অভিমানী শরতের কন্যা
লেখক : শিপন হোসাইন
তুমি এক বহুরূপী কন্যা
দুইটি ঋতুর প্রতীক;
এক হাতে তার শ্রাবণ মাখা
শাপলার গুচ্ছের মালিক।
তুমি এক অভিমানী শরতের কন্যা
নীলের আভা!
নীল শাড়িতে জ্বলে যেন
জোৎস্না চাঁদের আলো!
তার সাথে এক শরৎ মাখা
মন হয়ে …
তুমি এক বহুরূপী কন্যা
দুইটি ঋতুর প্রতীক;
এক হাতে তার শ্রাবণ মাখা
শাপলার গুচ্ছের মালিক।
তুমি এক অভিমানী শরতের কন্যা
নীলের আভা!
নীল শাড়িতে জ্বলে যেন
জোৎস্না চাঁদের আলো!
তার সাথে এক শরৎ মাখা
মন হয়ে …
গুনাহে ভরা দু’টি হাত, কাঁপে ভয়ে নিশির আঁধারে,
আকাশ চেয়ে বলি, হে রব, ফিরাও না মোর অশ্রু দ্বারে।
চোখের কোণে জমে থাকে, বহু অপরাধের ধূলি,
তোমার করম নাহি পেলে জীবনটা হয় নিস্বাদ শূন্যফুুলি।
হে …
আসছে পুজো ক’দিন বাদেই
সইছে না যে দেরি,
মনেপ্রাণে স্বাগত জানাই
দুগ্গা মা’কে আমি।
সবশেষে আসছে আবার
আনন্দ উৎসবের দিন,
সমস্ত দুঃখ ঘুচে যাবে
আসবে সুখের দিন।।
শিউলি ফুলের গন্ধে সবার
মেতে উঠেছে মন,
আনন্দের সাথে …
আমার তো আকাশ নেই ।
তবু উড়ব বলে চেয়েছি তোকে সঙ্গী হিসেবে।
ধরে রাখার মতো সাধ্য কোথায় আমার।
তবু বিশ্বাসের লাটাই ধরে টানতে থাকি রোজ।
তোর একটা ব্যক্তিগত নাম থাকুক।
আমি চাই,
জলের খেয়া বেয়ে সন্ধ্যাতারার …
আমি অদ্ভুত একজন মানুষ,
একই মেয়েকে ভালবাসি প্রাণ দিয়ে,
আবার ঘৃণাও করি প্রাণান্তক ঘৃণায়।
তার জন্য ছটফট করি,
তার জন্য রাত জেগে শব্দ বুনি,
তবুও সামনাসামনি দাঁড়িয়ে
দুইটা শব্দও উচ্চারণ করতে পারি না।
একতরফা ভালবাসা…
শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিলাম বিশ্বের দরবারে,
মানুষ যেন মানুষ হয় এই বিশ্ব চরাচরে।
জন্মের দায় করনি স্বীকার মানুষ এতই নির্বোধ,
সুন্দর এই পৃথিবীটা আজ থেকে মানুষের হোক।।
কোটি কোটি নক্ষত্রের মাঝে বাসযোগ্য গ্ৰহ,
দেশে দেশে …
নাম জানি না ,
কী নাম নদীর?
তুমি দিলেই দিতে পারো।
নাম রেখেছে অনেক জনে
হয়তো হাজার, সাতসতেরো।
বলতে পারো
সেই নদীটার
বাঁকটা কোথায় মেশে?
ওই যে সূর্য লাল হয়েছে
মাঠের কোলটি ঘেঁষে।
পাহাড় থেকে
যে …
হাঁটছি যখন হিসেব করে, মা
মাপছি যখন দিনের আলো,
কি বা হবে খাতায় ভরে
ছন্নছাড়া কাব্যগুলো?
দাগেই যদি চাঁদকে চিনি
রাতকে কেবল অন্ধকারে
দু’পয়সাতে আকাশ কিনি
মুছতে তারা বারেক-বারে,
মাটির ঘরে দুঃখ রাখি
মেঘের দেশে বিরক্তি …
“কী আছে বাংলায়, কেন থাকব, ভুলতে চাই সব যা আমি জানি”
এমন কত কথা এখানে সেখানে শুনি আমি!
বাস্তবতাবোধে এ অভিমান করছি স্বীকার!
তা বলে কি বাংলা-ভাষে হতে হবে রাজ্যে রাজ্যে শিকার?
এখনো শিরদাঁড়ায় থাকেন বিদ্যার …
রোদের আলোয় নারকেল গাছের উপর
বসে থাকা কাকের ঊজ্জ্বলতা যেন দ্বিগুণ দেখায়!!
পাশের বাড়ির বড় মেয়ের বিয়ের
কাঁচা মেহেদিপাতা বাটার সুবাস যেন ছড়ায়ে পড়ে!
দেনা টাকার ঋণ শোধ করতে না পেরে
কাজলীর মা গ্রাম ছেড়ে …
ছোট বেলায় গিয়েছিলাম আমার মামার বাড়ি,
সেথায় আমি দেখেছিলাম বিশাল হানাবাড়ি।
লোক মুখে শোনা সেথায় অনেক ভূতের বাস,
সকাল বেলায় হট্টগোলে করত প্রাতঃরাশ।
আমরা ক’জন প্ল্যান করিনু যাব দিনের বেলা,
দেখব সেথায় কেমন ক’রে ভূতে করে …
মেয়েটি বলল, তুমি ঘর বাঁধতে পারো?
বাবুই না ঘুঘু, দোলাচলে তখন আমি
বাবুইয়ের বাসা! অতিরিক্ত সুন্দর
মা আলপনা দিত, নিখুঁত সীমানায় বাঁধা
গুঁড়ো চালের গন্ধে বিশাখার উম
অথচ আমার হাতে বিস্তর প্রতিবন্ধ
চুম্বনের ঢেউয়েও কাঁটা ছড়ায়…