসুমি বৃষ্টি, তীব্র তাপদাহ, এবং ভয়াবহ বন্যা। কিন্তু আমরা এখানে কীভাবে পৌঁছেছি? ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে? চলুন, আমরা ভারতের জলবায়ু ইতিহাসের গভীরে ঢুকে পড়ি, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, আন্তর্জাতিক চুক্তি, এবং আমাদের দেশের ভবিষ্যত রক্ষা করার জন্য কী করতে হবে তা জানার জন্য।

একটি পরিবর্তিত জলবায়ু: প্রাচীন যুগ

প্রাচীন কাব্যগ্রন্থ থেকে শুরু করে উপনিবেশিক যুগ পর্যন্ত, ভারতের জলবায়ু ইতিহাস ছিল অভিযোজন এবং বেঁচে থাকার গল্প। প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থে ঋতু পরিবর্তন, মৌসুমী চক্র এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের যেমন বন্যা ও খরা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সে সময়ের মানুষ তাদের পরিবেশ সম্পর্কে গভীর ধারণা ছিল এবং তাদের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে শিখেছিল।

ভারতের মৌসুমী বৃষ্টি, যা দেশের কৃষি, অর্থনীতি এবং জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করেছে, দীর্ঘকাল ধরে দেশের জলবায়ু ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। মৌসুমী বৃষ্টি দেশটির অধিকাংশ বৃষ্টিপাত সরবরাহ করে, যা কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি ধ্বংসাত্মক বন্যাও নিয়ে আসতে পারে। শতাব্দী ধরে, ভারতের কৃষকরা এই বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভরশীল ছিল, তবে তাপমাত্রা বাড়ানো এবং অনিশ্চিত বৃষ্টিপাতের কারণে এই নির্ভরতা এখন দ্বিমুখী সওয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপনিবেশকালীন প্রভাব

ব্রিটিশ উপনিবেশকালীন শাসনের সময়, ভারতের জলবায়ু সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণগুলোর একটি আনুষ্ঠানিক রূপ নেওয়া শুরু হয়। ১৮৭৫ সালে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে সংগঠিত জলবায়ু পর্যবেক্ষণের সূচনা হয়। তবে ব্রিটিশরা এই তথ্যগুলি প্রধানত তাদের উপনিবেশিক স্বার্থে ব্যবহৃত করলেও, তা ভবিষ্যতে দেশের জলবায়ু গবেষণার জন্য একটি ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

এই সময়ে, ভারতের জলবায়ু ছিল দুর্ভোগে পূর্ণ। ১৮৭৬-১৮৭৮ সালের দুর্ভিক্ষ এবং ১৯৪৩ সালের বৃহৎ বাংলা দুর্ভিক্ষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানুষের অবহেলার কারণে আরও তীব্র হয়ে ওঠে। তখনো কোনও পর্যাপ্ত অবকাঠামো বা জলবায়ু সম্পর্কিত নীতি ছিল না, যা extreme আবহাওয়ার প্রভাব থেকে জনগণকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

স্বাধীনতার পর: নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

ভারত স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৪৭ সালে, জলবায়ু পরিবর্তন এমন একটি বৈশ্বিক বিষয় ছিল না। তবে খুব তাড়াতাড়ি ভারত বুঝতে পেরেছিল যে জলবায়ুর অস্থিতিশীলতা দেশের জন্য বিশাল পরিণতি বয়ে আনতে পারে। ১৯৬০-এর দশকের গ্রিন রেভোলিউশন কৃষির উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল ফসল ব্যবহারের চেষ্টা করলেও এটি প্রাকৃতিক পরিস্থিতির প্রতি সঙ্কটপ্রবণ ছিল। যদি মৌসুমী বৃষ্টি ব্যর্থ হতো, তবে দেশের জন্য খাদ্যসংকট দেখা দিতো।

১৯৭০-এর দশকে এটি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে জলবায়ু শুধুমাত্র একটি দেশীয় সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। ১৯৭২ সালের স্টকহোম কনফারেন্স ছিল পরিবেশগত সমস্যাগুলির সমাধান নিয়ে প্রথম বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলির একটি। এরপর ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বৈশ্বিক আলোচনা শুরুর মাধ্যমে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের অধিকার সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করেছিল।

গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক ভূমিকা: ভারত বিশ্ব মঞ্চে

ভারতের জলবায়ু যাত্রা ১৯৯০-এর দশকে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে, যখন জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বৈশ্বিক আলোচনা বাড়ে। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তি (UNFCCC) একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। উন্নত দেশগুলি যা সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণ, ভারত এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলি চাপ দেয় যে উন্নত দেশগুলির উচিত সবচেয়ে বড় পরিমাণ নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা।

১৯৯৭ সালে কিয়োটো প্রটোকলে ভারতকে নির্গমন কমানোর জন্য বাধ্য করা হয়নি, তবে এটি উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বার্থ প্রচারের জন্য একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে ভারত তার কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের তুলনায় ৩৩-৩৫% কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়, সেই সাথে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। ভারতের অবস্থানটি ছিল স্পষ্ট: দেশটি অর্থনৈতিকভাবে বেড়ে উঠতে চায়, কিন্তু পরিবেশগত বিপর্যয়ের শিকার হওয়া ছাড়াই।

আঞ্চলিক প্রভাব: ভারতের রাজ্যে জলবায়ু পরিবর্তন

ভারতের বৈচিত্র্যময় ভূগোলের কারণে, তার বিভিন্ন অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনকে ভিন্নভাবে অনুভব করছে। কিছু অঞ্চলে এর পরিণতি ভয়াবহ।

  • তাপদাহ: উত্তর ও মধ্য ভারত তীব্র তাপদাহের দ্বারা ক্রমবর্ধমানভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। দিল্লি এবং আহমেদাবাদ মতো শহরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মারাত্মক তাপদাহ দেখা গেছে, যেখানে তাপমাত্রা ৪৫°C-এর ওপরে চলে গেছে। এসব ঘটনা ক্রমশ বেশি হয়ে উঠছে এবং সবচেয়ে বেশি ভুগছে দুর্বল জনগণ।
  • বন্যা: পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি, যেমন অসম ও বিহারে, মৌসুমী বৃষ্টির সময় আরও তীব্র বন্যা দেখা যাচ্ছে। ২০২০ সালে বন্যায় কয়েক মিলিয়ন মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে এবং ফসল ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়।
  • ঘূর্ণিঝড় এবং উপকূলীয় ঝুঁকি: উপকূলীয় রাজ্যগুলি, যেমন ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়ানোর মধ্যে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ঘনঘনতা ও তীব্রতা বাড়ছে, উপকূলীয় সম্প্রদায় এবং অবকাঠামোর উপর হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে।
  • জল সংকট: ভারতের জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে উদ্বেগজনক প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল জলাভাব। পশ্চিম (যেমন রাজস্থান) এবং মধ্য ভারতের অনেক অঞ্চল ইতিমধ্যেই জলবায়ু সংকটে রয়েছে, যা আরও খারাপ হতে পারে। মহারাষ্ট্রে খরা পরিস্থিতি উদাহরণস্বরূপ, কৃষি নির্ভরশীল অঞ্চলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে।

জলবায়ু ও রাজনীতি: বৃদ্ধি পাচ্ছে আন্তঃসম্পর্ক

জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান রাজনৈতিক আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে, যা নীতি, নির্বাচনী প্রচার এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করছে। তীব্র আবহাওয়া, তাপদাহ, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘটনা ক্রমশ বাড়ানোর কারণে রাজনৈতিক নেতা ও সরকারগুলিকে এই সমস্যাটি সমাধান করতে চাপ দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর একটি দূরবর্তী সমস্যা নয়, এটি এমন একটি বিষয় যা সরাসরি সম্প্রদায়, অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে।

অনেক দেশে জলবায়ু পরিবর্তন রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করেছে। ভারতে, উদাহরণস্বরূপ, কিছু রাজনৈতিক দল তীব্র জলবায়ু কর্মসূচির পক্ষে — নবায়নযোগ্য শক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং টেকসই কৃষির দিকে মনোনিবেশ করে — অন্যদিকে অন্যরা উন্নয়নকে পরিবেশগত উদ্বেগের চেয়ে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেয়, বিশেষ করে একটি বেড়ে ওঠা জনগণের জন্য। চ্যালেঞ্জ হল, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবেশগত টেকসইতার মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া।

বিশ্ব মঞ্চে, জলবায়ু পরিবর্তন আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং সহযোগিতার একটি প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। বাণিজ্য চুক্তি, নিরাপত্তা আলোচনা এবং বৈদেশিক সহায়তা জলবায়ু কর্মসূচির সাথে আরও বেশি সম্পর্কিত। ২০২০ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (COP26) এ বিশ্ব নেতারা জলবায়ু লক্ষ্যের আলোচনা করেছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারত, উদাহরণস্বরূপ, “জলবায়ু ন্যায়” নীতি তুলে ধরেছে — বলেছে যে উন্নত দেশগুলি, যা মূলত পৃথিবী গরম করার জন্য দায়ী, তাদের উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সাহায্য করা উচিত।

ভবিষ্যত পথে: ভারতের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার উপায়

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, ভারতের জন্য সামনে অনেক কাজ রয়েছে। কিন্তু কী করা যাবে?

১. নবায়নযোগ্য শক্তির বিপ্লব: ভারত ইতিমধ্যেই নবায়নযোগ্য শক্তিতে একটি বৈশ্বিক নেতা হয়ে উঠছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য শক্তি ক্ষমতা অর্জনের মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নিয়ে, ভারত সোলার ও বায়ু শক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

২. জলবায়ু সহনশীল কৃষি: কৃষি এখনও ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড, এবং টেকসই কৃষির প্র্যাকটিসগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু প্রতিরোধী ফসল, পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং উন্নত সেচ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ভারত তার খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারে।

৩. শহুরে জলবায়ু সমাধান: শহরগুলো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, স্মার্ট এবং জলবায়ু সহনশীল নগর পরিকল্পনা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। সবুজ অবকাঠামো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, এবং উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা শহরগুলোকে চরম আবহাওয়া ও বাড়তে থাকা জনসংখ্যার সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।

৪. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অর্থায়ন: জলবায়ু কর্মের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। ভারত প্যারিস চুক্তির মতো আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে তার প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে, তবে উন্নত দেশগুলির কাছ থেকে আরো আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন যাতে ভারত তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।

৫. জনসচেতনতা: স্থায়ী পরিবর্তন ঘটানোর জন্য ভারতীয় জনগণকে জলবায়ু কর্মে সচেতন ও অংশগ্রহণ করতে হবে। টেকসই কার্যকলাপের এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষা দিয়ে, জনগণ তাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে পার্থক্য করতে সক্ষম হবে।

উপসংহার: সম্মিলিত কর্মের শক্তি

ভারতের জলবায়ু ইতিহাস ছিল এক ধরনের সহনশীলতা এবং সংগ্রামের, তবে তা ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনাও ছিল। যখন দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্মুখীন হচ্ছে, তখন আমাদের সামনের যাত্রা পথ আজকের সিদ্ধান্তগুলির উপর নির্ভর করবে। নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে টেকসই কৃষি, আমাদের সকলেরই একটি জলবায়ু সহনশীল ভারতের নির্মাণে অংশগ্রহণ করার ভূমিকা আছে। প্রশ্ন হল: আপনি কি প্রস্তুত? জলবায়ু পরিবর্তন শুধু একটি রাজনৈতিক সমস্যা নয়; এটি এমন একটি চ্যালেঞ্জ যা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করে, এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি ভালো পৃথিবী সুরক্ষিত রাখতে প্রতিটি ব্যক্তিকে তার ভূমিকা পালন করতে হবে।


লেখক পরিচিতি : সায়নাভ চন্দ্র
সায়নাভ চন্দ্র একজন ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে একটি আইটি কোম্পানিতে কাজ করছেন। তিনি লেখালেখি, বিতর্ক, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং খেলাধুলায় আগ্রহী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।