লেখক : সুদীপ জোয়ারদার
এক
কুলসুমবিবি দাওয়ায় বসে বিড়ি বাঁধছিল। শরীরটায় আজ তেমন জুত নেই। তবু কাজ বড় দায়। বিকেলের মধ্যে বরাদ্দ বিড়ি বেঁধে না ফেলতে পারলে মজুরি মিলবে না।
মাঝে মাঝে দেওয়ালে হেলান দিয়ে শরীরটায় একটু আরাম আনতে চাইছিল কুলসুম। মাথাটা খুব ধরেছে। এককাপ চা খেতে পারলে বেশ হত। কিন্তু চা কে করে দেবে ওকে! নিজে উঠে চা খেতে গেলে সময়ও যাবে।
কুলসুম পিঠটাকে টান করে আবার পাতা মশলা নিয়ে পড়ল। ঠিক এই সময়ে পাশে রাখা ফোনটা বেজে উঠল। কুলসুম স্কুলে যায়নি, কিন্তু নম্বর চেনে। মানে শিখেছে সবুজের কাছে। তাই ফোনে নম্বর টিপতে পারে, পড়তেও পারে। এই নম্বরটা চেনা ঠেকল না।
ফোনটা কানে নিয়ে বলল, “হ্যালো!”
“এটা কি সবুজদের বাড়ি? সবুজ সেখ?”
“হ্যাঁ, কে বলছেন?”
“সবুজের স্কুল থেকে বলছি!”
কুলসুম জানে, সরকারি স্কুলে নাইনে সাইকেল দেওয়া হয়। তা বাদে মাইনরিটি স্কলারশিপের টাকাও আসে। ফোনটা কি সেসব কিছুর জন্য? কুলসুমের চোখদুটো আশায় চকচক করে উঠতে গিয়েও নিভে যায়। মিইয়ে যাওয়া গলায় কুলসুম বলে, “ আমি ওর মা বলছি।”
“আপনার ছেলে গত তিনমাসে একদিনও স্কুলে আসেনি। শুধু রেজিস্ট্রেশনের দিন এসে রেজিস্ট্রেশন করে গেছে। এভাবে কামাই করলে তো নাম কাটা যাবে!” ফোনের ও-প্রান্তে ম্যাডামের গলা রুক্ষ শোনায়।
ছেলে রাগ করে চলে গেছে, এটা বলা কি ঠিক হবে? ভাবল কুলসুম। একটু চুপ করে থেকে বলল, “সবুজ তো বাড়িতে নেই!”
“কোথায় গেছে?”
“কাজ করতে। কলকাতায়।”
“আর কি পড়বে না ছেলে?”
“না না পড়বে। আমি খবর পাঠাচ্ছি!” বেশ ভয় পেয়ে যায় কুলসুম। যদি স্কুলে নাম কাটা যায় সত্যি সত্যি! সাইকেলটা হাতছাড়া হবে, মাইনরিটি স্কলারশিপের টাকাগুলো আর আসবে না। যাদের কিছু নেই, এগুলো কি খুব সামান্য তাদের কাছে! তাছাড়া পড়াশোনা করাটাও তো কম গুরুত্বপূর্ণ নয় জীবনে! কুলসুম বিড়ি শ্রমিক, ইস্কুলের ধার দিয়েও যায়নি। তবু বোঝে পড়াশোনার গুরুত্ব। একটু পড়াশোনা জানলেও মহাজনের কাছ থেকে হিসেব বুঝে নিতে সুবিধে হয়।
কুলসুম বিড়ি বাঁধা বন্ধ রেখে বাড়ি থেকে বের হয়। চেনাজানাদের মধ্যে একমাত্র সফিকুলের কাছেই সবুজের নম্বর আছে। ওর মুদির দোকানেই সকাল সন্ধে সবুজ কাজ করত। সবুজের ফোনটা ওরই দেওয়া। এর আগে কুলসুম সফিকুলের মাধ্যমেই জেনেছে সবুজের খবর।
“কী হয়েছে চাচি?” কুলসুমকে উদভ্রান্তের মত দোকানে এসে দাঁড়াতে দেখে জিজ্ঞেস করল সফিকুল।
“সবুজকে একটা খবর দিতে হবে।” উদ্বিগ্ন গলায় বলল কুলসুম।
দুই
“বাইকের সামনে যেমন নিজের বা প্রিয় কারও নাম লেখে অনেকে, সাইকেলের সামনে সেরকম লেখা যায়?”
“লিখলেই লেখা যায়।”
“আমার খুব ইচ্ছে, তোমার সাইকেলের সামনে একটা বোর্ড ঝোলানো থাকবে। সেখানে লেখা থাকবে আমাদের দু’জনের নাম।”
“এতে লজ্জা লাগবে না?”
সাথী খিল খিল করে হাসল। “লজ্জার কী আছে? তোমার আমি ছাড়া আর কে আছে?”
হাসল সবুজও। সাথীর সঙ্গ ভাল লাগলেও এখনই এতটা ভাবার কি সময় এসেছে! শান্ত গলায় বলল, “সাইকেল পাব বলেছি। এখনই নাও পেতে পারি। টেনে যারা পড়ে তারা এখনও সবাই পায়নি। গেল বার সাইকেল নাকি কম এসেছিল! এবার আগে তাদের দিয়ে তবে আমাদের দেবে।”
দিলরুবা ঘরের ভিতরে আইনালের বিছানা করছিল। কান কিন্তু এদিকে। সাথী দিলরুবার মেজদা সহিদুলের মেয়ে। মেজদার অবস্থা খুবই খারাপ। পাড়াগাঁয়ে ভ্যান চালিয়ে এই বাজারে কি আর সংসার সামাল দেওয়া যায়! দিলরুবা সাথীকে ওর মত কাচ ফ্যাক্টরিতে ঢুকিয়ে দেবে বলে নিয়ে এসেছে কিছুদিন আগে।
কিন্তু এখনও ওকে ফ্যাক্টরিতে ঢোকায়নি। কারণ একটা উড়ো খবরে দিলরুবা থমকে আছে। বেশ কয়েকদিন আগে দিলরুবার চাচাতো ভাই শাজাহান গ্রামে গিয়েছিল। এই বস্তিতেই শাজাহান থাকে। টাইলসের কাজ করে। মোড়ের মাথায় কলে জল আনতে গিয়েছিল দিলরুবা। ওখানেই দেখা হয়েছিল শাজাহানের সঙ্গে। “খবর শুনেছিস?”
“কী খবর?”
“গাঁয়ে একটা খবর বাতাসে উড়ছে। সহিদুল নাকি দশলাখ টাকার লটারি জিতেছে!”
“দশ লাখ!” একেবারে হাঁ হয়ে গিয়েছিল দিলরুবা।
ঠিক এই সময়েই রাগ করে সবুজ এসে হাজির। ছেলেটা আগেও এক আধবার রাগ করে এসেছে। অন্যবার খুব ভাল ব্যবহার দিলরুবা করেনি। ফলে ও দু’একদিন থেকেছে, খেয়েছে, আবার চলে গিয়েছে। এবার ওকে আটকাতে হবে কাজ হাসিল করার জন্য।
আসলে দশ লাখ টাকা শোনা থেকেই একটা লোভ চক্কর কাটছে দিলরুবার মাথায়। সাথী যদি সবুজের সঙ্গে জড়িয়ে যায়, তাহলে সহিদুলকে কব্জা করতে কতক্ষণ! একটাই যখন সন্তান ওর!
সবুজের শক্তপোক্ত গড়ন। আঠারো না হলেও আঠারোর চেয়েও বয়সি লাগে। মোবাইলে বাজে ফিল্ম দেখে, দিলরুবা দেখেছে। এ ছেলে যে সাথীর সঙ্গে সহজেই জড়াবে এ আর বেশি কথা কী!
আজ আড়াল থেকে দু’জনের কথা শুনে দিলরুবা নিশ্চিন্ত।
ঠিক এই সময় সবুজের ফোন বাজল হিন্দি গানের সুরে। দিলরুবা শুনল সবুজ ফোনে বলছে, “হ্যাঁ সফিকুলদা, কালই যাচ্ছি। হ্যাঁ, ভোরের ট্রেনেই।”
তিন
স্কুলে নাম কাটার ভয়ে সেই বাড়িতেই ওকে যেতে হচ্ছে! না গিয়ে উপায় কী! নাম কাটা গেলে সাইকেল হাতছাড়া হবে। বিনা পয়সায় একটা নতুন সাইকেল ওকে কে দেবে?
বাড়িতে শান্তি নেই। সৎবাপ ওকে একেবারে সহ্য করতে পারে না। সেদিন অকারণে গায়ে হাত তুলেছিল। পালটা ও-ও দিতে পারত। কিন্তু মাঝখানে মা চলে আসায় পারেনি। সৎবাপ শাসিয়েছিল, “বড্ড বেড়েছিস সবুজ। কথা শুনে চলতে না পারলে এখানে তোর জায়গা হবে না বলে দিলাম!”
সেদিনই ব্যাগ নিয়ে কলকাতার ট্রেন ধরেছিল। এক জায়গায় সৎবাপ তো আরেক জায়গায় সৎমা – দু’জনেই সমান। তবু এবার সৎমায়ের আচরণটা সন্দেহজনকভাবে অন্যরকম।
এদিকে দিলরুবার মাথায় অন্য একটা প্ল্যান চক্কর কাটছে। ছেলেটা যাবে, ওকে আটকানো যাবে না। আটকাতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অন্যপথে এগোতে হবে। সাথীর সঙ্গে ওকে আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়াতে হবে। কাল গেলেও যাতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
আইনাল এখনও আসেনি। আজ আসবে না নাকি? মাঝে মাঝে এমনি করে। ওদের একটা দল আছে। এই বস্তিটাতে হোলনাইট ক্যারাম কম্পিটিশনের আয়োজন হয় প্রায়ই। লোকটা ক্যারাম খেলতে ভালবাসে। আজ হয়ত দলবল সমেত হাজির হয়েছে তেমনই কোনও ক্যারাম কম্পিটিশনে।
দিলরুবা আইনালকে ফোন লাগাল। যা ভেবেছিল, তাই। দশ দলের ক্যারাম প্রতিযোগিতায় শাজাহানকে পার্টনার করে লড়ছে আইনাল।
অযাচিতভাবে একটা সুযোগ এসেছে, দুজনকে একা করে দেওয়ার। শুধু ওকেই একটু বাইরে যেতে হবে। শাজাহান আইনালের ক্যারামসঙ্গী। তার মানে ভাবীও আজ রাতে একা। এর আগে এরকম হলে অনেকদিন ঘরে তালা দিয়ে সফিককে নিয়ে ভাবীর কাছে চলে গেছে শুতে। আজ সফিককে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ও চৌকিতে ঘুমোচ্ছে। বাচ্চা ছেলে, একবার ঘুমোলে সকালের আগে জাগে না। কাজেই ও থাকলেও নিশ্চিন্ত।
“তোরা তিনজনে থাক। ভাবী ডেকেছে। সফিকের বাপ আর শাজাহানভাই ক্যারামে আছে। ভাবীর একা ভয় লাগছে। আমি ওখানেই শুতে যাচ্ছি!”
দিলরুবা বের হয়ে যায়।
চার
“একেবারে ভোরেই চলে এসেছিস?”
সফিকুল ব্রাশ করছিল রাস্তায়। এত ভোরে সবুজকে আসতে দেখে যেন একটু অবাকই হয়েছে।
“কাজে কাউকে নিয়ে নিয়েছ নাকি সফিকুলদা?” ভোরে চলে আসার ব্যাপারটায় পাত্তা না দিয়ে নিজের প্রয়োজনে এল সবুজ।
“তুই ‘আর ফিরব না’ বলে র্যালা মেরে চলে গেলি, আমি কি বসে থাকব? পটাই বেকার ঘুরছিল, লাগিয়ে দিয়েছি।” আশ্যাওড়া ঝোপে মুখের সাদা ফেনা ফেলে সফিকুল উল্টোদিকে হাঁটে।
আর দাঁড়াল না সবুজ। কাজটা গেল। ভোরবেলাতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল।
বাড়িতে ঢোকার সময়েই দেখা হয়ে গেল সৎবাপ ইব্রাহিমের সঙ্গে। সেখানেও জুটল অভ্যর্থনা। “আমি ভেবেছিলাম, আপদ গেল। এখন দেখছি আবার এসে হাজির। এর পিছনে নিশ্চিত কুলসুমের কারসাজি আছে। মেলা দিন পিঠে পড়েনি ওর। আজ আবার দিতে হবে ঘা কতক!”
পায়খানায় গিয়েছিল ইব্রাহিম। হাতমাটি করে হাঁক দিল, “কুলসুম!”
পাঁচ
“স্যার, এই ছেলেটা গণ্ডগোল পাকাচ্ছে!”
“কী রে, খুব হিরো হয়ে গিয়েছিস মনে হচ্ছে!” হেডস্যার কড়া চোখে তাকালেন সবুজের দিকে।
সবুজ অসহায় গলায় বলল, “স্যার, আমি সাইকেল পাব না কেন?”
“পাবি তো! সাইকেল কম এসেছে। পরের লটে পেয়ে যাবি!”
“স্যার, আমার পরে যাদের রোলনম্বর তারা পাচ্ছে, আমি এই লটে কেন বাদ যাব স্যার!”
রহমানস্যার সবুজকে ধরে হেডস্যারের ঘরে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন ওঠেন, “স্যার, আপনি বলেছিলেন, যাদের অ্যাটেন্ডেন্স ভাল, তাদের আগে দিতে। এই বাঁদর সাইকেলের খবর শুনে বহুদিন পরে আজ এসেছে। অ্যাটেন্ডেন্স খাতা দেখুন!” হেডস্যারের সামনে হাজিরা খাতা মেলে ধরেন রহমানস্যার।
এই সময় ক্লাসটিচার প্রীতি ম্যাডাম কী একটা কাজে হেডস্যরের চেম্বারে ঢোকেন।
“আপনি তো নাইন বি-র ক্লাসটিচার, একে চেনেন?” হেডস্যর প্রীতি ম্যাডামকে জিজ্ঞেস করেন।
“না তো! কী নাম তোর?” সবুজের দিকে তাকান প্রীতি ম্যাডাম।
সবুজ নিজের নাম বলতেই প্রীতি ম্যাডাম বলে ওঠেন, “আরে কালই তো তোর মাকে ফোন করেছিলাম। তোর মা বলল, তুই কলকাতায় গিয়েছিস কাজ করতে। আজই চলে এলি স্কুলে! তার মানে বাড়িতেই ছিলি, মাকে দিয়ে কাল মিথ্যে বলিয়েছিস আর আজ সাইকেল দিচ্ছে শুনেই চলে এসেছিস, কী ঠিক কিনা!”
“না ম্যাম, না। আমি কলকাতাতেই ছিলাম। মার ফোন পেয়ে রাতের ট্রেন ধরেছি। আমি জানতামও না, আজ সাইকেল দেওয়া হবে!”
হেডস্যার এবার হস্তক্ষেপ করেন, “যাক গে। সাইকেল তো পাবি। এখন থেকে রোজ স্কুলে আয়, ঠিক পাবি!”
সবুজ আর থাকতে পারে না। জল চলে আসে চোখে, “কী করে স্কুলে আসব স্যার! আমার যে স্কুলে আসার উপায় নেই!”
হেডস্যার সবুজের অবস্থা দেখে নরম গলায় জিজ্ঞেস করেন, “তোর সমস্যা কী?”
সবুজ ধরা গলায় বলে, “তিন বছর বয়সে বাপ মাকে ছেড়ে অন্য বিয়ে করেছে। মাও নতুন একজনকে। এক সংসারে সৎবাপ, আর এক সংসারে সৎমা, আমি কোথায় যাই! কোথাও আমার আশ্রয় নেই। দোকানে কাজ করতাম, সেটাও চলে গেছে। এখন পেট চালাতে প্লাস্টিক বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। আমি কীভাবে স্কুলে আসব স্যার!” মাথা নিচু করেও ও কান্না গোপন করতে পারে না।
এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন হেডস্যার ভাবেননি। প্রীতি ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে বলেন, “স্কুলছুটের, অ্যাটেন্ডেন্সের হিসেব কষি আমরা। অথচ পড়া থেকে হারিয়ে যাওয়ার পিছনে কত করুণ কাহিনী থাকে দেখলেন!”
“এরজন্য কিছু করা যায় না? হোস্টেলে বা অন্য কোথাও…?” শুধোন প্রীতি ম্যাডাম।
“দেখি, কী করা যায়, আপাতত সাইকেলটা ওকে দিন।” সাইকেল বিতরণের দায়িত্বে থাকা রহমান স্যারকে কথাটা বলে, হেডস্যার সবুজের চোখ মুছিয়ে দেন।
ছয়
“তোমার ফুপু ফন্দি এঁটেছে কিছু। মনে হয় তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়ে দেওয়ার তাল করছে। তাই দু’জনকে একা রেখে গেল। এরপরে অপবাদ দিয়ে…আমার আঠেরো হয়নি। এই কি বিয়ে করার সময়? আমি রাতের ট্রেন ধরতে গেলাম!” সাথীকে কথাগুলো বলে সেদিন বেরিয়ে এসেছিল সৎ-মায়ের খপ্পর থেকে।
তবু সাথীকে কি ভোলা যায়! সাথী ওর গোপন সুখ। তিরতির করে বয়ে চলা নদী।
না, আর দেরি করতে চায় না সবুজ। নীচু ক্লাসের দু’জনকে টিউশন পড়ায়। আজ মাস পয়লা, বেতনের টাকা পকেটে। স্কুল থেকে মেসে ফেরার পথে আজই সাইকেলের দোকানে ঢোকে।
“সাইকেলে বোর্ড! কেন রে? কিছু লিখবি নাকি?”
রহমানস্যার যাচ্ছিলেন। ওকে দেখতে পেয়ে দাঁড়িয়েছেন।
“ বোর্ড লাগিয়ে যদি কিছু লিখি, অসুবিধে নেই তো স্যার?” জিজ্ঞেস করে সবুজ।
“আছে বৈকি! বাজে কিছু লিখলে সাইকেল কেড়ে নেওয়াও হতে পারে!”
“বাজে কিছু নয় স্যার। ‘সবুজসাথী’ লিখলে সেটা কি বাজে?”
“এ তো দ্ব্যর্থক! সবুজের বাহন আবার সরকারি বিজ্ঞাপনও!”
সবুজ হাসে। সবুজসাথীর যে আরও একটা অর্থ আছে, সে তো কেবল ও-ই জানে!
লেখক পরিচিতি : সুদীপ জোয়ারদার
পেশা শিক্ষকতা, নেশা লেখা। প্রবন্ধ, ছোট গল্প, কবিতা, শিশুসাহিত্য সব ক্ষেত্রেই অল্পবিস্তর বিচরণ আছে। লেখা প্রকাশিত হয়েছে দেশ, আনন্দবাজার, আনন্দমেলা, সানন্দা, এই সময়, একদিন ইত্যাদি পত্রিকায়।