জলস্নান
লেখক : সুপান্থ
যে স্রোত সময়ের অপেক্ষা করে না,
সে স্রোতের কলকল ধ্বনিতরঙ্গে বিলীয়মান ঈপ্সিত তারার ঢেউ
যে কণ্ঠ মৃত্যুর আর্তি শোনায় না,
সে কণ্ঠ জীবনের তরে নৈবেদ্য হোক
অনন্ত শ্রাবণে।
যে বৃক্ষ হৃদয়ের ঘরে তালা দিয়ে বসে
বন্ধ্যা স্বপন …
যে স্রোত সময়ের অপেক্ষা করে না,
সে স্রোতের কলকল ধ্বনিতরঙ্গে বিলীয়মান ঈপ্সিত তারার ঢেউ
যে কণ্ঠ মৃত্যুর আর্তি শোনায় না,
সে কণ্ঠ জীবনের তরে নৈবেদ্য হোক
অনন্ত শ্রাবণে।
যে বৃক্ষ হৃদয়ের ঘরে তালা দিয়ে বসে
বন্ধ্যা স্বপন …
কিসের স্বাধীন দেশ এই আমার
যেখানে নেই নারীর সম্মান ,
কিসের স্বাধীন দেশ এই আমার
যেখানে হচ্ছে নারীর অপমান ।।
সেই স্বাধীনতা চাই না আমরা
যেখানে অপরাধীর শাস্তি নাই ,
সেই স্বাধীনতা চাই না আমরা
যেখানে …
যত্নে একটা আংটি তৈরি করে ছিলাম।
তাতে খোদাই লুকোনো স্বীকৃতি।
হঠাৎ একদিন বৃষ্টির রাতে সেই যে হারালো,
তাহা আর ফিরিয়া পেলাম না…..
যে চোর চুরি করেছে,সে কি খুব শান্তিতে আছে ?
সে কি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছে …
আমি একদিন হারিয়ে যাব মধ্য নিশিকালে।
কতো হাহাকার করবে সবাই, ডাকবে আয় ফিরে।
কেউ কাটিবে ঝাড়ের বাঁশ, কেউ পাকাবে দড়ি।
কিছু লোকে খুড়বে মাটি, তৈরি হবে মোর নতুন বাড়ি।
চলে যাবো নতুন দেশ, বাঁশের দোলায় চড়ে।…
একটু আগলে রাখি নিজেকে
সব টুকু কি বিলিয়ে দেওয়া যায়
নিজের মনে হাজার ক্যালকুলেশন
তাহার হদিস কজন ই বা পায়।
একটু নাহয় মিষ্টি করেই হাসি
গোমরা মুখে কেন আর থাকি
চলছে জীবন নদীর মতো করেই
ডানা …
ধরি ধরি,ঠিক পারি না
কি যেন এক আলো
নিত্য করে আনাগোনা।
চুনির আলোর গুন ছাপিয়ে
শরীর করে চাঙ্গা
মোতির আলোর রূপ ছাপিয়ে
বক্ষ করে চোখা…
সকল রত্নরাশির আলো
সেই আলোতে মেশে,
ধরি ধরি ঠিক পারি না…
তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়
ছেঁড়া মস্তিষ্কের কগনিটিভিটি,
দলে দলে ছেড়ে যায় আপন
নাবালিকা পিঁপড়ের গতি !
আজও আমি স্তব্ধ
অপলক নিঃশব্দ,
অনাবিল আবরণে
নিঃশ্বাস সূর্যাস্ত!
নাতো লড়াই নাতো ভাঙন
নাতো গড়ার স্বপ্ন ,
নাতো …
তোমার প্রতি আমার ব্যাকুলতার জন্যে,
আমি এখন খুব নিস্তব্ধ হয়ে গেছি,
যদিও আমার ব্যাকুলতা কখনো তোমার অনুভবে আসে না!
তবুও আমার মমতার দৃষ্টি
সব-সময় তোমার প্রতি,
কিন্তু তুমি যে অভিমানে খুবই অনল!
যদিও তোমার নির্লিপ্ততা দেখে, …
যে তুমি লালিত্যে গৃহকোণ গড়েছ,
হাত ধরে প্রতিদিন সাতপাকে বেঁধেছো,
রেখেছ তাদের সবকিছু বাঁচিয়ে।
সেই তুমি কাঁধে কাঁধ হাতে হাত রাস্তায়,
বিচার চাই বিচার দাও হুঙ্কার দিয়েছো।
লেখা থাক ইতিহাসে, লেখা হোক কাব্যে,
বেঁচে থাক প্রতিবাদ …
তোমার স্বপ্নে আমি অনেক রঙ দেখি,
নদীর জল আর মিষ্টি বাতাসের গন্ধ পাই।
সূর্য যখন ডোবে, আকাশ লাল হয়ে যায়,
কিন্তু আমি একা, কারণ তুমি পাশে নেই।
মেঘের মাঝে লুকানো তারা যখন আসে,
মনে হয়, …
তখন ধুলোর শয্যা ছেড়ে
সূর্যদেব পাটে উঠলেন
আর কালপুরুষ পরে নিলেন
তাঁর সান্ধ্যকালীন শীতপোশাক
শহর জুড়ে রঙিন আলোয়
রাতভর বেচাকেনা চলল
আর পথ হারিয়ে এক দুঃখী মেয়ে
কেঁদে কেঁদে শেষ করলো তার হাসবার সময় …
অবশেষে …
মুখে বিষ ঢেলে কবিও একদিন ছবি হতে চেয়েছিল।
এক কাকের মৃত্যুতে অসংখ্য কাকের সমবেদনা কী বিস্ময়ের!
এবং ঘরে মৌলিক স্বরে সংঘাত। শিল্প হন্তারক রাজকোকিল।
আজ পাখিরা আলো চায়। ছায়া চায়। আধিপত্য চায়।
অথচ শৌখিন কবি মুখিয়ে …
বারিদ থেকে বারি পরলে বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টি মনের জমানো কথা গুলো হয়।
মেঘ করলে গুড় গুড়,
বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর।
পূর্ণ নদী,নালা,ডোবা,পুকুর।
জাল ঝারতাম সকাল দুপুর,
পাইতাম হরেক রকম মাছ।
কই,পুটি আর টাকি মাছে…
রুচিশীল ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য ক্লিক করুন এখানে