লেখক : এস. আজাদ
“কি করছিস নন্দ? তাড়াতাড়ি হাত চালা। কাল ঈদ। দুপুরেই যদি এই অবস্থা হয় সারা রাত চালাবি কি করে?”
“না রে বিদ্যা, কাল ঈদ হবে বলে মনে হচ্ছে না?” রাস্তার পুরনো বিজ্ঞাপনের বোর্ড থেকে খুলে আনা ফ্লেক্স দিয়ে জড়ানো ভাঙা বেঞ্চে লাইন আঁকড়ে বসে বাতিল ব্লেডে নখ কাটতে কাটতে কথাগুলো বললেন ষাটোর্ধ্ব করিম খাঁ।
“কেন চাচা? মাতব্বর যে বলে গেল ইফতারের পর আসবে, ফাঁকা থাকতে।”
“ছোঃ! ছোঃ! ছোঃ! ছোঃ! ওর নাম আমার কাছে করিস না। নতুন কাগে গু খেয়েছে তো! পেটে লাথালে ‘ক’ বেরোবে না, সে নাকি শালা মাতব্বর। **এর মাতব্বর। কি দিন কাল এল, হাত কাটা, পা কাটা, কান কাটা, লুলা-ল্যাংড়া, পেটো ছোড়া, লাঠি ধরা সবাই মাতব্বর। আমার বাপ কী বলত, জানিস বিদ্যা?
“কী বলত?”
“বলত, এটা কলিকাল, ঘোর কলি। কলিকালে অঘাট ঘাট হবে, ধান ভানুনির বেটা মোড়ল হবে। ডাক পুরুষের কথা মিথ্যে হবে না রে।” বলতে বলতে একটা দীর্ঘশ্বাস আনমনে আছড়ে পড়ল ছোট্ট সেলুন ঘরের ভিতরে।
পাশ থেকে একটা চ্যাঙড়া মত ছেলে ফোড়ন কাটে, “সে তো দেখতেই পাচ্ছি।”
“রোজকেয়ামত এগিয়ে আসছে বাপ, রোজকেয়ামত।”
উপস্থিত সকলের সাথে ক্ষুর থামিয়ে বিদ্যাও করিম খাঁর মুখের দিকে চেয়ে থাকে। বেজন্মা এই সময়ে অকপট সাহসী ভাষণ শুনলেও একটু আরাম লাগে ঘুণপোকায় সারাক্ষণ কট কট করে কাটতে থাকা মগজে।
“তাহলে, কাল ঈদ হবে না বলছেন চাচা?” অন্য আরেকজন জিজ্ঞাসা করে।
করিম খাঁ বলে চলে, “না। আমার ছোটটা তো কেরালায় থাকে, রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে কাজ করে। আজ ফোন করেছিল, ওদের দেশে আজ হয়নি। আসলে আমরা তো চলি হাকিমের হুকুমে। আরব দেশে ঈদ না হলে আমাদের দেশে কি করে হবে? চাঁদের হিসেব তো ফন্দি ফিকির মাত্র।”
“না হলেই ভাল। একদিন বাড়তি সময় পাওয়া যাবে।”
বলে একটা ছোট্ট করে শ্বাস ফেলে হাতের চিরুনি আর কাঁচিখানা টেবিলে নামিয়ে রাখে বিদ্যা। শেভিং ব্রাশ ধুতে ধুতে তাড়া লাগায় সহকারী নন্দকে। নিজে হাত চালিয়ে পিছন ফিরে কাজ করলেও দেওয়াল জুড়ে টাঙানো দু-এক জায়গায় পারা চটে যাওয়া আয়নায় ঠিকই নজর রাখে বিদ্যা। নন্দ তার দূরসম্পর্কের শালার ছেলে। বয়স ১৫-১৬ হবে, এ বছর মাধ্যমিকে সব বিষয়ে ফেল করে আর পড়বে না ঘোষণা করেছে। তার কাছে হাতের কাজ শিখছে। এখন আর কেউ তাদের কাছে কাজ শিখতে চাইছে না। বিদ্যা শুনেছে, কলকাতায় নাকি চুলদাড়ি কামানো শেখানোর স্কুল আছে। রকমারি গালভরা নামে কোর্স করাচ্ছে। ভাল করে ক্ষুর-কাঁচি ধরতে শেখার আগেই হাতে সার্টিফিকেট পেয়ে যাচ্ছে। তিন-চার হাজার বেতনে কাচে ঘেরা পার্লারে কাজও জুটে যাচ্ছে। যাই হোক, তাদের কাজ কিন্তু বিশেষ কমেনি, কিন্তু বাড়েও নি। তার একদল বাঁধা খদ্দের আছে, এই রক্ষে। তাও মাঝে মাঝে মনে হয়, আর একটু বড় জায়গা, ঘোরানো চেয়ার, নতুন ঝকঝকে দেয়াল সমান আয়না, চুলকাটা মেশিন, আর কিছু যন্ত্রপাতি যদি সে পেত, তাহলে খদ্দেরের সাথে সাথে আয়ও বাড়ত কিছুটা। তবে নানা ঝক্কি আর পুঁজির কথা ভেবে ছাড়ান দিয়েছে। সে ছাড়ান দিলেও তাকে ছাড়ছে কে? দিন তো পাল্টাচ্ছে সূর্যের ঘড়ি পাল্টানোর সাথে সাথে। কতজন এল গেল, বয়স তো আর কম হ’ল না, অভিজ্ঞতাও। এই তো সেদিন ক্ষুর-কাঁচি শান দিয়ে ফিরছিল, দেখল রোহিতের ছোট ভাই শ্যামলকে। তার কাছে ত্রিশ টাকা রেটে মাঝে মধ্যে ধারে চুলদাড়ি কাটে, সে কিনা আড়াইশ’ টাকার এসি পার্লার থেকে বেরল। প্রতিবছর ঈদ কিংবা পুজোর আগে একটা করে শিক্ষানবিশ যোগাড় করে বিদ্যা, কিন্তু বেশিদিন টেকে না। সোজা করে ক্ষুর-কাঁচি ধরতে শিখলেই উড়ে যায় ফুরুত করে খোলা খাঁচার পাখির মত। অবসরে বিড়ি টানতে টানতে বিদ্যা ভাবে মানুষের জীবনটাও যদি খোলা খাঁচার মত হত, যখন ইচ্ছা যেখানে ইচ্ছা যেতে পারত, যা ইচ্ছা করতে পারত। তা তো হয় না। কেন যে হয় না, সে উত্তর বিদ্যার জানা নেই। কেমন করে জানবে? পোড়া জিভের আশই যে মেটে না।
বিদ্যা দাস, পরামাণিক নয়, ক্ষৌরকর্ম তার পৈত্রিক পেশা নয়, বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই অবৈধ অনুপ্রবেশ। সে অনেক দিন আগের কথা। মায়ের হার্টের রোগ ধরা পড়েছে। বাবা খেতমজুর, ভাইবোন নিয়ে সাতজনের সংসার। বাড়ির বড় ছেলে বিদ্যা তখন তালিত গৌড়েশ্বর হাইস্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্র। মা’কে নিয়ে বাবা বর্ধমানের হাসপাতালে পড়ে আছে দিনের পরদিন। ঘরে এক দানা খাবার নাই। ছোট ভাইবোনগুলো খিদের জ্বালা সহ্য করতে পারছে না, সে নিজেও তিন দিন একবেলা করে না খেয়ে আছে। বুড়ি ঠাকুমার ছানি পড়া চোখে দেখা স্বপ্নের মত জীবনটা ক্রমশ মুঠোর বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকে। রুক্ষ মাটিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে মায়াবী কৈশরের থেকেও মায়াময় স্বপ্নগুলো। সে যখন আরও ছোট ছিল, পূব দিকের টালির ঘরের মেঝেতে ভাইবোনেদের নিয়ে ঢালা বিছানায় ঠাকুমার কাছে শুতো, ঠাকুমা নানান ধরনের ঘুমপাড়ানি গল্প বলত। সে গল্পে গরু গাছে উঠলেও শুনতে মন্দ লাগত না। শুনতে শুনতে কখন যে ঘুম এসে যেত, টেরই পেত না। ঘুমের মধ্যে ঢুকে যেত জীবিত গল্পের ভিতর। কল্পনাবিলাসী শিশু মন পৌঁছে যেত অন্য এক দেশে, যেখানে সে কখনও রাজা, কখনও মন্ত্রী, কখনও সেনাপতি কিংবা রাজপুত্র। যে দেশে ক্ষুধা নাই, ক্লান্তি নাই, লোভ নাই, লালসা নাই, যখন যা প্রয়োজন, যা চাই তাই পাই। চারিদিকে থরে থরে সাজানো সুখ, হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়। সে ভাবতেই পারে না কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবে। ভাবতে ভাবতেই কখন যেন দুঃসহ জঠরজ্বালা নিয়ে হাজির হয় নিত্যদিনের বিলাসী সূর্যটা। এখন ঠাকুমাও নেই, গল্পও নেই, আর সেই অধরা স্বপ্নরাও নেই। এখন পিতৃদত্ত প্রাণটা নিয়ে বেঁচে থাকাটাই যেন একটা বিলাসী স্বপ্ন। তবে বড় হয়ে ইতিহাস বইয়ে পড়েছে, তার দেখা স্বপ্নের মত দেশও নাকি ছিল ইউরোপে, যেখানে বেকার, ফকির, বেশ্যা বলে কোন শব্দ ছিল না।
উপায়ান্তর না দেখে পাশের বাড়ির হাসেম চাচার সাথে ধান মিলে কাজে চলে যায়। বয়সে ছোট, চেহারার ছবি বয়সের তুলনায় আরও ছোট। তাই প্রথমে কাজে নিতে রাজি হয়নি ঠিকাদার, পরে হাসেম চাচার কথায় আধা মজুরিতে কাজে নেয়। মিলের ভারি কাজ বেশিদিন তাকে করতে হয়নি। বুধবার হপ্তার দিন টাকা আনতে গিয়ে দেখে বিহারী মুটের দল পড়েছে আতান্তরে, সপ্তাহে ওই একদিন তারা কামানে বসে, মানে চুল-দাড়ি কামায় আর কি। কিন্তু শিবু নাপিতের খুব জ্বর, বার কামাই করা যাবে না, তাই এসেছে। কাজ করার মত ইচ্ছা ও ক্ষমতা কোনটাই তার নেই। পোড়া পেটের দোহাই, তাই গা জ্বরে পুড়ে গেলেও আসতে হয়েছে। চোখজোড়া রক্তজবার রঙে রাঙানো, যে কোন সময় মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারে। বুধবার মিল বন্ধ থাকে। ধান শুকনোর চাতালের এক কোণে পেতে রাখা ইঁটের উপর সারি দিয়ে বসে আছে ধানকাটা মাঠের মত মুখগুলো। আলাদা আলাদা আল দিয়ে ঘেরা এক একটা জমির আকার এক এক রকম হলেও আসলে ভিতরে ভিতরে সবগুলো একই রকম।
মানুষের বিপদে সাহায্য করার স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগত তাড়নায় কিশোর বিদ্যা বসে পড়ে, শিবু নাপিতকে পাশে সরে বসতে বলে সাবানের ডিবেতে ব্রাশ ঘষে ফেনা করতে থাকে। হাসেম চাচা টাকা নিয়ে বাড়ি চলে যায়। তার হাতে নিজের বেতনের টাকাটা পাঠিয়ে দিয়ে একে একে ষোলজনের গোঁফ-দাড়ি সুচারুভাবে কামিয়ে যৌবনের জেল্লা ফুটিয়ে তোলে টোলপড়া তোবড়ানো গালে। সেই শুরু। তবে প্রথম নয়, তাদের পাড়ার নাপিত হারা কাকার কাছে তার হাতেখড়ি হয়েছে আরও দু’বছর আগে। শিবু নাপিত অবশ্য কিছু টাকা তাকে দিতে চেয়েছিল, বেলা গড়িয়ে মগডালে উঠে পড়েছে, তাই সে বাড়ি না ফিরে পিরূর টংয়ে (গুমটি) ছেঁড়া পরোটা খাবে বলে দশ টাকা নিয়ে বাকিটা ফেরত দিয়ে দেয়। কতদিন খাব খাব করেও খাওয়া হয় না। আজ খাবে। পিরূকে দশ টাকার পরোটা দিতে বলে হাঁড়ি কড়াই মজার জন্য রাখা ছাইয়ের সাথে খানিকটা সাবান গুঁড়ি নিয়ে ভাল করে কচলে কচলে হাত দুটো ধুয়ে প্লেটটা হাতে নিয়ে আর খেতে পারে না, অবহেলে রাস্তার পাশে ফুটে থাকা ভাঁটাফুলের মত ছোট বোনটার মলিন চোখদু’টো ভেসে ওঠে সামনে।
“খাব না, নিয়ে যাব।” জিভের দু’পাশ ভিজে ওঠা লালা গলায় চালান করে প্লেটটা বাড়িয়ে ধরে পিরূর দিকে।
“তা আগে বলবি না। তরকারি মাখামাখি হয়ে গেল তো।”
অন্য সময় হলে পিরূ বলে দিত “খেলে খা, না খাবি তো ফেলগে যা।” আজ কিন্তু তা বলল না। প্লেটটা নিয়ে তরকারি মাখা অংশটা সরিয়ে দিয়ে ঝুড়ি থেকে আর খানিকটা ঠাণ্ডা পরোটা কাগজের ঠোঙায় ভরে আলাদা করে তরকারি পলিথিনে ভরে হাতে ধরিয়ে দিল। অচেনা পিরূকে দেখতে দেখতে হাত বাড়িয়ে প্যাকেটটা নিতে নিতে বিদ্যা ভাবে সব ভাল কাজের পুরস্কার নির্ধারিত থাকে বোধহয়, কোনটা নগদে আদায় হয়, কোনটা আবার ক্ষুদ্র বুদ্ধির চর্মচক্ষে ধরা পড়ে না।
পরের সপ্তাহে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তার পরের সপ্তাহে শিবু নাপিতের বছর বারোর ডাগর চোখের শ্যামলা মেয়েটা ক্ষুর-কঁচির ঝোলাটা ধরিয়ে দিয়ে বলল, “বাবার খুব শরীর খারাপ, বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছে না। এগুলো তোমাকে দিতে বলেছে।”
না খুলেই বিদ্যা বুঝতে পারে ঝোলায় কি আছে। তাই সে বলে, “এগুলো দিয়ে আমি কি করব?”
“চুল দাড়ি কাটবে।” বলে খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে দুলকি চালে লাফাতে লাফাতে অনেকটা কাঠি নাচের ভঙ্গিমায় যে পথে এসেছিল, সেই পথ বেয়ে চলে গেল।
বয়ঃসন্ধির স্বাভাবিকতায় সেদিকে চেয়ে থাকতে থাকতে মনের মধ্যে জমে ওঠা সব প্রশ্নগুলো ভুলে গেল। এতটা পথ মেয়েটা একা যাবে, সকাল থেকে কিছু খেয়েছে কিনা তাও জিজ্ঞাসা করা হ’ল না, হাতে দশটা টাকাও দেওয়া হলো না। কি যে হ’ল। নিজের কৃতকর্মের জন্য নিজেকে বার বার ধিক্কার দিতে দিতে ক্ষুর-কঁচি নিয়ে বসে গেল কাজে। কাজ শেষ করে ঝোলাসহ টাকাপয়সা গুছিয়ে দিয়ে আসে শিবু নাপিতের বাড়ি। কিন্তু তার দেখা না পেয়ে একটু হতাশ হয় বৈকি। নাপিত বউয়ের জোরাজুরিতে ত্রিশ টাকা নিতে হয়ে ছিল সেদিন। তারপর থেকে প্রায় মাস ছয়েক, কি তার একটু বেশিই হবে। যতদিন শিবু নাপিত বেঁচে ছিল, তার মৃত্যুর পরও মাসদুয়েক বুধবারের কামানের কাজ সে করেছে এবং টাকাটা ঠিকই পৌঁছে দিয়েছে নাপিতের বাড়িতে। এই ক’মাসে যখনই তার সাথে দেখা হয়েছে, সরে যেতে মন চায়নি। কিন্তু যেতে হয়েছে। সময় যে বড় বেয়াড়া। সে যে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সময় তার গণ্ডিতে আটকে রেখেছে সকলকে, কিন্তু তাকে আটকানোর মত গণ্ডি কাটতে পাড়েনি কেউই। না আমাদের দেশের ত্রিকালদর্শী ঋষিমুনিরা, না বিশ্বের তামাম দিগ্বিজয়ী বীর কিংবা বিজ্ঞানীরা। সময়ের কাছে এই অসহায় আত্মসমর্পণই মানুষকে ঠেলে দিয়েছে দৈবের কোলে। সময়কে ধরা না গেলেও বদলানোর চেষ্টা হয়ত করা যায়। কিন্তু সে চেষ্টা করে সময় অপচয় করার মত সময় যে তার হাতে নেই।
একবছর অনিয়মিত স্বপ্ন দেখতে দেখতে কখন যেন বিদ্যা হারিয়ে গেছে স্বপ্নহীন ঘুমের অতলে। ভর্তির ফি যোগাড় করতে না পেরে সেকেণ্ড ইয়ারে কলেজ ছেড়ে জীবন জীবিকার লড়াইয়ে নেমেছে। নিজের দেখা স্বপ্নগুলো দিয়ে নিরন্তর সাজিয়ে চলেছে রাঙিয়ে চলেছে মানুষের মুখ, ক্ষুর-কাঁচি আর হাতের কসরতে সময়কে বেঁধে রাখতে চেয়েছে বারবার। সময়ের সাথে অস্ত্রহীন যুদ্ধে হেরে চলেছে প্রতিবার। এই হেরে যাওয়ার আনন্দই যে তার বেঁচে থাকার রসদ।
লেখক পরিচিতি : এস. আজাদ
লেখক পরিচিতি : জন্ম : ১৯৮৩। পেশা : মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক। নেশা : বই পড়া, বেড়ানো। কাটোয়া কলেজ পড়তে পড়তে সম্পাদনা করেছেন মাসিক দেয়াল পত্রিকা 'প্রগত'। ছাপার অক্ষরে তিন বছর সম্পাদনা করেছেন ত্রৈমাসিক লিটিল ম্যাগাজিন 'প্রগত'। বর্ধমান থেকে প্রকাশিত লিটিল ম্যাগাজিন 'ফরিয়াদ' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সহ-সম্পাদক। মূলত ছোট গল্প ও অনু গল্প লেখেন দু-একটা কবিতা ও লেখেন কখনো কখনো, প্রবন্ধ মাঝে মধ্যে। অজ গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। বাবা একজন প্রান্তিক চাষী। পড়াশোনার পাশাপাশি করেছেন শ্রমসাধ্য কৃষি কাজ। জীবন কে দেখেছেন একেবারে ভিতর থেকে।