লেখক : সৌরভ মাহাতো
জসিমউদ্দিনের রাখাল ছেলে একবার শুনে যাও
গোরু দলবল লাঠি নিয়ে আর মাঠে কেন না যাও
বললে হেসে দাতকপাটি
শুনছ দাদাভাই
আর কোনদিন সে নাই এখন আর রঙের তামাশায়।
রাখাল ছেলে, রাখাল ছেলে চলো না ভাই যাই
লাঙ্গল নিয়ে ক্ষেতের মাঝে ভাটিয়ালী গান গাই
শুনছে রাখাল আনমনে সব
কিঞ্চিৎ রাগ নাই
চোখ ছলছল বলছে শুধু, আর যে সেদিন নাই
ওহে রাখাল কেন এমন করছ বারে বারে
চলো দেখি সোনার কুটিরে কি রেখেছ রেঁধে
বিষণ্ণতায় মুখ ভরে যায়
আকাশের দিকে চেয়ে
আর কি এখন কুটির সেসব পাক্কা বাড়ি বটে।
সরষে ফুলের পাপড়ি দোলা, মটরশুঁটির লতা
মনে হয়না কখনও গিয়ে করি খানিক খেলা
জল পড়ছে চোখ মুছছে
বলছে কেঁদে কেঁদে
বিশ্ব এখন প্রবলবেগে আধুনিকতার রোষে।
লেখক পরিচিতি : সৌরভ মাহাতো
জন্ম ১৯৯৯ সালের ১লা জুন, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার লালবাজার গ্রামে। পিতা শ্রীযুক্ত সুধীর মাহাতো পেশায় একজন কৃষক ও মা গৃহবধু। জওহর নবোদয় বিদ্যালয় পুরুলিয়া ও দুর্গাপুর থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক। পরবর্তীতে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর। লেখালেখি শুরু শৈশব থেকেই বহু রচনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, যেমন রাঙামাটি, প্লাসেন্টা, অরণ্য পত্রিকা, দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা, প্যারিস টাইমস ইত্যাদি। প্রথম গল্পগ্রন্থ 'শ্রেষ্ঠ উপহার' এবং প্রথম উপন্যাস 'আকাঙ্খা'। লেখালেখির জগতে একাধিক সম্মান লাভ, যার মধ্যে “বাংলার গর্ব–২০২২” এবং “বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি সম্মান–২০২২” বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে একটি বেসরকারি দপ্তরে কর্মরত থাকলেও সাহিত্যচর্চা অব্যাহত।

